চার বিভাগে ট্রেন চলাচল বন্ধের উপক্রম
স্টেশন মাস্টার, গার্ড ও চালক স্বল্পতায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে রেলওয়ের চার বিভাগে ট্রেন চলাচল। ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে একটি রুট। জরুরি ভিত্তিতে এসব পদে লোক নিয়োগ না হলে খুব শিগগিরই বন্ধ হবে বাকি রুটগুলোর ট্রেন চলাচল। পাশাপাশি মাস্টারের অভাবে পুনরায় চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বন্ধ হওয়া ১৩২টি স্টেশন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে দুইজনের পরিবর্তে একজন করে চালক ও গার্ড দিয়ে ঝুঁকিতে চলছে বিভিন্ন রুটের ট্রেন। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্টেশন মাস্টার, চালক ও গার্ড- এ তিন পদে কর্মরতদের অধিকাংশই চুক্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন। সম্প্রতি এদের বেশির ভাগেরই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। অবসরপ্রাপ্তদের চুক্তিতে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি এখন রেলওয়ে বিভাগের একটি স্থায়ী সংস্কৃতি। এর পেছনে মোটা অংকের লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের আরও অভিযোগ, যথাসময়ে নতুন লোক না নিয়ে এই মুহূর্তে সৃষ্টি করা হয়েছে একটি কৃত্রিম সংকট। যাতে আবারও চুক্তিতে লোক নিয়োগ দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। কারণ এই মুহূর্তে যদি নতুন লোক নিয়োগ দেয়াও হয়, সেক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষে পুরোদমে কাজ শুরু করতে লেগে যাবে এক থেকে দুই বছর।
আরও জানা গেছে, চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া ২৩ জন চালক ও ৫২ জন গার্ডের চাকরির মেয়াদ গত ১৮ নভেম্বর শেষ হয়েছে। ফলে রেলওয়ের পাকশী, ঢাকা, লালমনিরহাট ও চট্টগ্রাম- এ চার বিভাগে রেল চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। গার্ড ও চালকের স্বল্পতায় সিলেটের শায়েস্তাগঞ্জ-ভৈরব রুটের লোকাল বাল্লা ট্রেনটি ২১ অক্টোম্বর থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে শূন্য পদগুলোতে আবারও চুক্তিতে চালক, গার্ড ও স্টেশন মাস্টার নিয়োগ দিতে না পারলে চলতি মাসেই আরও ৫/৭টি লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিতে হবে।
রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সম্পতি সারা দেশে ৫৩ জন ট্রেন চালককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণ শেষে তাদের যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে দেয়া হবে। এছাড়া ১৭৭ জন চালক, ৩শ স্টেশন মাস্টার ও ৯৩ জন গার্ড নিয়োগের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক চাপ ও নানা অনিয়মের অভিযোগে এ নিয়োগ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। আর স্টেশন মাস্টারের অভাবেই চালু করা যাচ্ছে না ১৩২টি স্টেশন।
এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ট্রেনে ২ জন করে চালক ও গার্ড থাকার কথা। কিন্তু এ মুহূর্তে উল্লেখিত রুটগুলোতে একজন করে থাকছে। এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট বিভাগের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, চালক ও গার্ড স্বল্পতায় বিভিন্ন যাত্রীবাহী ট্রেন একজন দিয়ে চালাতে হচ্ছে। ফলে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি থাকছেই। পাকশী বিভাগের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা সুবিত কুমার বিশ্বাস জানান, জরুরি ভিত্তিতে গার্ড ও চালক নিয়োগ করা না গেলে ট্রেন চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে রেলওয়ে মহাপরিচালক তাফাজ্জল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ১৭৭ জন ট্রেন চালক, ৩শ স্টেশন মাস্টার ও ৯৩ জন গার্ড নিয়োগের কাজ অচিরেই সমাপ্ত হবে। এসব পদে নিয়োগ সম্পন্ন হলে সমস্যা মিটে যাবে। তখন আর অবসরপ্রাপ্তদের দিয়ে চুক্তি ভিত্তিতে ট্রেন চালাতে হবে না।
