ছাগলের নাম টাইগার by আবদুস সালাম
প্রথম আলো, ০১ জুলাই ২০১৯: ছাগলটি
নাকি দেখার মতো—তাই দেখতে যাওয়া। যেতে হবে ঢাকার কেরানীগঞ্জের বাস্তা
ইউনিয়নের ধীতপুর গ্রামে। মোটরসাইকেলে করে সোমবার গন্তব্যের পথে ছুটে চলা।
বাবুবাজার সেতু পার হয়ে কদমলী বাসস্ট্যান্ড, তারপর কেরানীগঞ্জ মহাসড়ক ধরে
কিছুটা গিয়ে বাঁয়ের অলিগলি ধরতে হলো। কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর পাওয়া গেল
গাছের ছায়ায় ঢাকা পাকা সরু সড়ক। দুপাশে পড়ে আছে খালি জমি। এটিই বাস্তা
ইউনিয়ন। খাল, পুকুর, ফসলের জমি সব আছে সেখানে। বাস্তা যে ঢাকারই একটি অংশ,
বোঝার উপায় নেই।
আকার ও রঙের দিক থেকে ছাগলটির সঙ্গে বাঘের কিছুটা মিল আছে। ধীতপুর, বাস্তা, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা, ১ জুলাই। ছবি: আবদুস সালাম |
এখানকার
অনেকেই ছাগলটি সম্পর্কে জানেন। বর্ণনা দিতেই একজন দেখিয়ে দিলেন, ‘ওই যে ওই
বাড়িতে পাইবেন টাইগারকে।’ জানা গেল, ছাগলটির নাম ‘টাইগার’। ছাগলটিকে যে
বাড়িতে রাখা হয়, সেখানে গিয়ে বোঝা গেল কেন ছাগলের নাম ‘টাইগার’। বাঘের মতোই
স্বাস্থ্য। তার গায়ের রঙের সঙ্গেও বাঘের কিছুটা মিল আছে। মাথা থেকে বুক
পর্যন্ত হালকা বাদামি রঙের ওপর খয়েরি রঙের ছোপ (ডোরাকাটা)। পাগুলোতেও ওই
দুই রঙের মিশেল। শরীরের বাকিটা সাদা।
টাইগারের গায়ে লোমও পর্যাপ্ত। দুই চোখের মাঝখানের খয়েরি রঙের বাড়তি লোম ছাগলটিকে সাধারণ ছাগল থেকে আলাদা করেছে। হঠাৎ দেখলে বোঝা যায় না এটি ছাগল না অন্য কোনো জন্তু। টাইগারের চোখেও বাদামি রঙের প্রাধান্য।
টাইগারের গায়ে লোমও পর্যাপ্ত। দুই চোখের মাঝখানের খয়েরি রঙের বাড়তি লোম ছাগলটিকে সাধারণ ছাগল থেকে আলাদা করেছে। হঠাৎ দেখলে বোঝা যায় না এটি ছাগল না অন্য কোনো জন্তু। টাইগারের চোখেও বাদামি রঙের প্রাধান্য।
‘টাইগারের’ চোখের রং ব্যতিক্রমধর্মী। ধীতপুর, বাস্তা, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা, ১ জুলাই। ছবি: আবদুস সালাম |
ছাগলটি
দেখভাল করেন মো. জাহাঙ্গীর, সাগর ও তানজিদ। কথা হলো তাঁদের সঙ্গে।
জাহাঙ্গীর বললেন, তোতা প্রজাতির ছাগলটি ভারতের রাজস্থান থেকে আনা হয়েছে। এই
পাঁঠার (পুরুষ ছাগল) মালিক আবদুর রহমান। তিনি ১৫ দিন আগে এটি এনেছেন তাঁর
এক বন্ধুর কাছ থেকে। আবদুর রহমান শখ থেকেই এটি লালন-পালন করছেন বলে
জাহাঙ্গীর জানান।
ছাগল বিষয়ে সাগর বললেন, ‘টাইগারের স্বাস্থ্য আরও ভালো হতো, যদি ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করত। ঠিকমতো খেতে চায় না।’
নামে টাইগার হলেও ছাগলটি শান্ত স্বভাবের। কিন্তু মাঝে মাঝে রেগে গেলে গুঁতা দিতে আসে বলে জানালেন তানজিদ। তিনি বলেন, অনেকেই ছাগলটি দেখতে আসেন।
ছাগল বিষয়ে সাগর বললেন, ‘টাইগারের স্বাস্থ্য আরও ভালো হতো, যদি ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া করত। ঠিকমতো খেতে চায় না।’
নামে টাইগার হলেও ছাগলটি শান্ত স্বভাবের। কিন্তু মাঝে মাঝে রেগে গেলে গুঁতা দিতে আসে বলে জানালেন তানজিদ। তিনি বলেন, অনেকেই ছাগলটি দেখতে আসেন।
ছাগলটি শান্ত স্বভাবের। ধীতপুর, বাস্তা, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা, ১ জুলাই। ছবি: আবদুস সালাম |
No comments