জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতীদের সংবর্ধনা ২০১২-মেধাবীদের প্রত্যয় ‘আমরা করব জয়’ by হারুন আল রশীদ
শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর পরিচালনায় ব্যান্ড এলআরবি সুর ভেজেছে। আর প্রায় ছয় হাজার কৃতী শিক্ষার্থী যন্ত্রের সেই সুরের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে গেয়েছে ‘আমরা করব জয়’। সমাপনী এই সমবেত সংগীতের আগে বিশিষ্টজনেরাও তাদের সর্বজয়ী হওয়ার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন।
শিক্ষার্থীদের এই সবকিছু জয়ের প্রত্যয়ের মধ্য দিয়ে গতকাল শনিবার শেষ হয়েছে প্রথম আলোর আয়োজনে মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। গত শুক্রবারও প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীকে ঢাকার অদূরের নন্দন পার্কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল প্রথম আলো বন্ধুসভা। বেসরকারি টিভি চ্যানেল মাছরাঙা দুই দিনের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করেছে।
৮০টি বাসে করে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয় নন্দন পার্কে। দিনের প্রথম ভাগে তারা সেখানে বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দ করে। প্রথম আলোর ফিচার সম্পাদক সুমনা শারমীনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয় দুপুরের পর। শুরুতে মঞ্চে আসেন শিল্পী পলাশ, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু’ গান নিয়ে। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকে জনপ্রিয় শিল্পীদের গান।
অতিথিদের মধ্যে সাংসদ তারানা হালিম বলেন, ‘যখন আমাদের দেশের স্বার্থ, সম্মান আর মর্যাদার প্রশ্ন দেখা দেবে, তখন আমরা সবাই বাঙালি। শিক্ষা এবং রাজনীতির বাইরে মাদক, দুর্নীতি এবং সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে দল-মতনির্বিশেষে এগিয়ে আসতে হবে।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল মেধাবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দুর্জয় তারুণ্য দুর্নীতির ঊর্ধ্বে। আমরাই পারব নারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস এবং সহিংসতা রোধ করতে। আমরাই পারব বাংলাদেশকে মানুষের বাঁচার উপযোগী করতে।’
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘দেশকে আবেগ ও কাজ দিয়ে ভালোবাসা যায়। আমার কাজ ভালো পত্রিকা করা। তোমাদের কাজ পড়াশোনা করা। তার সঙ্গে খেলাধুলা করতে হবে। বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে হলে ভালো ইংরেজিও জানতে হবে।’
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘বদলে যাও বদলে দাও’ স্লোগান দিয়ে তোমরা সবাই মিলে দেশকে বদলে দিতে পারো। প্রথমে নিজেকে বদলাতে হবে, তারপর পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র।’ তিনি কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের ভালোবাসি, তোমরা বড় হও, এগিয়ে যাও।’
গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রথম আলোর উপসম্পাদক আনিসুল হক বলেন, ‘তোমরা সব সময় আগে নিজের কাজটি করবে। দুর্নীতি-সন্ত্রাসকে “না” বলবে। বিতর্ক, সংগীত ও নাটকের চর্চা করতে হবে। তবে পড়াশোনা অবশ্যই করতে হবে।’
গান গেয়ে শোনানোর পাশাপাশি আইয়ুব বাচ্চু বলেন, ‘আগামীতে তোমাদের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ দেখব।’ শিক্ষার্থীদের সমবেত কণ্ঠে গান গাওয়ার সুযোগ দেওয়া ছাড়াও তিনি নিজ কণ্ঠে গেয়ে শোনান ‘মন চাইলে মন পাবে’, ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’ এবং ‘মাগো ভাবনা কেন...।’
‘বদলে যাও বদলে দাও’ গান গেয়ে শিক্ষার্থীদের মাতিয়ে তোলেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। বদলে যাও বদলে দাও প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে। এরপর তিনি গেয়ে শোনান ‘চল্ চল্ চল্, ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’, ‘বেশ বেশ বেশ, শাবাশ বাংলাদেশ’ গাওয়ার আগে আসিফ কৃতী শিক্ষার্থীদের তাঁর সঙ্গে গাইতে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা গাইব, যেন সাকিব-তামিমরা সুদূর আয়ারল্যান্ড থেকে আমাদের কণ্ঠ শুনতে পান।’
ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তাঁর কণ্ঠেও ছিল বড় হওয়া আর দেশপ্রেমের প্রেরণা।
চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘তোমাদের বড় হতে হবে। ভালো কাজ করতে হবে। ভালো মানুষ হতে হবে। তোমরাই দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। আমি তোমাদের ভালোবাসি এবং প্রতিবার এই অনুষ্ঠানে আসি।’
এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি মুসা ইব্রাহীম বলেন, ‘তোমাদের সঙ্গে দেখা করতে ভালো লাগে।’ বাংলাদেশ কবে প্রথম এভারেস্ট জয় করেছে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে এক ছাত্রী মুসা ইব্রাহীমের লেখা পাহাড়চূড়ার হাতছানি, কেওক্রাডং থেকে এভারেস্ট বইটি উপহার পায়।
বর্ণিল এই হুল্লোড়ের মাঝে কেবল রং বদলেছে আষাঢ়ের আকাশ। সকালের দিকে কিছুটা ফরসা থাকলেও দুপুরের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সংগীত পর্বের শুরুতে পলাশের পর কণ্ঠশিল্পী আতিক গেয়ে শোনান ‘চুমকি চলেছে একা পথে’। কিশোর শোনান ‘ভালোবাসি তোমাকে’ এবং ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ গান দুটি।
কণ্ঠশিল্পী কনা যখন মঞ্চে, তখন তুমুল বৃষ্টি। শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ তখন মনের আনন্দে কাদাপানিতে লুটোপুটি খাচ্ছিল। কনা গেয়ে শোনান, ‘রিম ঝিমঝিম বৃষ্টি’ এবং ‘বাজে ধিন তা না না’।
ইউসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল ইসলামের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানান।
এর আগে দিনের প্রথম পর্বে শিক্ষার্থীরা তাদের সনদ ও ক্রেস্ট সংগ্রহ করে। তার পরই তারা খেলাধুলায় মেতে ওঠে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কেবল কার, চরকাবুড়ির চক্কর এবং ওয়াটার কোস্টারে চড়ার আগ্রহ ছিল বেশি। তবে এগুলোতে চড়তে দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এ পরীক্ষায় অনেকে অধৈর্য হয়ে ঝুলন্ত ঘূর্ণিতে পাক খেয়েছে, অদ্ভুতুম গাড়িতে চড়েছে, অথবা খেলনা কামানে সফট বল ছোড়াছুড়ি করেছে। কারণ, এগুলোতে ভিড় ছিল অপেক্ষাকৃত কম।
চরকাবুড়ির চক্কর (মুন রেকার) খাওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল সানিউল হক ও নুরুল আলম। দুজনই পড়ছে সরকারি বিজ্ঞান কলেজে। লাইনে তাদের সামনে আরও ৫০০ জনের মতো দাঁড়িয়ে। সানিউল রসিকতা করে বলল, ‘চক্কর খাওয়ার সুযোগ ফ্রি হওয়ায় ঝামেলা বেশি। ফ্রি না হলে সবাই লাইনে দাঁড়াত না। সম্ভবত আমিও দাঁড়াতাম না।’
