প্রতিবাদে বিক্ষোভ, হামলাকারীকে দল থেকে বহিষ্কার-বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা কোপালেন সাংবাদিককে
দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে চাপাতি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছেন ছাত্রলীগের এক নেতা। গতকাল শনিবার তিনি পাঁচ-সাতজন বহিরাগত সন্ত্রাসীকে নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান। প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকেরা মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।
হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিভাগ সূত্র জানায়, ক্লাসের সময়সূচি জানানোকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি আয়াজ আজাদ ও তাঁর সহপাঠী তরিকুল ইসলামের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আজাদকে মারতে উদ্যত হন। ঘটনাটি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মেহের আলী বিভাগীয়ভাবে বিষয়টি সমঝোতার জন্য আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক শাহজাহান মণ্ডলকে দায়িত্ব দেন। ওই দিন দুপুরেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান তুহিন উভয়কে ডেকে নিয়ে সমঝোতা করে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বেলা সাড়ে নয়টার দিকে সাংবাদিক আজাদ তাঁর নিজ বিভাগে গেলে ছাত্রলীগের নেতা মেহেদি হাসান ও তরিকুল ইসলাম বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে আজাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় আজাদকে চাপাতি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে সহপাঠীরা তাঁকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে তাঁকে কুষ্টিয়ার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকেরা এ খবর পেয়ে মিছিল করেছেন। পরে তাঁরা কয়েক দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একটি সঞ্চারকলিপি দেন। দাবিগুলো হলো: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী মেহেদি হাসান ও তরিকুল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং বহিরাগতদের শাস্তি প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সাংবাদিকেরা যেন কোনো প্রকার একাডেমিক প্রতিহিংসার শিকার না হন, তার নিশ্চয়তা প্রদান এবং সব সাংবাদিকের যথাযথ নিরাপত্তা প্রদান। একই দাবিতে সাংবাদিকেরা আজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করবেন।
এদিকে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জিয়া পরিষদ, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাব, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন। তারা এ হামলার ঘটনার তদন্তপূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক সেলিম তোহার নেতৃত্বে বিভাগের শিক্ষকেরা আজাদকে দেখতে যান। তাঁরা হামলাকারীদের যথাযথ শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতা মেহেদি হাসানকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। দলীয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান তুহিন। তিনি এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম. আলাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অতিসত্বর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিভাগ সূত্র জানায়, ক্লাসের সময়সূচি জানানোকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি আয়াজ আজাদ ও তাঁর সহপাঠী তরিকুল ইসলামের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আজাদকে মারতে উদ্যত হন। ঘটনাটি জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মেহের আলী বিভাগীয়ভাবে বিষয়টি সমঝোতার জন্য আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক শাহজাহান মণ্ডলকে দায়িত্ব দেন। ওই দিন দুপুরেই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান তুহিন উভয়কে ডেকে নিয়ে সমঝোতা করে দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বেলা সাড়ে নয়টার দিকে সাংবাদিক আজাদ তাঁর নিজ বিভাগে গেলে ছাত্রলীগের নেতা মেহেদি হাসান ও তরিকুল ইসলাম বহিরাগত সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে আজাদের ওপর হামলা করেন। এ সময় আজাদকে চাপাতি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে সহপাঠীরা তাঁকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে তাঁকে কুষ্টিয়ার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকেরা এ খবর পেয়ে মিছিল করেছেন। পরে তাঁরা কয়েক দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে একটি সঞ্চারকলিপি দেন। দাবিগুলো হলো: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী মেহেদি হাসান ও তরিকুল ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং বহিরাগতদের শাস্তি প্রদান, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সাংবাদিকেরা যেন কোনো প্রকার একাডেমিক প্রতিহিংসার শিকার না হন, তার নিশ্চয়তা প্রদান এবং সব সাংবাদিকের যথাযথ নিরাপত্তা প্রদান। একই দাবিতে সাংবাদিকেরা আজ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করবেন।
এদিকে সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদ, জিয়া পরিষদ, বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন, কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রেসক্লাব, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সংগঠন। তারা এ হামলার ঘটনার তদন্তপূর্বক দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক সেলিম তোহার নেতৃত্বে বিভাগের শিক্ষকেরা আজাদকে দেখতে যান। তাঁরা হামলাকারীদের যথাযথ শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হামলার ঘটনায় জড়িত ছাত্রলীগের নেতা মেহেদি হাসানকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। দলীয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান তুহিন। তিনি এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম. আলাউদ্দিন বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অতিসত্বর কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
No comments