খালেদাকে শুভেচ্ছা জানাতে ৬ শতাধিক তোরণ
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আগামীকাল বুধবার কিশোরগঞ্জ যাচ্ছেন। বিকেলে তিনি গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্ব্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সারা দেশ সফরের অংশ হিসেবে খালেদা জিয়া কিশোরগঞ্জ যাচ্ছেন। এর আগে একই দাবিতে খালেদা জিয়া নীলফামারী, নাটোর ও মুন্সিগঞ্জে ২০–দলীয় জোটের সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফুল আলম। জেলা সদরসহ উপজেলা থেকে কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে উপস্থিত রাখার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। হাওর উপজেলা অষ্টগ্রাম, ইটনা ও মিঠামইন থেকে কর্মী-সমর্থকদের জড়ো করতে আয়োজকদের পক্ষ থেকে শতাধিক ইঞ্জিনচালিত নৌকা ভাড়া করা হয়েছে। অন্যান্য উপজেলাগুলো থেকে নেতা-কর্মীদের আনা হবে বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে। শুধু ভৈরব ও কুলিয়ারচর উপজেলার জন্য শতাধিক বাস প্রস্তুত রাখা আছে। এদিকে নেত্রীকে স্বাগত জানাতে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের ৫৬ কিলোমিটার পথসহ জেলা শহরের ভেতরে অন্তত সাড়ে ৬০০ তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। এসব তোরণে খালেদা জিয়াকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নেতাদের ব্যক্তিগত পরিচয় উল্লেখ করা হয়েছে। তা ছাড়া নানা সংগঠনের ব্যানারে হয়েছে অসংখ্য তোরণ। বিএনপির নেতারা জানান, দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত জিল্লুর রহমান ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায়। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ সদর আসনের সাংসদ। এ কারণে কেন্দ্রীয় বিএনপি সমাবেশটিকে সফল করার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। আয়োজকরাও বিষয়টি মাথায় রেখে তাঁদের কর্মপন্থা নির্ধারণ করে এখন তাদের কাজ বাস্তবায়ন করে চলেছেন। এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরীফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, নানা কারণে কিশোরগঞ্জের সমাবেশটি দেশের অন্য যেকোনো জেলার সমাবেশে থেকে বাড়তি গুরুত্ব বহন করে। তাঁর দাবি, সমাবেশের লোক সমাগম থেকে শুরু করে আয়োজন দেখে দলের কর্মী-সমর্থকেরা নতুন করে প্রেরণা খুঁজে পাবে, যা পরবর্তী লড়াই–সংগ্রামে কাজে আসবে। এদিকে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হিলালী পক্ষ মূল মঞ্চে না থাকার সিদ্ধান্তে অনড় আছে। তাঁরা কোথাও দাঁড়িয়ে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানানোর পরিকল্পনা থেকেও সরে এসে দিনটি নীরবে কাটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাসুদ হিলালী বলেন, দিনটি আমি ঘরে বসেই কাটিয়ে দেব।
No comments