পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তার লেখা বইয়ের তথ্য-নারীদের ওপর সেনা লেলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন নিয়াজি
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের সেনাসদস্যদের বাঙালি নারীদের ওপর লেলিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের লে. জেনারেল এ এ কে নিয়াজি। শুধু তাই নয়, বাঙালি জাতিগোষ্ঠী পরিবর্তিত হয়ে নতুন জাতিগোষ্ঠী সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত বাঙালি নারীদের ওপর সেনাদের নির্যাতন চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের প্রয়াত মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজা তাঁর লেখা এ স্ট্রেঞ্জার ইন মাই ওন কান্ট্রি: ইস্ট পাকিস্তান, ১৯৬৯-১৯৭১ শীর্ষক বইয়ে এসব কথা লিখেছেন। সে সময় খাদিম রাজা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ১৪তম ডিভিশনের দায়িত্বে ছিলেন। খাদিমের লেখা এ বিষয়গুলো সত্য ঘটনা বলেই সম্ভবত তিনি তাঁর মৃত্যুর পর তা বই আকারে প্রকাশ করতে বলেছিলেন। পাকিস্তানের দৈনিক দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন ৮ জুলাই ওই বই নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ৭ জুলাই অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস বইটি প্রকাশ করে।
মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজা লিখেছেন, ‘আমরা সেই চরম ঘটনার মুখোমুখি হলাম। জেনারেল নিয়াজি তাঁর কোমরবন্ধে থাকা খাপের মধ্যে নিজের পিস্তল ভরতে ভরতে আমাদের ঘরে ঢুকলেন। তিনি বাঙালিদের উদ্দেশে একটানা গালিগালাজ করতে থাকেন। ভাঙা ভাঙা উর্দুতে নিয়াজি বলতে থাকেন, আমি বাঙালি জাতিগোষ্ঠী পাল্টে দেব। তারা আমাকে কী মনে করেছে।’ এ সময় নিয়াজি বাঙালি নারীদের ওপর পাকিস্তানি সেনাদের লেলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তাঁর এমন মন্তব্যে ওই কক্ষে পিনপতন নীরবতা নামে। এক পর্যায়ে নিয়াজি খাদিম রাজার কাছে তাঁর বাঙালি নারীবন্ধুদের ফোন নম্বরও চান। উর্দুতে নিয়াজি বলেন, ‘আপনার বাঙালি নারীবন্ধুদের ফোন নম্বর আমাকে দিন।’ খাদিম রাজা লিখেছেন, পরদিন তাঁরা মন খারাপ করা এক খবর পান। তাঁর ডিভিশনের সদর দপ্তরে মেজর মুস্তাক নামের একজন বাঙালি কর্মকর্তা শৌচাগারে ঢুকে নিজের পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন।
মেজর খাদিম লিখেছেন, জেনারেল টিক্কা খান আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকায় জনসমক্ষে ফাঁসি দিতে চেয়েছিলেন। মেজর জেনারেল রহিম খান সম্পর্কে খাদিম রাজা লিখেছেন, জেনারেল রহিম তাঁর বন্ধু ছিলেন। কিন্তু সুযোগ পেলেই রহিম তাঁর (খাদিম রাজা) ও ঢাকার সেনা কমান্ডারদের সমালোচনা করতেন। জেনারেল রহিমের মতে, বাঙালিরা কাপুরুষ। অনেক আগেই তাঁদের শায়েস্তা করা উচিত ছিল।
দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, একমাত্র জেনারেল নিয়াজির কারণেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তান কলঙ্কিত হয়েছে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সেই জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেন। তিনি ছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শেষ গভর্নর ও সামরিক আইন প্রশাসক।
মেজর জেনারেল খাদিম হুসেন রাজা লিখেছেন, ‘আমরা সেই চরম ঘটনার মুখোমুখি হলাম। জেনারেল নিয়াজি তাঁর কোমরবন্ধে থাকা খাপের মধ্যে নিজের পিস্তল ভরতে ভরতে আমাদের ঘরে ঢুকলেন। তিনি বাঙালিদের উদ্দেশে একটানা গালিগালাজ করতে থাকেন। ভাঙা ভাঙা উর্দুতে নিয়াজি বলতে থাকেন, আমি বাঙালি জাতিগোষ্ঠী পাল্টে দেব। তারা আমাকে কী মনে করেছে।’ এ সময় নিয়াজি বাঙালি নারীদের ওপর পাকিস্তানি সেনাদের লেলিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তাঁর এমন মন্তব্যে ওই কক্ষে পিনপতন নীরবতা নামে। এক পর্যায়ে নিয়াজি খাদিম রাজার কাছে তাঁর বাঙালি নারীবন্ধুদের ফোন নম্বরও চান। উর্দুতে নিয়াজি বলেন, ‘আপনার বাঙালি নারীবন্ধুদের ফোন নম্বর আমাকে দিন।’ খাদিম রাজা লিখেছেন, পরদিন তাঁরা মন খারাপ করা এক খবর পান। তাঁর ডিভিশনের সদর দপ্তরে মেজর মুস্তাক নামের একজন বাঙালি কর্মকর্তা শৌচাগারে ঢুকে নিজের পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন।
মেজর খাদিম লিখেছেন, জেনারেল টিক্কা খান আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকায় জনসমক্ষে ফাঁসি দিতে চেয়েছিলেন। মেজর জেনারেল রহিম খান সম্পর্কে খাদিম রাজা লিখেছেন, জেনারেল রহিম তাঁর বন্ধু ছিলেন। কিন্তু সুযোগ পেলেই রহিম তাঁর (খাদিম রাজা) ও ঢাকার সেনা কমান্ডারদের সমালোচনা করতেন। জেনারেল রহিমের মতে, বাঙালিরা কাপুরুষ। অনেক আগেই তাঁদের শায়েস্তা করা উচিত ছিল।
দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, একমাত্র জেনারেল নিয়াজির কারণেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তান কলঙ্কিত হয়েছে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সেই জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করেন। তিনি ছিলেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শেষ গভর্নর ও সামরিক আইন প্রশাসক।
No comments