টিকিট কালেক্টর নার্গিজ by মাহমুদুর রহমান
কোনো বাধাই দমাতে পারেনি টুনিকে। নারী জীবনের প্রতিটি ঘাত-প্রতিঘাতকে মোকাবেলা করে এগিয়ে চলেছেন তিনি। আজ তিনি প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন নিজ কর্মক্ষেত্রে। দীর্ঘ ২৭ বছর রেলওয়ের বিভিন্ন স্টেশনে টিসির দায়িত্ব পালনে তিনি ছিলেন অতন্দ্র প্রহরী। পার্বতীপুর, সান্তাহার ও ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনে দক্ষতার সঙ্গে টিসিইর দায়িত্ব পালন
করার এই সাহসী মহিলাকে স্বাধীন বাংলায় প্রথম মহিলা টিসি হিসেবে প্রমোশন দেওয়া হয়েছে। সেই সুবাদে তিনি দেশের একমাত্র মহিলা টিটিইর দায়িত্ব পালন করছেন পশ্চিম রেলের লালমনিরহাট ডিভিশনে। ঢাকাগামী আন্তঃনগর একতা ও দ্রুতযান, দোলনচাঁপা, কাঞ্চন ও বুড়িমারী ট্রেনে রাত-দিন চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। শুধু রেল অঙ্গনেই নয়, রেডিও-টিভি ও মঞ্চে শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন এই নারী। চাকরির সুবাদে ভ্রমণ করেছেন ব্যাংকক ও ইতালি। পার্বতীপুরে তিনি টুনি আপা হিসেবে সর্বজন পরিচিত হলেও তার পুরো নাম নার্গিজ পারভীন টুনি। স্বামী কাজী মোকলেছুর রহমান রংপুর বেতারের একজন নিয়মিত কণ্ঠশিল্পী। বাড়ি পার্বতীপুর পৌরসভার আমিরগঞ্জ মহল্লায়।
শিক্ষকতা ছেড়ে ১৯৮৩ সালে রেলওয়ের টিসি (টিকিট কালেক্টর) হিসেবে যোগদান করেন তিনি। '৮৫তে বিয়ে করেন। চাকরি এবং বিয়ের পরও লেখাপড়া ছাড়েননি তিনি। ১৯৮৬ সালে ডিগ্রি পাস করেন। অকুতোভয় এই নারী ১৮ বছর কমলাপুরে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে 'জীবনতিকা' নাটকের মধ্য দিয়ে রংপুর রেডিওতে অভিষেক হয় টুনির। আবুল হায়াতের ১০৪ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ঝর্ণার গানে টিটিইর চরিত্রে অভিনয় করে নিজ কর্মকে তুলে ধরেন তিনি। শুধু নাটক নয়, তেভাগা আন্দোলনের ওপর সরকারি অনুদানে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি 'আবিয়ার'-এ নজিতনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
টুনি জানান, চাকরির ফাঁকে ফাঁকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়িত থাকলেও নিজ কর্মকে ঠিক রেখেছেন সবসময়। ট্রেনে চাকরি করায় নিজেকে অনেক সাহসী মনে হয় তার। চাকরিকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। অন্যায়ের কাছে তিনি মাথানত করেন না। আগের তুলনায় এখন বিনা টিকিটে যাত্রী কমে গেছে। যারা সুনাগরিক, দেশকে ভালোবাসেন তারা ঠিকই টিকিট কেটে ট্রেনে ওঠেন। এক শ্রেণীর যাত্রী আছে, যারা টাকা থাকার পরও টিকিট কাটেন না। তাদের সঙ্গেই ট্রেনে বচসা হয়। বেশি সমস্যা করলে আইনের হাতে তুলে দিতেও দ্বিধা করেন না তিনি। তবে ট্রেনে ভিড় থাকলে নারী হিসেবে টিকিট চেক করা সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে যাত্রী ও রেল পুলিশের সহযোগিতা নিতেই হয়।
তিনি বলেন, পরিবারের নিষেধ সত্ত্বেও এ চাকরিতে এসে সফল হয়েছেন তিনি। আগে মেয়েদের টিসিই তো দূরের কথা, চাকরি করতেই দিত না অভিভাবকরা। এখন পুলিশ, নার্সিংসহ প্রতি ক্ষেত্রেই মেয়েরা এগিয়ে আসছে। নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদের একটু সহনশীল ও সহানুভূতি কামনা করেন তিনি। মেয়েরা আর্থিক ও সামাজিকভাবে দাঁড়াতে পারলেই দেশ উন্নতির শিখরে পেঁৗছে যাবে।
পার্বতীপুর সাহেবপাড়া মহল্লার ট্রেনযাত্রী মো. সাহেব আলী জানান, টুনি বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছে এক ভয়ঙ্কর নারী। তিনি ট্রেনে উঠলে বিনা টিকিটে উঠতে চায় না কোনো যাত্রী। তার চোখ ফাঁকি দিয়ে বিনা টিকিটে গন্তব্যে পেঁৗছা অসম্ভব ব্যাপার।
