তারল্য সংকট ঋণ পাচ্ছেন না উদ্যোক্তারা
তারল্য
সংকট, উচ্চ সুদহারসহ নানা কারণে ব্যক্তি খাতে ঋণ বিতরণে নাজুক অবস্থা
বিরাজ করছে। সময়মতো ঋণ না পাওয়ায় ভুগছেন দেশি উদ্যোক্তারা। ফলে বিনিয়োগেও
ধীরগতি দেখা দিয়েছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে কমতে থাকা ঋণ প্রবৃদ্ধি জুন
মাস শেষে ১১.২৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫.২১
শতাংশ কম। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্নিষ্টরা জানান, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগে ধীরগতি রয়েছে। এর মূল কারণ ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত তারল্য নেই।
ঋণ আমানত অনুপাতের (এডিআর) নতুন সীমায় নামিয়ে আনারও চাপ রয়েছে। আবার আমানতের প্রবৃদ্ধি কম থাকায় চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ঋণ দিতে পারছে না। এছাড়া ব্যবসায়ীরা উচ্চ সুদহারে ঋণ নিতে চাচ্ছে না। এসব কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকা শক্তি বেসরকারি খাত। অথচ কয়েক বছর ধরে বেসরকারি বিনিয়োগের হার জিডিপির ২২ শতাংশের ঘরে আটকে আছে। তারা বলেন, ঋণ না পাওয়ায় ব্যবসার প্রসার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর প্রভাবে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণও। ব্যবসায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। অন্যদিকে তারল্য সঙ্কটের কারণে নতুন ঋণ দিতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। তাদের মতে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ছাড়া বেশিরভাগ ব্যাংকের হাতে বিনিয়োগ করার মতো যথেষ্ট তহবিল নেই। ৬ শতাংশ সুদে আমানত রাখতে আগ্রহী নন গ্রাহকরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত এক বছরে বেসরকারি ব্যাংকের তারল্য কমেছে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। যার বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে। বিদ্যমান মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ সাড়ে ১৬ ভাগ ধরা হলেও, মে মাস পর্যন্ত তা হয়েছে ১২ ভাগের মতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে বেসরকারি খাতের ঋণ হু হু করে বাড়ছিল। ফলে ঋণ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে গত বছরের শুরুতেই ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) কিছুটা কমিয়ে আনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার পর থেকে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। এরপর কয়েক দফা এডিআর সমন্বয়ের সীমা বাড়ানো হলেও, নানা কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না। নিম্নমুখীর ধারা অব্যাহত আছে।
বেসরকারি খাতের প্রভাবে দেশের মোট বিনিয়োগও কমে গেছে। তথ্য বলছে, গত এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সার্বিক (সরকারি-বেসরকারি) বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৪ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা, যা গত জুন শেষে ছিল ৯ লাখ ৭২ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে সার্বিক বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার জন্য বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি কাঙিক্ষতভাবে না হওয়াকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা গেছে, গত ৫৭ মাসে সর্বনিম্ন ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকেই এই সূচক নিম্নগামী। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬.৫ শতাংশ। আগের ছয় মাসের তুলনায় কমানো হলেও কোনো মাসেই অর্জন হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৮ সালের মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২.১৬ শতাংশ, এপ্রিলে যা ছিল ১২.০৭ শতাংশ এবং মার্চ শেষে প্রবৃদ্ধি ছিল ১২.৪২ শতাংশ। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২.৫৪ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ১৩.২০ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংক খাতের প্রতি আস্থাহীনতার কারণে এখন সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন অনেকে। এছাড়া উচ্চ খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এসব কারণে তারল্য সংকট ও বেসরকারি ঋণে নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে।
