নেপাল: অন্য প্রদেশগুলোর সাথে কাঠমাণ্ডুর আইনী লড়াই তীব্র হতে যাচ্ছে by তিকার প্রধান
নেপালের
প্রদেশ ২ এর সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের
করায় একটি প্রশ্ন উঠেছে: এটা কি কোন ব্যতিক্রমী ঘটনা না কি এটাই সাধারণ
রীতি হতে চলেছে, যেখানে দেশে ফেডারেল ব্যবস্থা বাস্তবায়নের চেষ্টা শুরু
হয়েছে।
নতুন সংবিধান গ্রহণের দুই বছর পর ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর দেশে ফেডারেল সিস্টেম বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত ছিল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সেখানে ইতিবাচক ভূমিকা পালনের কথা। কিন্তু বাস্তবে কেন্দ্রীয় সরকার এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু আইন প্রণয়নে ব্যর্থ হয়েছে এবং ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে, যেটা পুরো ফেডারেল ধারণারই পরিপন্থী।
গত বৃহস্পতিবার প্রদেশ-২ এর শিল্প, পর্যটন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় শীর্ষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সাগরনাথ ফরেস্ট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট এবং টিম্বার কর্পোরেশান অব নেপালকে একীভূত করার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়ে ওই মামলা করা হয়। ওই আবেদনে প্রাদেশিক সরকার বলেছে যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রাদেশিক সরকারের আইনগত কর্তৃত্ব লঙ্ঘন করেছে।
প্রদেশ ২ এর প্রধান অ্যাটর্নি দিপেন্দ্র ঝা বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তাদের আইনি লড়াইয়ের এটা সূচনা মাত্র।
ঝা বলেন, “এই মামলার মধ্য দিয়ে তারা বুঝতে পারবেন যে, আদালতের ধারাটা কেমন হবে। আরও বেশ কিছু ইস্যুতে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে চ্যালেঞ্জ করবো”।
শুক্রবার প্রাদেশিক সরকারের পক্ষে তিনি আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে গড়িমসি করায় প্রাদেশিক সরকারের কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে”।
ইদানিংকালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো প্রদেশগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা। কেন্দ্রীয় সরকার প্রধান জেলা কর্মকর্তাদের আধিকারিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার যে পরিকল্পনা নিয়েছে, সেটা প্রাদেশিক সরকারগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। আপত্তি সত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার প্রধান জেলা কর্মকর্তাদের শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যেটা নিশ্চিতভঅবে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে আইনি লড়াই বাড়াবে।
প্রদেশ ৩ এর অভ্যন্তরীণ ও আইন মন্ত্রী শালিকরাম জামারকাট্টেল বলেন, “প্রদেশ ২ সরকার যে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অবশ্যম্ভাবী”।
মাওবাদী দলের সাবেক ট্রেড ইউনিয়ন নেতা জামারকাট্টেল বলেন, বেশ কিছু ইস্যু রয়েছে – প্রাদেশিক পুলিশ, বন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি প্রশাসক, যেখানে প্রাদেশিক সরকারের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনি লড়াই হতে পারে।
যদিও এই প্রথমবারের মতো একটা প্রাদেশিক সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলো। তবে দুই বছর আগে মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশান অব নেপালের চেয়ারম্যান অশোক ব্যাঞ্জু চারটি ভিন্ন ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন, যার মধ্যে তিন ধাপের প্রশাসনের মধ্যে ক্ষমতা চুড়ান্ত করার বিষয়টিও ছিল। মামলাটি একটি সাংবিধানিক বেঞ্চে আটকে আছে।
ব্যাঞ্জু কার্ভ এলাকার ঢুলিখেল মিউনিসিপ্যালিটির মেয়রও বটে। তিনি বলেন, “স্থানীয় সরকারের অধিকার বিষয়ক ১৩টি বিল বর্তমানে ফেডারেল পার্লামেন্টে রয়েছে। আমরা এখন সংশ্লিষ্ট এমপি, মন্ত্রী ও তাদের সচিবদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। আমাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিয়ে যদি এই বিলগুলো গ্রহণ করা হয়, তাহলে আমরা সবাই আইনি সমাধান খুঁজতে বাধ্য হবো”।