লালমনিরহাট ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ট্রাফিক সুপারিনটেন্ডেন্ট সাজ্জাদ হোসেন জানান, টুনি দেশের একমাত্র মহিলা টিটিই (ট্রাভেলিং টিকিট এক্সজামিনার)। রাতে-দিনে ট্রেনে যাতে তার ডিউটি পালনে সমস্যা না হয় তার জন্য সহযোগিতা করছি। তিনি কখনও কাজে ফাঁকি দেন না। অনিয়ম ও গাফিলতি করেন না। রাজস্ব আয় ভালো দেখান। যেসব যাত্রী টাকা থেকেও টিকিট কাটে না তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে টিকিট করাতে বেশ পারদর্শী তিনি, যা পুরুষ টিটিইদের দ্বারা সম্ভব হয় না। তবে রেলের এ বিভাগে টিটিই স্বল্পতার কারণে পরিশ্রম বেড়ে গেছে তার।
শিক্ষকতা ছেড়ে ১৯৮৩ সালে রেলওয়ের টিসি (টিকিট কালেক্টর) হিসেবে যোগদান করেন তিনি। '৮৫তে বিয়ে করেন। চাকরি এবং বিয়ের পরও লেখাপড়া ছাড়েননি তিনি। ১৯৮৬ সালে ডিগ্রি পাস করেন। অকুতোভয় এই নারী ১৮ বছর কমলাপুরে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে 'জীবনতিকা' নাটকের মধ্য দিয়ে রংপুর রেডিওতে অভিষেক হয় টুনির। আবুল হায়াতের ১০৪ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ঝর্ণার গানে টিটিইর চরিত্রে অভিনয় করে নিজ কর্মকে তুলে ধরেন তিনি। শুধু নাটক নয়, তেভাগা আন্দোলনের ওপর সরকারি অনুদানে নির্মিত পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি 'আবিয়ার'-এ নজিতনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
টুনি জানান, চাকরির ফাঁকে ফাঁকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জড়িত থাকলেও নিজ কর্মকে ঠিক রেখেছেন সবসময়। ট্রেনে চাকরি করায় নিজেকে অনেক সাহসী মনে হয় তার। চাকরিকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন। অন্যায়ের কাছে তিনি মাথানত করেন না। আগের তুলনায় এখন বিনা টিকিটে যাত্রী কমে গেছে। যারা সুনাগরিক, দেশকে ভালোবাসেন তারা ঠিকই টিকিট কেটে ট্রেনে ওঠেন। এক শ্রেণীর যাত্রী আছে, যারা টাকা থাকার পরও টিকিট কাটেন না। তাদের সঙ্গেই ট্রেনে বচসা হয়। বেশি সমস্যা করলে আইনের হাতে তুলে দিতেও দ্বিধা করেন না তিনি। তবে ট্রেনে ভিড় থাকলে নারী হিসেবে টিকিট চেক করা সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে যাত্রী ও রেল পুলিশের সহযোগিতা নিতেই হয়।
তিনি বলেন, পরিবারের নিষেধ সত্ত্বেও এ চাকরিতে এসে সফল হয়েছেন তিনি। আগে মেয়েদের টিসিই তো দূরের কথা, চাকরি করতেই দিত না অভিভাবকরা। এখন পুলিশ, নার্সিংসহ প্রতি ক্ষেত্রেই মেয়েরা এগিয়ে আসছে। নারীদের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষদের একটু সহনশীল ও সহানুভূতি কামনা করেন তিনি। মেয়েরা আর্থিক ও সামাজিকভাবে দাঁড়াতে পারলেই দেশ উন্নতির শিখরে পেঁৗছে যাবে।
পার্বতীপুর সাহেবপাড়া মহল্লার ট্রেনযাত্রী মো. সাহেব আলী জানান, টুনি বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছে এক ভয়ঙ্কর নারী। তিনি ট্রেনে উঠলে বিনা টিকিটে উঠতে চায় না কোনো যাত্রী। তার চোখ ফাঁকি দিয়ে বিনা টিকিটে গন্তব্যে পেঁৗছা অসম্ভব ব্যাপার।
লালমনিরহাট ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিভিশনাল ট্রাফিক সুপারিনটেন্ডেন্ট সাজ্জাদ হোসেন জানান, টুনি দেশের একমাত্র মহিলা টিটিই (ট্রাভেলিং টিকিট এক্সজামিনার)। রাতে-দিনে ট্রেনে যাতে তার ডিউটি পালনে সমস্যা না হয় তার জন্য সহযোগিতা করছি। তিনি কখনও কাজে ফাঁকি দেন না। অনিয়ম ও গাফিলতি করেন না। রাজস্ব আয় ভালো দেখান। যেসব যাত্রী টাকা থেকেও টিকিট কাটে না তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে টিকিট করাতে বেশ পারদর্শী তিনি, যা পুরুষ টিটিইদের দ্বারা সম্ভব হয় না। তবে রেলের এ বিভাগে টিটিই স্বল্পতার কারণে পরিশ্রম বেড়ে গেছে তার।
No comments