আফগানিস্তানে বিয়েবাড়িতে হামলায় এমপিসহ নিহত ১৭
আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় সামাঙ্গান প্রদেশে গতকাল শনিবার সকালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় পার্লামেন্টের এক সদস্যসহ কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছেন। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ৪৩ জন।
নিহত এমপির নাম আহমাদ খান সামাংগানি। তাঁর মেয়ের বিয়ে উপলক্ষেই ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রদেশের রাজধানী আয়বাকে আয়োজিত বিয়ের অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন হামলাকারী। তার শরীরে লুকিয়ে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে সে সামাংগানির সঙ্গে কোলাকুলি করে। ওই অনুষ্ঠানস্থলে প্রায় ১০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তালেবান জানিয়েছে, এ ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত নয়।
প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে বোমার বিস্ফোরণের ঘটনায় এমপিসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪ত জন। এর মধ্যে পুলিশের আঞ্চলিক একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও আছেন।
প্রাদেশিক পুলিশের অপরাধবিষয়ক বিভাগের প্রধান গুলাম মোহাম্মদ খান বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আফগান সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার এবং প্রাদেশিক গোয়েন্দা প্রধানও রয়েছেন।
সামাংগানি গত শতকের আশির দশকে আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধের সময় মুজাহিদ মিলিশিয়া বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সমর্থক হিসেবে পরিচিতি ছিল তাঁর। গৃহযুদ্ধকালে উত্তরাঞ্চলের প্রভাবশালী কমান্ডার জেনারেল আবদুল রশিদ দস্তুমের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সামাংগানি। দস্তুম বর্তমানে উজবেক জাতিগোষ্ঠীর সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা। সামাংগানিও উজবেক ছিলেন।
তালেবান ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, 'এ হামলার সঙ্গে আমাদের কারো হাত নেই।' তবে তিনি হামলার ব্যাপারে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। 'সামাংগানি মুহাজিদদের কমান্ডার ছিলেন। তিনি কুখ্যাত হিসেবে পরিচিত। অনেক মানুষের সঙ্গেই তাঁর সদ্ভাবের অভাব ছিল।'
সামাংগানির ওপর হামলার একদিন আগেই পূর্বাঞ্চলীয় লাঘমান প্রদেশে বোমা হামলায় মারা যান বিশিষ্ট একজন নারী রাজনীতিক। এমনিতে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চল তুলনামূলকভাবে অনেক শান্ত। এ অঞ্চলে জঙ্গি হামলার ঘটনা অনেক কম ঘটে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রদেশের রাজধানী আয়বাকে আয়োজিত বিয়ের অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন হামলাকারী। তার শরীরে লুকিয়ে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটানোর আগে সে সামাংগানির সঙ্গে কোলাকুলি করে। ওই অনুষ্ঠানস্থলে প্রায় ১০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তালেবান জানিয়েছে, এ ঘটনার সঙ্গে তারা জড়িত নয়।
প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে বোমার বিস্ফোরণের ঘটনায় এমপিসহ ১৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪ত জন। এর মধ্যে পুলিশের আঞ্চলিক একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাও আছেন।
প্রাদেশিক পুলিশের অপরাধবিষয়ক বিভাগের প্রধান গুলাম মোহাম্মদ খান বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে আফগান সেনাবাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কমান্ডার এবং প্রাদেশিক গোয়েন্দা প্রধানও রয়েছেন।
সামাংগানি গত শতকের আশির দশকে আফগানিস্তানের গৃহযুদ্ধের সময় মুজাহিদ মিলিশিয়া বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সমর্থক হিসেবে পরিচিতি ছিল তাঁর। গৃহযুদ্ধকালে উত্তরাঞ্চলের প্রভাবশালী কমান্ডার জেনারেল আবদুল রশিদ দস্তুমের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সামাংগানি। দস্তুম বর্তমানে উজবেক জাতিগোষ্ঠীর সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা। সামাংগানিও উজবেক ছিলেন।
তালেবান ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, 'এ হামলার সঙ্গে আমাদের কারো হাত নেই।' তবে তিনি হামলার ব্যাপারে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। 'সামাংগানি মুহাজিদদের কমান্ডার ছিলেন। তিনি কুখ্যাত হিসেবে পরিচিত। অনেক মানুষের সঙ্গেই তাঁর সদ্ভাবের অভাব ছিল।'
সামাংগানির ওপর হামলার একদিন আগেই পূর্বাঞ্চলীয় লাঘমান প্রদেশে বোমা হামলায় মারা যান বিশিষ্ট একজন নারী রাজনীতিক। এমনিতে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চল তুলনামূলকভাবে অনেক শান্ত। এ অঞ্চলে জঙ্গি হামলার ঘটনা অনেক কম ঘটে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments