পাঠকের প্রশ্ন, আইনি পরামর্শ
যেকোনো আইনি সমস্যা ও প্রশ্ন থাকলে লিখুন। বিজ্ঞ আইনজীবীরা পরামর্শ দেবেন। ঠিকানা: আইন অধিকার, প্রথম আলো, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। ই-মেইল ain@prothom-alo.info
জমি ফেরত পাব কীভাবে?
জমি ফেরত পাব কীভাবে?
আমার বাবা মারা যান ১০ বছর আগে। তিনি জীবিত অবস্থায় ১৫ বছর আগে নামমাত্র মূল্যে একজন আইনজীবীর কাছে বাড়িসহ চার শতাংশ জমি একটি বায়নাপত্রের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন। কিন্তু জমিটির মালিকানা আমার মায়ের নামে এবং তা হাউস বিল্ডিংয়ের কাছে দায়বদ্ধ, যার বর্তমান ঋণের পরিমাণ প্রায় সাত লাখ টাকা। হাউস বিল্ডিংয়ের কেস আমার মায়ের নামে চলছে। ওই আইনজীবী আমার মায়ের কাছ থেকে কিংবা হাউস বিল্ডিং কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোনো প্রকার দলিল বা কাগজ বুঝে নেননি। কিন্তু সেই জমিতে তিনি বসবাস করছেন। উল্লেখ্য, সেই চার শতাংশ জমির সঙ্গে এখনো আট শতাংশ জমি আমাদের নামে। যেখানে আমরা বাস করছি।
এ অবস্থায় আমরা কি হাউস বিল্ডিংয়ের ঋণের টাকা এবং ওই লোকের বায়নার টাকা পরিশোধ করে সেই জায়গা ফেরত পেতে পারি? যদিও হাউস বিল্ডিং কর্তৃপক্ষ বলেছে, জায়গা ও বাড়ি এখনো আমাদের নামেই রয়েছে। জানালে উপকৃত হব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
পরামর্শ: মায়ের মালিকানা থাকা জমি আপনার বাবা কীভাবে হস্তান্তর করলেন এখানে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এখানে বিক্রির বায়না দলিলটি না দেখে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি হাউস বিল্ডিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রকৃত তথ্য বের করার চেষ্টা করেন। আর আপনার বাবার করা বিক্রি দলিলটি কতটা আইনসম্মত তা যাচাই করতে হবে। যদি বিক্রিটি আইনসম্মত না হয়ে থাকে, তাহলে দেওয়ানি আদালতের আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে।
স্বামীর নির্যাতন থেকে বোনকে বাঁচাব কীভাবে?
২০০০ সালে আমার ছোট বোনের বিয়ে হয়। শর্ত ছিল, এক ভরি স্বর্ণ, একটি সাইকেল ও একটি গরু দিতে হবে। বিয়ের পরপরই আমরা সেই শর্তগুলো পূরণ করি। বিয়ের কয়েক মাস পর দেখা গেল, ছেলেটি বাড়িতে থাকে না। সে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এসে সে নানা অজুহাতে আমার বোনকে মারধর করে। এভাবে চারটি বছর কেটে যায়। একপর্যায়ে আমার বোন এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে নির্যাতনের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যায়। সন্তানটির বয়স যখন পাঁচ মাস, তখন তাকে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা করে। (মাটি গর্ত করে গলা পর্যন্ত পুঁতে রাখে।) এই নিষ্ঠুর আচরণের জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিই, সংসার করাব না। এর এক মাস পর উভয় পক্ষ বসে আর কোনো নির্যাতন করবে না—এই শর্তে আমরা সংসার করাতে রাজি হই। দুটি বছর খুব ভালোই কেটে গেল। কিন্তু এবার নির্যাতনের নতুন কৌশল হাতে নেয়। খাওয়া বাদে ধীরে ধীরে অন্যান্য খরচ বন্ধ করে দেয়। অসুখ হলে সেবা না করা, কাপড়-চোপড় না দেওয়া, আমাদের বাড়িতে আসতে না দেওয়া প্রভৃতি মানসিক নির্যাতন শুরু করে। আজ থেকে তিন বছর আগে আমার বোন দ্বিতীয় সন্তান (ছেলে) জন্ম দেয়; কিন্তু এতেও তার কোনো মানসিকতার পরিবর্তন হয় না। দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর থেকে সে অন্য এক মেয়ের প্রেমে পড়ে। এখন সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্বিতীয় বিয়ে করবে। এখন আমরা কী করব।
নূর আলম
কুড়িগ্রাম।