নতুন সংবিধান গ্রহণের দুই বছর পর ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর দেশে ফেডারেল সিস্টেম বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত ছিল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সেখানে ইতিবাচক ভূমিকা পালনের কথা। কিন্তু বাস্তবে কেন্দ্রীয় সরকার এ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু আইন প্রণয়নে ব্যর্থ হয়েছে এবং ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে, যেটা পুরো ফেডারেল ধারণারই পরিপন্থী।
গত বৃহস্পতিবার প্রদেশ-২ এর শিল্প, পর্যটন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় শীর্ষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে। কেন্দ্রীয় সরকার সাগরনাথ ফরেস্ট ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট এবং টিম্বার কর্পোরেশান অব নেপালকে একীভূত করার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তার বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়ে ওই মামলা করা হয়। ওই আবেদনে প্রাদেশিক সরকার বলেছে যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রাদেশিক সরকারের আইনগত কর্তৃত্ব লঙ্ঘন করেছে।
প্রদেশ ২ এর প্রধান অ্যাটর্নি দিপেন্দ্র ঝা বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তাদের আইনি লড়াইয়ের এটা সূচনা মাত্র।
ঝা বলেন, “এই মামলার মধ্য দিয়ে তারা বুঝতে পারবেন যে, আদালতের ধারাটা কেমন হবে। আরও বেশ কিছু ইস্যুতে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে চ্যালেঞ্জ করবো”।
শুক্রবার প্রাদেশিক সরকারের পক্ষে তিনি আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে গড়িমসি করায় প্রাদেশিক সরকারের কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে”।
ইদানিংকালের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হলো প্রদেশগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা। কেন্দ্রীয় সরকার প্রধান জেলা কর্মকর্তাদের আধিকারিক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার যে পরিকল্পনা নিয়েছে, সেটা প্রাদেশিক সরকারগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে। আপত্তি সত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার প্রধান জেলা কর্মকর্তাদের শক্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছেন, যেটা নিশ্চিতভঅবে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে আইনি লড়াই বাড়াবে।
প্রদেশ ৩ এর অভ্যন্তরীণ ও আইন মন্ত্রী শালিকরাম জামারকাট্টেল বলেন, “প্রদেশ ২ সরকার যে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে, সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা অবশ্যম্ভাবী”।
মাওবাদী দলের সাবেক ট্রেড ইউনিয়ন নেতা জামারকাট্টেল বলেন, বেশ কিছু ইস্যু রয়েছে – প্রাদেশিক পুলিশ, বন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি প্রশাসক, যেখানে প্রাদেশিক সরকারের সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনি লড়াই হতে পারে।
যদিও এই প্রথমবারের মতো একটা প্রাদেশিক সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলো। তবে দুই বছর আগে মিউনিসিপ্যাল অ্যাসোসিয়েশান অব নেপালের চেয়ারম্যান অশোক ব্যাঞ্জু চারটি ভিন্ন ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন, যার মধ্যে তিন ধাপের প্রশাসনের মধ্যে ক্ষমতা চুড়ান্ত করার বিষয়টিও ছিল। মামলাটি একটি সাংবিধানিক বেঞ্চে আটকে আছে।
ব্যাঞ্জু কার্ভ এলাকার ঢুলিখেল মিউনিসিপ্যালিটির মেয়রও বটে। তিনি বলেন, “স্থানীয় সরকারের অধিকার বিষয়ক ১৩টি বিল বর্তমানে ফেডারেল পার্লামেন্টে রয়েছে। আমরা এখন সংশ্লিষ্ট এমপি, মন্ত্রী ও তাদের সচিবদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। আমাদের উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিয়ে যদি এই বিলগুলো গ্রহণ করা হয়, তাহলে আমরা সবাই আইনি সমাধান খুঁজতে বাধ্য হবো”।
No comments