ফিরে পাওয়া, ফিরে আসা-‘এটি তো সুপার স্পেশাল’
একজন উইম্বলডন জিতলেন সপ্তমবারের মতো। পঞ্চমবারের মতো আরেকজন। অল ইংল্যান্ড ক্লাবের চেনা সেই সেন্টারকোর্ট, চিরচেনা সেই ট্রফি। তবু এখানে আরেকটি ট্রফি জয়ের পর আবেগাপ্লুত সেরেনা উইলিয়ামস
দুই বছর আগে উইম্বলডন জেতার পর অবিশ্বাস্য রকম চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন।
দুই বছর আগে উইম্বলডন জেতার পর অবিশ্বাস্য রকম চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন।
দুঃসময় পেরিয়ে সুসময়ে ফেরাটাকে কীভাবে দেখছেন?
সেরেনা উইলিয়ামস: উফ, আসলেই বেশ একটা ধকলের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল আমাকে। আমার মনে পড়ে শুয়ে থেকে দিন কাটাতে হয়েছে আমাকে। এমনও হয়েছে টানা দুই দিন শুয়ে থেকেছি। ...তবে আমি হাল ছাড়িনি। সে সময় আমি ভীষণ ক্লান্ত বোধ করতাম। আমার পাকস্থলীতে নল বসানো ছিল, সেটা সব সময়ই টের পেতাম। উফ, এর আগে তো ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধা শুরু হয়। দুই পায়ে অস্ত্রোপচারও করা লাগে। সময়টা বেশ কঠিন ছিল। সেই অবস্থা কাটিয়ে এখানে ফিরে এসে ট্রফি জেতাটা আসলেই বিস্ময়কর।
ম্যাচটা জেতার পর আপনার পরিবারের কথা আর বিশেষভাবে এসথারের কথা বলেছিলেন। এটাও বলেছিলেন তাঁরা ছাড়া আপনি এটা করতে পারতেন না। আরেকটু বিশদভাবে যদি বলতেন, তাঁরা ঠিক আপনাকে কীভাবে সাহায্য করেছিলেন?
সেরেনা: বিশেষভাবে এসথার লি (ট্রেনার), ভাল (ব্যক্তিগত সহকারী, ইশার (বৈমাত্রেয় বড় বোন) কথা বিশেষভাবে বলতেই হবে। ও হ্যাঁ, জিল স্মোলারও (এজেন্ট) আছে এই তালিকায়। আমি হাসপাতাল থেকে ফেরার পর বলতে গেলে আমার সঙ্গেই থেকেছে তারা। তাদের সঙ্গটা ভীষণ দরকারও ছিল।
কঠিন মানসিকতার সেরেনাকেই দেখে এসেছি আমরা। কিন্তু এবারের উইম্বলডনে অন্য সেরেনাকে দেখা গেল...
সেরেনা: ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন?
আগেবপ্রবণ হয়ে পড়া। কোর্টে সব সময় তো আপনার চোখে অশ্রু দেখা যায় না...
সেরেনা: আপনি যখন অনেক কঠিন সময় পেরিয়ে আসবেন, এমনটা হতেই পারে। আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। সবাই আমার এই রূপটা দেখুক, সেটাও আমি চাই। সিনেমা দেখতে গেলে তো আমি প্রায়ই কাঁদি। একদিন তো ডেসপারেট হাউসওয়াইভস দেখতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেছিলাম।
কয়েক বছর ধরে অনেক সংগ্রাম করেছেন। এটা নতুন একটা অধ্যায়ের সূচনা নয় কি?
সেরেনা: হ্যাঁ, এটা আসলেই নতুন একটা অধ্যায়ের শুরুর মতোই মনে হচ্ছে। আশাও করছি এটা অসাধারণ কিছুরই সূচনা।
বক্সে মার্টিনা (নাভ্রাতিলোভা) স্টেফিরা (গ্রাফ) বসে খেলা দেখেছেন। তাঁরাই কী আপনার সত্যিকারের লক্ষ্য নয়?
সেরেনা: অবশ্যই, কেন নয়। পরের টুর্নামেন্টটাই আমার লক্ষ্য, এরপর পরের গ্র্যান্ড স্লাম। বুঝতেই পারছেন আমি কী বলতে চাইছি। আমি আসলে খুব দূরের কিছু চিন্তা করছি না। অল্প অল্প করেই আমাকে এগোতে দিন।
একটু আগে এই অর্জনকে অসাধারণ বলেছেন। অন্যান্য শিরোপার চেয়ে এটাকে কীভাবে আলাদা করবেন?
সেরেনা: প্রতিটা শিরোপাই বিশেষ কিছু। তবে আমার কাছে এটি সুপার স্পেশাল। এটা তো উইম্বলডন। এখানে জেতার প্রচণ্ড ইচ্ছা ছিল আমার। এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না সাতটা ম্যাচ জিতে আমি এখানে এসেছি। এমন একটা প্রত্যাবর্তন আসলেই বিশেষ কিছু। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি চাইতে পারতাম না।
সার্ভ দিয়ে যেভাবে দাপট দেখিয়েছেন...