পরামর্শ: আপনার বোন ওই ছেলের সংসার করতে চায় কি না, তা ভেবে দেখুন। ছেলেটি যদি যৌতুকের কারণে এমন নির্যাতন করে থাকে তাহলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছেলেটির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। এ ছাড়া পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনেও প্রতিকার নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করা অপরাধ। ছেলেটি যদি অন্যত্র বিয়ে করে, তাহলে মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী আপনার বোন তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে।
পরামর্শ দিয়েছেন—এলিনা খান
আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী
এ অবস্থায় আমরা কি হাউস বিল্ডিংয়ের ঋণের টাকা এবং ওই লোকের বায়নার টাকা পরিশোধ করে সেই জায়গা ফেরত পেতে পারি? যদিও হাউস বিল্ডিং কর্তৃপক্ষ বলেছে, জায়গা ও বাড়ি এখনো আমাদের নামেই রয়েছে। জানালে উপকৃত হব।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
পরামর্শ: মায়ের মালিকানা থাকা জমি আপনার বাবা কীভাবে হস্তান্তর করলেন এখানে বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এখানে বিক্রির বায়না দলিলটি না দেখে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে বিষয়টি হাউস বিল্ডিং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রকৃত তথ্য বের করার চেষ্টা করেন। আর আপনার বাবার করা বিক্রি দলিলটি কতটা আইনসম্মত তা যাচাই করতে হবে। যদি বিক্রিটি আইনসম্মত না হয়ে থাকে, তাহলে দেওয়ানি আদালতের আশ্রয় নেওয়া যেতে পারে।
স্বামীর নির্যাতন থেকে বোনকে বাঁচাব কীভাবে?
২০০০ সালে আমার ছোট বোনের বিয়ে হয়। শর্ত ছিল, এক ভরি স্বর্ণ, একটি সাইকেল ও একটি গরু দিতে হবে। বিয়ের পরপরই আমরা সেই শর্তগুলো পূরণ করি। বিয়ের কয়েক মাস পর দেখা গেল, ছেলেটি বাড়িতে থাকে না। সে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন জায়গা ঘুরে এসে সে নানা অজুহাতে আমার বোনকে মারধর করে। এভাবে চারটি বছর কেটে যায়। একপর্যায়ে আমার বোন এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার অপরাধে নির্যাতনের মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যায়। সন্তানটির বয়স যখন পাঁচ মাস, তখন তাকে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা করে। (মাটি গর্ত করে গলা পর্যন্ত পুঁতে রাখে।) এই নিষ্ঠুর আচরণের জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিই, সংসার করাব না। এর এক মাস পর উভয় পক্ষ বসে আর কোনো নির্যাতন করবে না—এই শর্তে আমরা সংসার করাতে রাজি হই। দুটি বছর খুব ভালোই কেটে গেল। কিন্তু এবার নির্যাতনের নতুন কৌশল হাতে নেয়। খাওয়া বাদে ধীরে ধীরে অন্যান্য খরচ বন্ধ করে দেয়। অসুখ হলে সেবা না করা, কাপড়-চোপড় না দেওয়া, আমাদের বাড়িতে আসতে না দেওয়া প্রভৃতি মানসিক নির্যাতন শুরু করে। আজ থেকে তিন বছর আগে আমার বোন দ্বিতীয় সন্তান (ছেলে) জন্ম দেয়; কিন্তু এতেও তার কোনো মানসিকতার পরিবর্তন হয় না। দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর থেকে সে অন্য এক মেয়ের প্রেমে পড়ে। এখন সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দ্বিতীয় বিয়ে করবে। এখন আমরা কী করব।
নূর আলম
কুড়িগ্রাম।
পরামর্শ: আপনার বোন ওই ছেলের সংসার করতে চায় কি না, তা ভেবে দেখুন। ছেলেটি যদি যৌতুকের কারণে এমন নির্যাতন করে থাকে তাহলে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ছেলেটির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন। এ ছাড়া পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইনেও প্রতিকার নেওয়ার ব্যবস্থা আছে। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করা অপরাধ। ছেলেটি যদি অন্যত্র বিয়ে করে, তাহলে মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী আপনার বোন তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে।
পরামর্শ দিয়েছেন—এলিনা খান
আইনজীবী, মানবাধিকারকর্মী
No comments