এলো ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তির মৌসুম
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভর্তি-মৌসুম আবার এলো। রাজধানীসহ দেশের প্রধান শহরগুলোতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা সেই প্রস্তুতিতে রীতিমতো যুদ্ধে নেমে পড়েছেন। বাবা-মায়ের ঘুম হারাম অবস্থা। পছন্দের স্কুলে ভর্তি করানোর প্রাণান্তকর চেষ্টার অংশ হিসেবে সন্তানদেরও দিনরাত পড়ালেখায় নিবিষ্ট রাখা হচ্ছে। প্রথম শ্রেণীর ভর্তি আগের মতোই লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।
এবার ঢাকায় সবার আগে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ। এরপরই ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ। এর মধ্যে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল সোমবার ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের বাছাই তালিকা প্রকাশ করেছে। আর ভিকারুননিসা এদিন ফরম বিতরণ শুরু করেছে। বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজ, উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে বনানী বিদ্যানিকেতনে আজ, উদয়নে ১৫ নভেম্বর এবং আইডিয়ালে ১৭ নভেম্বর ভর্তি ফরম বিতরণ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অগ্রণী স্কুল ও কলেজ, মতিঝিল মডেল স্কুল ও কলেজ, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ রাজধানীর আরও বেশকিছু স্কুল ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্র জানায়, রাজধানীতে ৩০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তিন শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রায় পাঁচশ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং চার শতাধিক ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল ও অন্তত ৫ সহস াধিক কিন্ডারগার্টেনসহ প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব স্কুলে প্রতি বছর অন্তত ৫ লাখ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়। ভর্তিচ্ছুদের প্রায় ৯০ ভাগই তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না। কেননা রাজধানীতে সহস াধিক স্কুল থাকলেও দক্ষ শিক্ষক, আধুনিক পাঠদান পদ্ধতিসহ মানসম্মত স্কুলের সংখ্যা বড়জোর শতাধিক। সেগুলোর দিকেই শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের নজর থাকে বেশি। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী সীমিত সংখ্যক আসন দখলের জন্য রীতিমতো ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, কঠোরতম ভর্তি পরীক্ষায় সর্বসাকুল্যে ২৫-৩০ হাজার শিক্ষার্থী পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে। সন্তানকে পছন্দের প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি করাতে অভিভাবকের চেষ্টার ত্র“টি থাকে না। এজন্য শিশু শিক্ষার্থীর পেছনে একাধিক প্রাইভেট টিউটর লাগিয়ে দেন। অনেকে সন্তানকে পাঠান কোচিং সেন্টারে। এর বাইরে বাবা-মায়ের নিজস্ব বিশেষ যত্ন তো রয়েছেই।
এর বাইরে শিশুদের ভর্তি নিয়ে অভিভাবকদের আরেক ঝক্কির দিক হল ফরম সংগ্রহ। তবে গত কয়েক বছর ধরে ফরম বিতরণে কিছুটা সুষ্ঠু পরিস্থিতি ফিরেছে। একসময় রাজধানীর ভিকারুননিসা ও মতিঝিল আইডিয়ালের ফরম তোলার জন্য অনেক বাবা-মাকে আগের রাতে স্কুল গেটে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এবার ভিকারুননিসা তাদের ভর্তি ফরম ছেড়েছে অনলাইনে। সরকারি স্কুলগুলোও অনলাইনে ফরম বিতরণের প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। এ নিয়ে আজ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক বসার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর স্কুলগুলোর মধ্যে সাধারণত ৩০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভিকারুননিসা, মতিঝিল আইডিয়াল, মতিঝিল মডেল, মনিপুর, উদয়ন, অগ্রণী গার্লস, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল, দনিয়ার একে হাইস্কুলসহ বিভিন্ন স্কুল অভিভাবকদের পছন্দের শীর্ষে থাকে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও অভিভাবকদের পছন্দের শীর্ষে থাকে।
অভিযোগ রয়েছে, সন্তানের ভর্তি নিয়ে অভিভাবকদের এই উৎকণ্ঠা আর দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন স্কুলের একশ্রেণীর অসৎ শিক্ষক ভর্তিবাণিজ্যে নেমে পড়েন। নামিদামি অনেক স্কুলের বিরুদ্ধেও ভর্তিবাণিজ্যের ঘোরতর অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে ভর্তি মৌসুম এলেই সক্রিয় হয়ে ওঠে একশ্রেণীর দালাল। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মানসিকতা থেকেই এবার সরকারি নীতিমালা বা সিদ্ধান্তের আগেই বিভিন্ন স্কুল ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি সিদ্ধান্তের আগে এভাবে ফরম বিতরণের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা রীতিমতো স্বেচ্ছাচারিতার শামিল। এটা কাক্সিক্ষত নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক) জাকির হোসেন ভূইঞা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া এভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত নয়। যদি মন্ত্রণালয় নীতিমালা জারি না করে আর স্কুলগুলোকে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে হয়, সে ক্ষেত্রে তারা নির্দেশনা চাইতে পারে। অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সোমবার শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে সব ধরনের ভর্তি অনলাইনের অধীনে নিয়ে আসব।