গত মার্চ প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজর ৯১১ কোটি টাকা। এ হিসেবে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। এর আগে এক প্রান্তিকে এতো বেশি খেলাপি ঋণ বাড়তে দেখা যায়নি। আবার খেলাপি ঋণ ১ লাখ কোটি টাকাও ছাড়ায়নি এর আগে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মোট বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে ১১.৮৭ শতাংশই খেলাপি হয়ে গেছে। যা আগের প্রন্তিকে ছিল বিতরণের ১০.৩০ শতাংশ। কিন্তু মার্চ শেষে খেলাপি বেড়েছে মোট বিতরণের ১.৫৭ শতাংশ।
উল্লেখ, ২০১৯ সালের মার্চ শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ৩২ শতাংশ। সরকারি মালিকানাধীন বিশেষায়িত খাতের দুই ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা। যা ব্যাংক দুটির বিতরণকৃত ঋণের ১৯.৪৬ শাতংশ। বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪৯ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা বা বিতরণকৃত ঋণের ৭.০৮ শতাংশ। এ ছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলো বিতরণকৃত ঋণের ৬.২০ শতাংশ বা ২ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমানত কমেছে। খেলাপির ঋণ বেড়ে যাওয়ায় সঞ্চিতি হিসাবে বাড়তি টাকা জমা রাখতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে ব্যাংকগুলোর কাছে ঋণ দেয়ার মত পর্যাপ্ত অর্থ নেই। এছাড়া বেশি সুদে ঋণ নিতে চাচ্ছে না উদ্যোক্তারা। অবকাঠামোগত সমস্যা আছে। এসব কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কম। তিনি বলেন, কাঙ্ক্িষত প্রবৃদ্ধি অর্জনে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। তাই বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত ঋণ জোগান দেয়া জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসায়ীদের দাবিতে সরকারের পক্ষ থেকে ঋণ সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে ব্যবাসায়ীদের সুদ মওকুফসহ বিভিন্ন অদৃশ্য ছাড়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এসব সুবিধা নিয়েও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে পারছেন না।
সংশ্নিষ্টরা জানান, ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগে ধীরগতি রয়েছে। এর মূল কারণ ব্যাংকগুলোর কাছে পর্যাপ্ত তারল্য নেই।
ঋণ আমানত অনুপাতের (এডিআর) নতুন সীমায় নামিয়ে আনারও চাপ রয়েছে। আবার আমানতের প্রবৃদ্ধি কম থাকায় চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ঋণ দিতে পারছে না। এছাড়া ব্যবসায়ীরা উচ্চ সুদহারে ঋণ নিতে চাচ্ছে না। এসব কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমছে।
উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকা শক্তি বেসরকারি খাত। অথচ কয়েক বছর ধরে বেসরকারি বিনিয়োগের হার জিডিপির ২২ শতাংশের ঘরে আটকে আছে। তারা বলেন, ঋণ না পাওয়ায় ব্যবসার প্রসার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর প্রভাবে বাড়ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণও। ব্যবসায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। অন্যদিকে তারল্য সঙ্কটের কারণে নতুন ঋণ দিতে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকাররা। তাদের মতে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো ছাড়া বেশিরভাগ ব্যাংকের হাতে বিনিয়োগ করার মতো যথেষ্ট তহবিল নেই। ৬ শতাংশ সুদে আমানত রাখতে আগ্রহী নন গ্রাহকরা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, গত এক বছরে বেসরকারি ব্যাংকের তারল্য কমেছে ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। যার বড় ধরনের প্রভাব পড়েছে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে। বিদ্যমান মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ সাড়ে ১৬ ভাগ ধরা হলেও, মে মাস পর্যন্ত তা হয়েছে ১২ ভাগের মতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১৭ সালের মাঝামাঝিতে বেসরকারি খাতের ঋণ হু হু করে বাড়ছিল। ফলে ঋণ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে গত বছরের শুরুতেই ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) কিছুটা কমিয়ে আনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তার পর থেকে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। এরপর কয়েক দফা এডিআর সমন্বয়ের সীমা বাড়ানো হলেও, নানা কারণে ঋণ প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না। নিম্নমুখীর ধারা অব্যাহত আছে।