সেরেনা: পুরো টুর্নামেন্টেই সার্ভ আমাকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। আমি জানি না এটা এত ভালো হয়েছে কীভাবে। আমি খুব একটা যে এটার চর্চা করেছিলাম তাও না।
রজার (ফেদেরার) অনেকবারই বলেছেন পিট সামপ্রাস তাঁর আদর্শ। সাম্প্রাসের মতো ১৮টি ফাইনাল খেলে ১৪টিতে জয়। এটাকে কীভাবে দেখছেন?
সেরেনা: ওয়াও! জানতাম না তো এটা। ছোট থাকতে তো তাকে দারুণ পছন্দ করতাম। আমার কুকুরের নাম জ্যাকুই পিট, সামপ্রাসের নামে।
সামনেই অলিম্পিক, এটার কেমন গুরুত্ব আপনার কাছে?
সেরেনা: এটা নিয়ে ভাবিনি। উইম্বলডন নিয়েই তো ব্যস্ত ছিলাম। তবে সোনার পদক তো সোনার পদকই। একবার পেয়েছি আরও একবার পেতে চাই।
গত ১৩টি উইম্বলডনের ১০টিই আপনারা দুই বোন ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। এই কোর্টে এত ভালোভাবে মানিয়ে নেওয়ার রহস্য কী?
সেরেনা: ঘাসের কোর্টে আমাদের সার্ভটা ভালোই হয়। দ্রুত মুভ করতে পারি। তবে সত্যিটা এই ঘাসের কোর্ট আমার খুব বেশি পছন্দ নয়। তারপরও কেন জানি আমি এখানে ভালোই খেলি।
আপনি ও ভেনাস কীভাবে একে অন্যকে উদ্দীপ্ত করেছেন? ভেনাস না থাকলে এত কিছু কি আপনার জেতা হতো?
সেরেনা: ভেনাস না থাকলে কী করতাম আমি জানি না। কোনো গ্র্যান্ড স্লাম জিততাম কি না বা আদৌ টেনিস খেলতাম কি না সেটাই জানি না। আমি সব সময় তাকে অনুসরণ করেছি। আমার মাঝে তার অপরিসীম প্রভাব।
ভেনাস আপনার বড়। আপনার কঠিন সময়ে তিনিই আপনার পাশে ছিলেন। এখন তো তাঁকেই অনেক ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। তাঁকে এখন সমর্থনের কাজটা করে যেতে হয় আপনাকে
সেরেনা: অবশ্যই। আমি সেটা করিও।
ভাষান্তর: মোসতাকিম হোসেন
সেরেনা উইলিয়ামস: উফ, আসলেই বেশ একটা ধকলের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল আমাকে। আমার মনে পড়ে শুয়ে থেকে দিন কাটাতে হয়েছে আমাকে। এমনও হয়েছে টানা দুই দিন শুয়ে থেকেছি। ...তবে আমি হাল ছাড়িনি। সে সময় আমি ভীষণ ক্লান্ত বোধ করতাম। আমার পাকস্থলীতে নল বসানো ছিল, সেটা সব সময়ই টের পেতাম। উফ, এর আগে তো ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধা শুরু হয়। দুই পায়ে অস্ত্রোপচারও করা লাগে। সময়টা বেশ কঠিন ছিল। সেই অবস্থা কাটিয়ে এখানে ফিরে এসে ট্রফি জেতাটা আসলেই বিস্ময়কর।
ম্যাচটা জেতার পর আপনার পরিবারের কথা আর বিশেষভাবে এসথারের কথা বলেছিলেন। এটাও বলেছিলেন তাঁরা ছাড়া আপনি এটা করতে পারতেন না। আরেকটু বিশদভাবে যদি বলতেন, তাঁরা ঠিক আপনাকে কীভাবে সাহায্য করেছিলেন?
সেরেনা: বিশেষভাবে এসথার লি (ট্রেনার), ভাল (ব্যক্তিগত সহকারী, ইশার (বৈমাত্রেয় বড় বোন) কথা বিশেষভাবে বলতেই হবে। ও হ্যাঁ, জিল স্মোলারও (এজেন্ট) আছে এই তালিকায়। আমি হাসপাতাল থেকে ফেরার পর বলতে গেলে আমার সঙ্গেই থেকেছে তারা। তাদের সঙ্গটা ভীষণ দরকারও ছিল।
কঠিন মানসিকতার সেরেনাকেই দেখে এসেছি আমরা। কিন্তু এবারের উইম্বলডনে অন্য সেরেনাকে দেখা গেল...
সেরেনা: ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন?