সরকারি স্কুলে ভর্তি নিয়ে আজ বৈঠক : রাজধানীসহ সারা দেশের অভিভাবকদের কাছে অতি আকর্ষণীয় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। ওই সব স্কুলের ভর্তির ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আজ বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ বৈঠকে নতুন বছরের ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মাউশির উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মোস্তফা কামাল গতকাল যুগান্তরকে বলেন, ভর্তি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কাল (আজ মঙ্গলবার) বৈঠক ডাকা হয়েছে। মন্ত্রণালয় নীতিমালা ঠিক করে দেবে। এরপর আমরা বৈঠকে বসব।
এবার ঢাকায় সবার আগে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করেছে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ। এরপরই ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজ। এর মধ্যে ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল সোমবার ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের বাছাই তালিকা প্রকাশ করেছে। আর ভিকারুননিসা এদিন ফরম বিতরণ শুরু করেছে। বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল ও কলেজ, উদয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে বনানী বিদ্যানিকেতনে আজ, উদয়নে ১৫ নভেম্বর এবং আইডিয়ালে ১৭ নভেম্বর ভর্তি ফরম বিতরণ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অগ্রণী স্কুল ও কলেজ, মতিঝিল মডেল স্কুল ও কলেজ, মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ রাজধানীর আরও বেশকিছু স্কুল ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) সূত্র জানায়, রাজধানীতে ৩০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তিন শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, প্রায় পাঁচশ বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং চার শতাধিক ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল ও অন্তত ৫ সহস াধিক কিন্ডারগার্টেনসহ প্রায় সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব স্কুলে প্রতি বছর অন্তত ৫ লাখ ছাত্রছাত্রী ভর্তি হয়। ভর্তিচ্ছুদের প্রায় ৯০ ভাগই তাদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে না। কেননা রাজধানীতে সহস াধিক স্কুল থাকলেও দক্ষ শিক্ষক, আধুনিক পাঠদান পদ্ধতিসহ মানসম্মত স্কুলের সংখ্যা বড়জোর শতাধিক। সেগুলোর দিকেই শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের নজর থাকে বেশি। বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী সীমিত সংখ্যক আসন দখলের জন্য রীতিমতো ভর্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। সংশ্লিষ্টরা জানান, কঠোরতম ভর্তি পরীক্ষায় সর্বসাকুল্যে ২৫-৩০ হাজার শিক্ষার্থী পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারে। সন্তানকে পছন্দের প্রতিষ্ঠানটিতে ভর্তি করাতে অভিভাবকের চেষ্টার ত্র“টি থাকে না। এজন্য শিশু শিক্ষার্থীর পেছনে একাধিক প্রাইভেট টিউটর লাগিয়ে দেন। অনেকে সন্তানকে পাঠান কোচিং সেন্টারে। এর বাইরে বাবা-মায়ের নিজস্ব বিশেষ যত্ন তো রয়েছেই।
এর বাইরে শিশুদের ভর্তি নিয়ে অভিভাবকদের আরেক ঝক্কির দিক হল ফরম সংগ্রহ। তবে গত কয়েক বছর ধরে ফরম বিতরণে কিছুটা সুষ্ঠু পরিস্থিতি ফিরেছে। একসময় রাজধানীর ভিকারুননিসা ও মতিঝিল আইডিয়ালের ফরম তোলার জন্য অনেক বাবা-মাকে আগের রাতে স্কুল গেটে অবস্থান করতে দেখা গেছে। এবার ভিকারুননিসা তাদের ভর্তি ফরম ছেড়েছে অনলাইনে। সরকারি স্কুলগুলোও অনলাইনে ফরম বিতরণের প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। এ নিয়ে আজ মন্ত্রণালয়ে বৈঠক বসার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর স্কুলগুলোর মধ্যে সাধারণত ৩০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভিকারুননিসা, মতিঝিল আইডিয়াল, মতিঝিল মডেল, মনিপুর, উদয়ন, অগ্রণী গার্লস, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল, দনিয়ার একে হাইস্কুলসহ বিভিন্ন স্কুল অভিভাবকদের পছন্দের শীর্ষে থাকে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও অভিভাবকদের পছন্দের শীর্ষে থাকে।
অভিযোগ রয়েছে, সন্তানের ভর্তি নিয়ে অভিভাবকদের এই উৎকণ্ঠা আর দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন স্কুলের একশ্রেণীর অসৎ শিক্ষক ভর্তিবাণিজ্যে নেমে পড়েন। নামিদামি অনেক স্কুলের বিরুদ্ধেও ভর্তিবাণিজ্যের ঘোরতর অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে ভর্তি মৌসুম এলেই সক্রিয় হয়ে ওঠে একশ্রেণীর দালাল। সংশ্লিষ্টরা জানান, এই মানসিকতা থেকেই এবার সরকারি নীতিমালা বা সিদ্ধান্তের আগেই বিভিন্ন স্কুল ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি সিদ্ধান্তের আগে এভাবে ফরম বিতরণের মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা রীতিমতো স্বেচ্ছাচারিতার শামিল। এটা কাক্সিক্ষত নয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক) জাকির হোসেন ভূইঞা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া এভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত নয়। যদি মন্ত্রণালয় নীতিমালা জারি না করে আর স্কুলগুলোকে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে হয়, সে ক্ষেত্রে তারা নির্দেশনা চাইতে পারে। অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সোমবার শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে সব ধরনের ভর্তি অনলাইনের অধীনে নিয়ে আসব।
সরকারি স্কুলে ভর্তি নিয়ে আজ বৈঠক : রাজধানীসহ সারা দেশের অভিভাবকদের কাছে অতি আকর্ষণীয় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। ওই সব স্কুলের ভর্তির ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আজ বৈঠক ডাকা হয়েছে। এ বৈঠকে নতুন বছরের ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে মাউশির উপপরিচালক (মাধ্যমিক) মোস্তফা কামাল গতকাল যুগান্তরকে বলেন, ভর্তি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কাল (আজ মঙ্গলবার) বৈঠক ডাকা হয়েছে। মন্ত্রণালয় নীতিমালা ঠিক করে দেবে। এরপর আমরা বৈঠকে বসব।
No comments