চীন-জাপান নতুন যুগের সূচনা
অবশেষে আঞ্চলিক বিরোধ ভুলে নতুন যুগের সূচনা করল চীন-জাপান। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মধ্যে বেইজিংয়ে আনুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে। আঞ্চলিক বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে দুই বছরের বেশি সময়ের পর দু’দেশের মধ্যে বহুপ্রত্যাশিত এই বৈঠকটি অনুুষ্ঠিত হল। আবে এই বৈঠককে দু’দেশের মধ্যে ‘সম্পর্ক উন্নয়নের’ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। খবর এএফপির।
শি জিনপিং ও শিনজো আবের মধ্যে এটাই প্রথম বৈঠক। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোট অ্যাপেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সোমবার বেইজিংয়ের গ্রেট হলে দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আধ ঘণ্টার বৈঠক শেষে শিনজো আবে বলেন, পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে দুই দেশের স্বার্থরক্ষার কৌশলগত সম্পর্ক পুনরায় শুরু করার জন্য এটি প্রথম পদক্ষেপ।পূর্ব চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জ চীনে দিয়ায়ু এবং জাপানে সেনকাকু নামে পরিচিত। দ্বীপপুঞ্জ জাপানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টোকিও দ্বীপপুঞ্জের জাপানি মালিকের কাছ থেকে তিনটি দ্বীপ কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এতে করে চীনের সঙ্গে দেশটির বিরোধ ঘনীভূত হয়।আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চীনে জাপানি দখলদারিত্ব ও গত দুই বছর ধরে কয়েকটি জনহীন দ্বীপের মালিকানা নিয়ে চীন-জাপানের বিরোধ আরও প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এশিয়ার শীর্ষ ও বিশ্বের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দুই অর্থনীতি প্রধানের এই বৈঠক দুই দেশের বৈরী অবস্থা অবসানে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ১০-১১ নভেম্বর বেইজিংয়ে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা (অ্যাপেক) সম্মেলন চলাকালে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের মিলিত হওয়ার প্রস্তাব দেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে চীনের বেশ কয়েকটি দাবির প্রতি জাপানের নমনীয় মনোভাবের পর আলোচনার পথ প্রশস্ত হয়। শুক্রবার দুই দেশের শীর্ষ কূটনৈতিক পর্যায়ের বৈঠকের পর শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয় উভয়পক্ষ। এর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সমুদ্র সীমানার বিতর্ক ও সংঘাত এড়াতে একটি হটলাইন প্রতিষ্ঠার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা ও জলসীমায় নৌকা চলাচলের ব্যাপারে সমঝোতার ভিত্তিতে একটি সীমারেখা টানার জন্য তিনি জিনপিংকে আহ্বান করেন। আবে বলেন, ‘আমি তাকে (জিনপিং) বলেছি, সমুদ্রসীমানায় যোগাযোগের একটি ম্যাকানিজম বাস্তবায়ন করতে। আমি মনে করি, এটাই হবে বিরোধ মীমাংসার পথে একটি বাস্তব পদক্ষেপ।’ বৈঠক-পরবর্তী এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।এদিকে, চীন সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব চীন সাগরের জলসীমা ও দিয়ায়ু দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে দুই দেশের উত্তেজনা প্রশমনে একমত হয়েছে দুই পক্ষ। সংকট কাটাতে সংলাপ ও আলোচনার ভিত্তিতে কার্যকর ম্যাকানিজম প্রতিষ্ঠা করা হবে।
শি জিনপিং ও শিনজো আবের মধ্যে এটাই প্রথম বৈঠক। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোট অ্যাপেকের শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সোমবার বেইজিংয়ের গ্রেট হলে দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আধ ঘণ্টার বৈঠক শেষে শিনজো আবে বলেন, পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে দুই দেশের স্বার্থরক্ষার কৌশলগত সম্পর্ক পুনরায় শুরু করার জন্য এটি প্রথম পদক্ষেপ।পূর্ব চীন সাগরে বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জকে কেন্দ্র করে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জ চীনে দিয়ায়ু এবং জাপানে সেনকাকু নামে পরিচিত। দ্বীপপুঞ্জ জাপানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টোকিও দ্বীপপুঞ্জের জাপানি মালিকের কাছ থেকে তিনটি দ্বীপ কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এতে করে চীনের সঙ্গে দেশটির বিরোধ ঘনীভূত হয়।আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে চীনে জাপানি দখলদারিত্ব ও গত দুই বছর ধরে কয়েকটি জনহীন দ্বীপের মালিকানা নিয়ে চীন-জাপানের বিরোধ আরও প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এশিয়ার শীর্ষ ও বিশ্বের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দুই অর্থনীতি প্রধানের এই বৈঠক দুই দেশের বৈরী অবস্থা অবসানে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ১০-১১ নভেম্বর বেইজিংয়ে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা (অ্যাপেক) সম্মেলন চলাকালে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের মিলিত হওয়ার প্রস্তাব দেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে চীনের বেশ কয়েকটি দাবির প্রতি জাপানের নমনীয় মনোভাবের পর আলোচনার পথ প্রশস্ত হয়। শুক্রবার দুই দেশের শীর্ষ কূটনৈতিক পর্যায়ের বৈঠকের পর শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে সম্মত হয় উভয়পক্ষ। এর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ২০১১ সালের ডিসেম্বরে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সমুদ্র সীমানার বিতর্ক ও সংঘাত এড়াতে একটি হটলাইন প্রতিষ্ঠার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিতর্কিত দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা ও জলসীমায় নৌকা চলাচলের ব্যাপারে সমঝোতার ভিত্তিতে একটি সীমারেখা টানার জন্য তিনি জিনপিংকে আহ্বান করেন। আবে বলেন, ‘আমি তাকে (জিনপিং) বলেছি, সমুদ্রসীমানায় যোগাযোগের একটি ম্যাকানিজম বাস্তবায়ন করতে। আমি মনে করি, এটাই হবে বিরোধ মীমাংসার পথে একটি বাস্তব পদক্ষেপ।’ বৈঠক-পরবর্তী এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।এদিকে, চীন সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব চীন সাগরের জলসীমা ও দিয়ায়ু দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে দুই দেশের উত্তেজনা প্রশমনে একমত হয়েছে দুই পক্ষ। সংকট কাটাতে সংলাপ ও আলোচনার ভিত্তিতে কার্যকর ম্যাকানিজম প্রতিষ্ঠা করা হবে।
No comments