বেসরকারি খাতের প্রভাবে দেশের মোট বিনিয়োগও কমে গেছে। তথ্য বলছে, গত এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সার্বিক (সরকারি-বেসরকারি) বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৪ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকা, যা গত জুন শেষে ছিল ৯ লাখ ৭২ হাজার ৪৭৩ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে সার্বিক বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার জন্য বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি কাঙিক্ষতভাবে না হওয়াকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানা গেছে, গত ৫৭ মাসে সর্বনিম্ন ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকেই এই সূচক নিম্নগামী। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৬.৫ শতাংশ। আগের ছয় মাসের তুলনায় কমানো হলেও কোনো মাসেই অর্জন হয়নি লক্ষ্যমাত্রা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৮ সালের মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের মে মাসে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২.১৬ শতাংশ, এপ্রিলে যা ছিল ১২.০৭ শতাংশ এবং মার্চ শেষে প্রবৃদ্ধি ছিল ১২.৪২ শতাংশ। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১২.৫৪ শতাংশ এবং জানুয়ারিতে ১৩.২০ শতাংশ।
বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংক খাতের প্রতি আস্থাহীনতার কারণে এখন সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করছেন অনেকে। এছাড়া উচ্চ খেলাপি ঋণ ব্যাংকিং খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এসব কারণে তারল্য সংকট ও বেসরকারি ঋণে নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে।
গত মার্চ প্রান্তিক শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। কিন্তু গত বছর ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ছিল ৯৩ হাজর ৯১১ কোটি টাকা। এ হিসেবে তিন মাসে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। এর আগে এক প্রান্তিকে এতো বেশি খেলাপি ঋণ বাড়তে দেখা যায়নি। আবার খেলাপি ঋণ ১ লাখ কোটি টাকাও ছাড়ায়নি এর আগে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মোট বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে ১১.৮৭ শতাংশই খেলাপি হয়ে গেছে। যা আগের প্রন্তিকে ছিল বিতরণের ১০.৩০ শতাংশ। কিন্তু মার্চ শেষে খেলাপি বেড়েছে মোট বিতরণের ১.৫৭ শতাংশ।
উল্লেখ, ২০১৯ সালের মার্চ শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৫৩ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ৩২ শতাংশ। সরকারি মালিকানাধীন বিশেষায়িত খাতের দুই ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ৪ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকা। যা ব্যাংক দুটির বিতরণকৃত ঋণের ১৯.৪৬ শাতংশ। বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৪৯ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা বা বিতরণকৃত ঋণের ৭.০৮ শতাংশ। এ ছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলো বিতরণকৃত ঋণের ৬.২০ শতাংশ বা ২ হাজার ২৫৭ কোটি টাকা খেলাপি হয়ে গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমানত কমেছে। খেলাপির ঋণ বেড়ে যাওয়ায় সঞ্চিতি হিসাবে বাড়তি টাকা জমা রাখতে হচ্ছে। সবমিলিয়ে ব্যাংকগুলোর কাছে ঋণ দেয়ার মত পর্যাপ্ত অর্থ নেই। এছাড়া বেশি সুদে ঋণ নিতে চাচ্ছে না উদ্যোক্তারা। অবকাঠামোগত সমস্যা আছে। এসব কারণে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি কম। তিনি বলেন, কাঙ্ক্িষত প্রবৃদ্ধি অর্জনে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই। তাই বেসরকারি খাতে পর্যাপ্ত ঋণ জোগান দেয়া জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসায়ীদের দাবিতে সরকারের পক্ষ থেকে ঋণ সুদহার এক অঙ্কে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। দেয়া হচ্ছে ব্যবাসায়ীদের সুদ মওকুফসহ বিভিন্ন অদৃশ্য ছাড়। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এসব সুবিধা নিয়েও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে পারছেন না।
No comments