গার্ড ও চালকের অভাবে বন্ধ করে দেয়া বাল্লা ট্রেনটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র অভিযোগ করেছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শূন্য পদে লোক নিয়োগ না করে অবসরপ্রাপ্তদের দিয়ে চুক্তিভিত্তিক কাজ করানো হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে অবৈধ অর্থবাণিজ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে শ্রমিক লীগের এক নেতা বলেন, যথাসময়ে নতুন লোক নিয়োগ না দিয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে মহাব্যস্ত রয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আর এসব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে অহেতুক মোট অংকের অর্থ গচ্চা দিচ্ছে সরকার। কারণ চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তরা নিয়মিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দৈনিক ভাতা পাচ্ছেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্টেশন মাস্টার, চালক ও গার্ড- এ তিন পদে কর্মরতদের অধিকাংশই চুক্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন। সম্প্রতি এদের বেশির ভাগেরই চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ সংকট দেখা দিয়েছে। অবসরপ্রাপ্তদের চুক্তিতে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি এখন রেলওয়ে বিভাগের একটি স্থায়ী সংস্কৃতি। এর পেছনে মোটা অংকের লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের আরও অভিযোগ, যথাসময়ে নতুন লোক না নিয়ে এই মুহূর্তে সৃষ্টি করা হয়েছে একটি কৃত্রিম সংকট। যাতে আবারও চুক্তিতে লোক নিয়োগ দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। কারণ এই মুহূর্তে যদি নতুন লোক নিয়োগ দেয়াও হয়, সেক্ষেত্রে তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষে পুরোদমে কাজ শুরু করতে লেগে যাবে এক থেকে দুই বছর।
আরও জানা গেছে, চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া ২৩ জন চালক ও ৫২ জন গার্ডের চাকরির মেয়াদ গত ১৮ নভেম্বর শেষ হয়েছে। ফলে রেলওয়ের পাকশী, ঢাকা, লালমনিরহাট ও চট্টগ্রাম- এ চার বিভাগে রেল চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। গার্ড ও চালকের স্বল্পতায় সিলেটের শায়েস্তাগঞ্জ-ভৈরব রুটের লোকাল বাল্লা ট্রেনটি ২১ অক্টোম্বর থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে শূন্য পদগুলোতে আবারও চুক্তিতে চালক, গার্ড ও স্টেশন মাস্টার নিয়োগ দিতে না পারলে চলতি মাসেই আরও ৫/৭টি লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দিতে হবে।
রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সম্পতি সারা দেশে ৫৩ জন ট্রেন চালককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণ শেষে তাদের যাত্রীবাহী ট্রেন চালাতে দেয়া হবে। এছাড়া ১৭৭ জন চালক, ৩শ স্টেশন মাস্টার ও ৯৩ জন গার্ড নিয়োগের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক চাপ ও নানা অনিয়মের অভিযোগে এ নিয়োগ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না। আর স্টেশন মাস্টারের অভাবেই চালু করা যাচ্ছে না ১৩২টি স্টেশন।
এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি ট্রেনে ২ জন করে চালক ও গার্ড থাকার কথা। কিন্তু এ মুহূর্তে উল্লেখিত রুটগুলোতে একজন করে থাকছে। এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট বিভাগের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, চালক ও গার্ড স্বল্পতায় বিভিন্ন যাত্রীবাহী ট্রেন একজন দিয়ে চালাতে হচ্ছে। ফলে ট্রেন চলাচলে ঝুঁকি থাকছেই। পাকশী বিভাগের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা সুবিত কুমার বিশ্বাস জানান, জরুরি ভিত্তিতে গার্ড ও চালক নিয়োগ করা না গেলে ট্রেন চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
জানতে চাইলে রেলওয়ে মহাপরিচালক তাফাজ্জল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, ১৭৭ জন ট্রেন চালক, ৩শ স্টেশন মাস্টার ও ৯৩ জন গার্ড নিয়োগের কাজ অচিরেই সমাপ্ত হবে। এসব পদে নিয়োগ সম্পন্ন হলে সমস্যা মিটে যাবে। তখন আর অবসরপ্রাপ্তদের দিয়ে চুক্তি ভিত্তিতে ট্রেন চালাতে হবে না।
গার্ড ও চালকের অভাবে বন্ধ করে দেয়া বাল্লা ট্রেনটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র অভিযোগ করেছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শূন্য পদে লোক নিয়োগ না করে অবসরপ্রাপ্তদের দিয়ে চুক্তিভিত্তিক কাজ করানো হচ্ছে। এর পেছনে রয়েছে অবৈধ অর্থবাণিজ্য। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রেলওয়ে শ্রমিক লীগের এক নেতা বলেন, যথাসময়ে নতুন লোক নিয়োগ না দিয়ে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে মহাব্যস্ত রয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। আর এসব চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে অহেতুক মোট অংকের অর্থ গচ্চা দিচ্ছে সরকার। কারণ চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তরা নিয়মিতদের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দৈনিক ভাতা পাচ্ছেন।
No comments