বখাটে থেকে রক্ষা পেতে ইউএনওকে স্কুলছাত্রীর চিঠি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়
বখাটের অত্যাচার ও বাল্যবিয়ে থেকে নিজেকে রক্ষা পেতে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা
নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজিমুল হায়দারকে চিঠি দিয়েছে জেলার বেড়তলা উচ্চ
বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মেধাবি ছাত্রী মোমিনা আক্তার ।
আশুগঞ্জ নির্বাহী অফিসারের দফতরে চিঠি নিয়ে যান স্কুলছাত্রী মোমিনা আক্তার নিজেই।
চিঠিতে আশুগঞ্জ উপজেলার বইগর গ্রামের মোমিনা আক্তার লেখেন, আমি জেলার সরাইল উপজেলার বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। আমার শ্রেণী রোল নম্বর দুই। চার বছর আগে আমার বাবা গ্রামের দুস্কৃতিকারীদের হাতে খুন হন। সেই থেকে আমার পরিবার চরম অসহায়ত্বের মাঝে দিনযাপন করে আসছে।
চিঠিতে মোমিনা অভিযোগ করেন, অভিভাবকহীন পরিবারের মেয়ে হওয়ার সুযোগ নিয়ে বইগর গ্রামের শেখ সাদি ভূইঁয়ার বখাটে ছেলে উছমান ভূঁইয়া প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করে।
এতে বখাটের অভিভাবকদের কাছে বিচার দিলে ওই বখাটে মোমিনাকে জোরপূর্বক বিয়ের ঘোষণা দেয়।
এদিকে বিয়ের খবর পেয়ে মোমিনা বাড়ি থেকে পালিয়ে জেলার সরাইল উপজেলার কাটানিশার গ্রামে বড় বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
জানা গেছে, শনিবার (৩ আগস্ট) বখাটে উছমান ভূঁইয়া সেখানে গিয়ে মোমিনাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ঘটনার বিবৃতি দিয়ে স্কুলছাত্রী মোমিনা আক্তার জানায়, আমার বিয়ের বয়স হয়নি। আমি পড়ালেখা করতে চাই। আমার বড় তানজিনা আক্তার নামে এক বোন অবিবাহিত অবস্থায় আছেন। তিনি তিন্নি আনোয়ারা মহিলা কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্রী। আমি এই বখাটের সঙ্গে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে সকলের সহযোগিতা চাই।
এ বিষয়ে মোমিনার বড় ভাই সালমান আমিন জানান, ওসমান ভূইয়ার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট। আমরা এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাচ্ছি।
এই ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার বলেন, স্কুলছাত্রী মোমিনা আক্তারের চিঠি পেয়েছি। ওই ছেলেসহ ও তার অভিভাবদের আমি ডেকে পাঠিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আশুগঞ্জ নির্বাহী অফিসারের দফতরে চিঠি নিয়ে যান স্কুলছাত্রী মোমিনা আক্তার নিজেই।
চিঠিতে আশুগঞ্জ উপজেলার বইগর গ্রামের মোমিনা আক্তার লেখেন, আমি জেলার সরাইল উপজেলার বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। আমার শ্রেণী রোল নম্বর দুই। চার বছর আগে আমার বাবা গ্রামের দুস্কৃতিকারীদের হাতে খুন হন। সেই থেকে আমার পরিবার চরম অসহায়ত্বের মাঝে দিনযাপন করে আসছে।
চিঠিতে মোমিনা অভিযোগ করেন, অভিভাবকহীন পরিবারের মেয়ে হওয়ার সুযোগ নিয়ে বইগর গ্রামের শেখ সাদি ভূইঁয়ার বখাটে ছেলে উছমান ভূঁইয়া প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করে।
এতে বখাটের অভিভাবকদের কাছে বিচার দিলে ওই বখাটে মোমিনাকে জোরপূর্বক বিয়ের ঘোষণা দেয়।
এদিকে বিয়ের খবর পেয়ে মোমিনা বাড়ি থেকে পালিয়ে জেলার সরাইল উপজেলার কাটানিশার গ্রামে বড় বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
জানা গেছে, শনিবার (৩ আগস্ট) বখাটে উছমান ভূঁইয়া সেখানে গিয়ে মোমিনাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ঘটনার বিবৃতি দিয়ে স্কুলছাত্রী মোমিনা আক্তার জানায়, আমার বিয়ের বয়স হয়নি। আমি পড়ালেখা করতে চাই। আমার বড় তানজিনা আক্তার নামে এক বোন অবিবাহিত অবস্থায় আছেন। তিনি তিন্নি আনোয়ারা মহিলা কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্রী। আমি এই বখাটের সঙ্গে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেতে সকলের সহযোগিতা চাই।
এ বিষয়ে মোমিনার বড় ভাই সালমান আমিন জানান, ওসমান ভূইয়ার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট। আমরা এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাচ্ছি।
এই ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. নাজিমুল হায়দার বলেন, স্কুলছাত্রী মোমিনা আক্তারের চিঠি পেয়েছি। ওই ছেলেসহ ও তার অভিভাবদের আমি ডেকে পাঠিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযুক্ত বখাটে ও ইউএনওকে দেয়া মোমিনা আক্তারের চিঠি |
No comments