পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার বইয়ে বর্ণনা-বাঙালি নারীদের নির্যাতনের নির্দেশ দেন নিয়াজি-বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসিতে ঝোলাতে চেয়েছিলেন টিক্কা
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের (তখনকার পূর্ব পাকিস্তান) নারীদের ওপর নির্যাতন চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের (তখনকার পশ্চিম পাকিস্তান) জেনারেল এ এ কে নিয়াজি। অনৈতিক ওই নির্দেশ না মানায় কোমরে ঝোলানো পিস্তল বের করে এক বাঙালি কর্মকর্তাকে (মেজর মোস্তাক) গুলি করেন নিয়াজি। ওই সময়
পাকিস্তানি বাহিনীর চর্তুদশ ডিভিশনের লেফটেন্যান্ট মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজার সামনেই ঘটে এ ঘটনা।
'আ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি ইস্ট পাকিস্তান ১৯৬৯-৭১' বইয়ে এ কথা লিখে গেছেন খাদিম হুসেন রাজা। সম্প্রতি তাঁর মৃত্যুর পর পাকিস্তানে এ বইটি প্রকাশিত হয়। জীবদ্দশায় স্বীকারোক্তিমূলক এ বই প্রকাশ করার সাহস পাননি লেখক। পরিবারের সদস্যদের বলে রেখেছিলেন যেন মৃত্যুর পর এ বই প্রকাশ করা হয়। বইটি প্রকাশ করেছে অঙ্ফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। বাংলাদেশ বা ভারতের বাজারে এখনো বইটি আসেনি।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের নির্মম অত্যাচারের সবিস্তার চাক্ষুষ বিবরণই শুধু নয়, সে সময় পূর্ব পাকিস্তানের কোন জেলায় কোন কোন কর্মকর্তা গণহত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, এর অকপট স্বীকারোক্তিও রয়েছে বইটিতে।
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, ঠিক তখনই খোদ পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার স্বীকারোক্তিমূলক এ বইটি প্রকাশিত হলো। এ ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে পাকিস্তান। বইটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য জারদারি সরকারকে চাপ দিচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বইটি যাতে পাকিস্তানের বাজারে আর না দেখা যায় তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে শিগগির।
নিয়াজি সম্পর্কে খাদিম হুসেন রাজা তাঁর বইতে লেখেন, যুদ্ধের শেষ দিকে এ এ কে নিয়াজি ঢাকায় ৯০ হাজার পাকিস্তানি সেনাসহ ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল জে এফ আর জ্যাকবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এর কিছুদিন আগে নিয়াজি লেখকের কাছে তাঁর পূর্ব পাকিস্তানের বান্ধবীদের ফোন নম্বর চেয়েছিলেন।
খাদিম হুসেন রাজা তাঁর বইটিতে জেনারেল আইয়ুব খান এবং জেনারেল ইয়াকুব খানের শাসনকালের বর্ণনা করেছেন। খান সেনারা কিভাবে বাঙালি নারীদের নির্যাতন করেছে, সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করে অসদুপায়ে অর্থ উপার্জন করেছে, এর বিশদ বর্ণনা রয়েছে রাজার লেখায়। পূর্ব পাকিস্তানের কমান্ডার টিক্কা খানের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। রাজা তাঁর বইতে লিখেছেন, ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহ ঘোষণার জন্য' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জনসমক্ষে ফাঁসিতে ঝোলাতে চেয়েছিলেন টিক্কা।
মেজর জেনারেল রহিম খানের অত্যাচারের বর্ণনা দিয়ে লেখক লিখেছেন, 'আমি যদিও ব্যক্তিগতভাবে রহিমের বন্ধু ছিলাম, কিন্তু সুযোগ পেলেই তিনি আমাকে ভর্ৎসনা করতেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, পূর্ব পাকিস্তানের মানুষরা একেবারেই কাপুরুষ। অনেক আগেই তাদের শায়েস্তা করা উচিত ছিল। পাঠকরা এ থেকেই বুঝতে পারবেন, পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে কাণ্ডজ্ঞানের কতটা অভাব ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের কট্টরপন্থী সামরিক কর্তাদের।' সূত্র : আনন্দবাজার।
'আ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি ইস্ট পাকিস্তান ১৯৬৯-৭১' বইয়ে এ কথা লিখে গেছেন খাদিম হুসেন রাজা। সম্প্রতি তাঁর মৃত্যুর পর পাকিস্তানে এ বইটি প্রকাশিত হয়। জীবদ্দশায় স্বীকারোক্তিমূলক এ বই প্রকাশ করার সাহস পাননি লেখক। পরিবারের সদস্যদের বলে রেখেছিলেন যেন মৃত্যুর পর এ বই প্রকাশ করা হয়। বইটি প্রকাশ করেছে অঙ্ফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস। বাংলাদেশ বা ভারতের বাজারে এখনো বইটি আসেনি।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের নির্মম অত্যাচারের সবিস্তার চাক্ষুষ বিবরণই শুধু নয়, সে সময় পূর্ব পাকিস্তানের কোন জেলায় কোন কোন কর্মকর্তা গণহত্যায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, এর অকপট স্বীকারোক্তিও রয়েছে বইটিতে।
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, ঠিক তখনই খোদ পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার স্বীকারোক্তিমূলক এ বইটি প্রকাশিত হলো। এ ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে পাকিস্তান। বইটিকে নিষিদ্ধ করার জন্য জারদারি সরকারকে চাপ দিচ্ছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, বইটি যাতে পাকিস্তানের বাজারে আর না দেখা যায় তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে শিগগির।
নিয়াজি সম্পর্কে খাদিম হুসেন রাজা তাঁর বইতে লেখেন, যুদ্ধের শেষ দিকে এ এ কে নিয়াজি ঢাকায় ৯০ হাজার পাকিস্তানি সেনাসহ ভারতের ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল জে এফ আর জ্যাকবের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। এর কিছুদিন আগে নিয়াজি লেখকের কাছে তাঁর পূর্ব পাকিস্তানের বান্ধবীদের ফোন নম্বর চেয়েছিলেন।
খাদিম হুসেন রাজা তাঁর বইটিতে জেনারেল আইয়ুব খান এবং জেনারেল ইয়াকুব খানের শাসনকালের বর্ণনা করেছেন। খান সেনারা কিভাবে বাঙালি নারীদের নির্যাতন করেছে, সাধারণ মানুষকে হেনস্থা করে অসদুপায়ে অর্থ উপার্জন করেছে, এর বিশদ বর্ণনা রয়েছে রাজার লেখায়। পূর্ব পাকিস্তানের কমান্ডার টিক্কা খানের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। রাজা তাঁর বইতে লিখেছেন, ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে 'বিদ্রোহ ঘোষণার জন্য' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জনসমক্ষে ফাঁসিতে ঝোলাতে চেয়েছিলেন টিক্কা।
মেজর জেনারেল রহিম খানের অত্যাচারের বর্ণনা দিয়ে লেখক লিখেছেন, 'আমি যদিও ব্যক্তিগতভাবে রহিমের বন্ধু ছিলাম, কিন্তু সুযোগ পেলেই তিনি আমাকে ভর্ৎসনা করতেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, পূর্ব পাকিস্তানের মানুষরা একেবারেই কাপুরুষ। অনেক আগেই তাদের শায়েস্তা করা উচিত ছিল। পাঠকরা এ থেকেই বুঝতে পারবেন, পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে কাণ্ডজ্ঞানের কতটা অভাব ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের কট্টরপন্থী সামরিক কর্তাদের।' সূত্র : আনন্দবাজার।
No comments