আগেবপ্রবণ হয়ে পড়া। কোর্টে সব সময় তো আপনার চোখে অশ্রু দেখা যায় না...
সেরেনা: আপনি যখন অনেক কঠিন সময় পেরিয়ে আসবেন, এমনটা হতেই পারে। আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ। সবাই আমার এই রূপটা দেখুক, সেটাও আমি চাই। সিনেমা দেখতে গেলে তো আমি প্রায়ই কাঁদি। একদিন তো ডেসপারেট হাউসওয়াইভস দেখতে গিয়ে কেঁদেই ফেলেছিলাম।
কয়েক বছর ধরে অনেক সংগ্রাম করেছেন। এটা নতুন একটা অধ্যায়ের সূচনা নয় কি?
সেরেনা: হ্যাঁ, এটা আসলেই নতুন একটা অধ্যায়ের শুরুর মতোই মনে হচ্ছে। আশাও করছি এটা অসাধারণ কিছুরই সূচনা।
বক্সে মার্টিনা (নাভ্রাতিলোভা) স্টেফিরা (গ্রাফ) বসে খেলা দেখেছেন। তাঁরাই কী আপনার সত্যিকারের লক্ষ্য নয়?
সেরেনা: অবশ্যই, কেন নয়। পরের টুর্নামেন্টটাই আমার লক্ষ্য, এরপর পরের গ্র্যান্ড স্লাম। বুঝতেই পারছেন আমি কী বলতে চাইছি। আমি আসলে খুব দূরের কিছু চিন্তা করছি না। অল্প অল্প করেই আমাকে এগোতে দিন।
একটু আগে এই অর্জনকে অসাধারণ বলেছেন। অন্যান্য শিরোপার চেয়ে এটাকে কীভাবে আলাদা করবেন?
সেরেনা: প্রতিটা শিরোপাই বিশেষ কিছু। তবে আমার কাছে এটি সুপার স্পেশাল। এটা তো উইম্বলডন। এখানে জেতার প্রচণ্ড ইচ্ছা ছিল আমার। এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না সাতটা ম্যাচ জিতে আমি এখানে এসেছি। এমন একটা প্রত্যাবর্তন আসলেই বিশেষ কিছু। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি চাইতে পারতাম না।
সার্ভ দিয়ে যেভাবে দাপট দেখিয়েছেন...
সেরেনা: পুরো টুর্নামেন্টেই সার্ভ আমাকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। আমি জানি না এটা এত ভালো হয়েছে কীভাবে। আমি খুব একটা যে এটার চর্চা করেছিলাম তাও না।
রজার (ফেদেরার) অনেকবারই বলেছেন পিট সামপ্রাস তাঁর আদর্শ। সাম্প্রাসের মতো ১৮টি ফাইনাল খেলে ১৪টিতে জয়। এটাকে কীভাবে দেখছেন?
সেরেনা: ওয়াও! জানতাম না তো এটা। ছোট থাকতে তো তাকে দারুণ পছন্দ করতাম। আমার কুকুরের নাম জ্যাকুই পিট, সামপ্রাসের নামে।
সামনেই অলিম্পিক, এটার কেমন গুরুত্ব আপনার কাছে?
সেরেনা: এটা নিয়ে ভাবিনি। উইম্বলডন নিয়েই তো ব্যস্ত ছিলাম। তবে সোনার পদক তো সোনার পদকই। একবার পেয়েছি আরও একবার পেতে চাই।
গত ১৩টি উইম্বলডনের ১০টিই আপনারা দুই বোন ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। এই কোর্টে এত ভালোভাবে মানিয়ে নেওয়ার রহস্য কী?
সেরেনা: ঘাসের কোর্টে আমাদের সার্ভটা ভালোই হয়। দ্রুত মুভ করতে পারি। তবে সত্যিটা এই ঘাসের কোর্ট আমার খুব বেশি পছন্দ নয়। তারপরও কেন জানি আমি এখানে ভালোই খেলি।
আপনি ও ভেনাস কীভাবে একে অন্যকে উদ্দীপ্ত করেছেন? ভেনাস না থাকলে এত কিছু কি আপনার জেতা হতো?
সেরেনা: ভেনাস না থাকলে কী করতাম আমি জানি না। কোনো গ্র্যান্ড স্লাম জিততাম কি না বা আদৌ টেনিস খেলতাম কি না সেটাই জানি না। আমি সব সময় তাকে অনুসরণ করেছি। আমার মাঝে তার অপরিসীম প্রভাব।
ভেনাস আপনার বড়। আপনার কঠিন সময়ে তিনিই আপনার পাশে ছিলেন। এখন তো তাঁকেই অনেক ভোগান্তির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। তাঁকে এখন সমর্থনের কাজটা করে যেতে হয় আপনাকে
সেরেনা: অবশ্যই। আমি সেটা করিও।
ভাষান্তর: মোসতাকিম হোসেন
No comments