নিশা মাহবুবা ও ফারিয়া রহমান পাস করেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে। নিশা ভিকারুননিসায় থেকে গেলেও ফারিয়া এখন পড়ছে হলিক্রসে। দুজনের আশা, একদিন তারা প্রকৌশলী হবে। দুজনের আনন্দের মাঝে হতাশাও কম নয়। তারা কেবল কার, চরকাবুড়ির চক্কর এবং ঝুলন্ত ঘূর্ণিতে চেপেছে। কিন্তু ওয়াটার কোস্টারে চড়তে এসে মনোবল হারিয়ে ফেলেছে। কারণ, তাদের সামনে বিশাল লাইন। তাদের ধারণা, এই লাইন সারা দিনেও শেষ হবে না।
তবে খেলায়-গানে-আনন্দে দিন শেষ হয়েছে। আবার হুল্লোড় তুলে বাড়ি ফিরেছে তারা।
৮০টি বাসে করে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে যাওয়া হয় নন্দন পার্কে। দিনের প্রথম ভাগে তারা সেখানে বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দ করে। প্রথম আলোর ফিচার সম্পাদক সুমনা শারমীনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের মূল পর্ব শুরু হয় দুপুরের পর। শুরুতে মঞ্চে আসেন শিল্পী পলাশ, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু’ গান নিয়ে। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের ফাঁকে ফাঁকে চলতে থাকে জনপ্রিয় শিল্পীদের গান।
অতিথিদের মধ্যে সাংসদ তারানা হালিম বলেন, ‘যখন আমাদের দেশের স্বার্থ, সম্মান আর মর্যাদার প্রশ্ন দেখা দেবে, তখন আমরা সবাই বাঙালি। শিক্ষা এবং রাজনীতির বাইরে মাদক, দুর্নীতি এবং সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে দল-মতনির্বিশেষে এগিয়ে আসতে হবে।’
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল মেধাবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দুর্জয় তারুণ্য দুর্নীতির ঊর্ধ্বে। আমরাই পারব নারীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস এবং সহিংসতা রোধ করতে। আমরাই পারব বাংলাদেশকে মানুষের বাঁচার উপযোগী করতে।’
ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘দেশকে আবেগ ও কাজ দিয়ে ভালোবাসা যায়। আমার কাজ ভালো পত্রিকা করা। তোমাদের কাজ পড়াশোনা করা। তার সঙ্গে খেলাধুলা করতে হবে। বাংলা ভাষা এবং বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে হলে ভালো ইংরেজিও জানতে হবে।’
প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘বদলে যাও বদলে দাও’ স্লোগান দিয়ে তোমরা সবাই মিলে দেশকে বদলে দিতে পারো। প্রথমে নিজেকে বদলাতে হবে, তারপর পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র।’ তিনি কৃতী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমাদের ভালোবাসি, তোমরা বড় হও, এগিয়ে যাও।’
গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রথম আলোর উপসম্পাদক আনিসুল হক বলেন, ‘তোমরা সব সময় আগে নিজের কাজটি করবে। দুর্নীতি-সন্ত্রাসকে “না” বলবে। বিতর্ক, সংগীত ও নাটকের চর্চা করতে হবে। তবে পড়াশোনা অবশ্যই করতে হবে।’
গান গেয়ে শোনানোর পাশাপাশি আইয়ুব বাচ্চু বলেন, ‘আগামীতে তোমাদের মধ্য দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ দেখব।’ শিক্ষার্থীদের সমবেত কণ্ঠে গান গাওয়ার সুযোগ দেওয়া ছাড়াও তিনি নিজ কণ্ঠে গেয়ে শোনান ‘মন চাইলে মন পাবে’, ‘সেই তুমি কেন এত অচেনা হলে’ এবং ‘মাগো ভাবনা কেন...।’
‘বদলে যাও বদলে দাও’ গান গেয়ে শিক্ষার্থীদের মাতিয়ে তোলেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ। তিনি বলেন, নতুন প্রজন্ম সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। বদলে যাও বদলে দাও প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে। এরপর তিনি গেয়ে শোনান ‘চল্ চল্ চল্, ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল’, ‘বেশ বেশ বেশ, শাবাশ বাংলাদেশ’ গাওয়ার আগে আসিফ কৃতী শিক্ষার্থীদের তাঁর সঙ্গে গাইতে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা গাইব, যেন সাকিব-তামিমরা সুদূর আয়ারল্যান্ড থেকে আমাদের কণ্ঠ শুনতে পান।’
ছিলেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। তাঁর কণ্ঠেও ছিল বড় হওয়া আর দেশপ্রেমের প্রেরণা।
চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, ‘তোমাদের বড় হতে হবে। ভালো কাজ করতে হবে। ভালো মানুষ হতে হবে। তোমরাই দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। আমি তোমাদের ভালোবাসি এবং প্রতিবার এই অনুষ্ঠানে আসি।’
এভারেস্টজয়ী প্রথম বাংলাদেশি মুসা ইব্রাহীম বলেন, ‘তোমাদের সঙ্গে দেখা করতে ভালো লাগে।’ বাংলাদেশ কবে প্রথম এভারেস্ট জয় করেছে? এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে এক ছাত্রী মুসা ইব্রাহীমের লেখা পাহাড়চূড়ার হাতছানি, কেওক্রাডং থেকে এভারেস্ট বইটি উপহার পায়।
বর্ণিল এই হুল্লোড়ের মাঝে কেবল রং বদলেছে আষাঢ়ের আকাশ। সকালের দিকে কিছুটা ফরসা থাকলেও দুপুরের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। সংগীত পর্বের শুরুতে পলাশের পর কণ্ঠশিল্পী আতিক গেয়ে শোনান ‘চুমকি চলেছে একা পথে’। কিশোর শোনান ‘ভালোবাসি তোমাকে’ এবং ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ গান দুটি।
কণ্ঠশিল্পী কনা যখন মঞ্চে, তখন তুমুল বৃষ্টি। শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ তখন মনের আনন্দে কাদাপানিতে লুটোপুটি খাচ্ছিল। কনা গেয়ে শোনান, ‘রিম ঝিমঝিম বৃষ্টি’ এবং ‘বাজে ধিন তা না না’।
ইউসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদুল ইসলামের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানান।
এর আগে দিনের প্রথম পর্বে শিক্ষার্থীরা তাদের সনদ ও ক্রেস্ট সংগ্রহ করে। তার পরই তারা খেলাধুলায় মেতে ওঠে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কেবল কার, চরকাবুড়ির চক্কর এবং ওয়াটার কোস্টারে চড়ার আগ্রহ ছিল বেশি। তবে এগুলোতে চড়তে দীর্ঘক্ষণ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এ পরীক্ষায় অনেকে অধৈর্য হয়ে ঝুলন্ত ঘূর্ণিতে পাক খেয়েছে, অদ্ভুতুম গাড়িতে চড়েছে, অথবা খেলনা কামানে সফট বল ছোড়াছুড়ি করেছে। কারণ, এগুলোতে ভিড় ছিল অপেক্ষাকৃত কম।
চরকাবুড়ির চক্কর (মুন রেকার) খাওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল সানিউল হক ও নুরুল আলম। দুজনই পড়ছে সরকারি বিজ্ঞান কলেজে। লাইনে তাদের সামনে আরও ৫০০ জনের মতো দাঁড়িয়ে। সানিউল রসিকতা করে বলল, ‘চক্কর খাওয়ার সুযোগ ফ্রি হওয়ায় ঝামেলা বেশি। ফ্রি না হলে সবাই লাইনে দাঁড়াত না। সম্ভবত আমিও দাঁড়াতাম না।’
নিশা মাহবুবা ও ফারিয়া রহমান পাস করেছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে। নিশা ভিকারুননিসায় থেকে গেলেও ফারিয়া এখন পড়ছে হলিক্রসে। দুজনের আশা, একদিন তারা প্রকৌশলী হবে। দুজনের আনন্দের মাঝে হতাশাও কম নয়। তারা কেবল কার, চরকাবুড়ির চক্কর এবং ঝুলন্ত ঘূর্ণিতে চেপেছে। কিন্তু ওয়াটার কোস্টারে চড়তে এসে মনোবল হারিয়ে ফেলেছে। কারণ, তাদের সামনে বিশাল লাইন। তাদের ধারণা, এই লাইন সারা দিনেও শেষ হবে না।
তবে খেলায়-গানে-আনন্দে দিন শেষ হয়েছে। আবার হুল্লোড় তুলে বাড়ি ফিরেছে তারা।
No comments