ডেঙ্গুতেই প্রাণ গেল ডেঙ্গু সচেতন শিশুটির by ইকবাল হোসেন
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নিহত মদিনা |
স্কুল
থেকে বাড়ি ফিরেই শিশু মদিনা ঝাড়ু হাতে নেমে পড়তো পরিষ্কার-পরিছন্নতায়।
মাকে বলতো,‘স্কুলের স্যারেরা বলেছে ময়লা আবর্জনা জমে থাকেলে এডিশ মশা হয়।
এডিশ মশায় কামড়ালে ডেঙ্গু জ্বর হয়।’ ডেঙ্গু নিয়ে এমনই সচেতনতা ছিল মদিনার।
কিন্তু সেই ডেঙ্গু জ্বরেই প্রাণ গেল তার।
মতলব উত্তর উপজেলার ঝিনাইয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মিজান ঢালীর মেয়ে মদিনা(৮)। মৃত্যুর আগে মোবাইল ফোনে প্রবাসী বাবাকে এডিশ মশা আর ডেঙ্গু নিয়ে সতর্ক করেছিল সে। বলেছিল, ‘বাবা ঘুমানোর আগে মশারি টাঙিয়ে নিও।’ এটাই ছিল তার বাবার সঙ্গে শেষ কথা। আর কোন দিনই মদিনা কথা বলবে না। সেই শেষ কথার স্মৃতি কিভাবে ভুলবে পরিবার। এমন বিলাপ করে কাদঁতে কাঁদতে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মদিনার মা ময়না আক্তার।
স্থানীয় অক্সফোর্ড কিন্ডার গার্টেন নামে একটি স্কুলে কেজি ওয়ানে পড়তো মদিনা। সোমবার রাত ১২টার দিকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। স্কুলের স্যারদের কাছে শুনে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কের কথা তার মা ও ভাইয়ের কাছে বলতো। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বলতো মাকে।
নিহতের পারিবার জানায়, গত ২ আগস্ট স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে শরীর ব্যাথা ও জ্বর হয় মদিনার। প্রথমে এ বিষয়ে তারা গুরুত্ব না দিলেও পরের দিনই স্থানীয় ছেংগারচর বাজারের একটি ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। দ্রুত মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর ৩ আগস্ট সকালে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুদিন চিকিৎসার পর অবনতি দেখে চাঁদপুর সদর থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন আইসিইউতে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজে আইসিইউ সিট না পাওয়ায় বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে ভর্তি করানো হয় ধানমন্ডির কিডনি জেনারেল হাসপাতালে। সোমবার রাত ১২টার দিকে সেখানে মারা যায় মদিনা। পরে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মতলব উত্তর উপজেলায় ঝিনাইয়া এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মা ময়না আক্তার বলেন, ডেঙ্গু আতঙ্কের কথা মেয়ে আমাকে প্রায়ই জানাতো। স্কুলের শিক্ষকরা নাকি ডেঙ্গুর বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক থাকতে বলতো এবং বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে বলেছে। কে জানে সেই ডেঙ্গুই আমার মেয়ের প্রাণ নেবে।
পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মদিনার ভাই মেহেরাজ বলে, আমার বোন লেখাপড়ায় ভালো এবং খুবই সচেতন ছিল। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং কোন কিছুর মধ্যে পানি জমে থাকার বিষয়ে আমাদের সচেতন করতো। এতো সচেতন থেকেও আমার বোনটি বাঁচতে পারলো না।
মতলব উত্তর উপজেলার ঝিনাইয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী মিজান ঢালীর মেয়ে মদিনা(৮)। মৃত্যুর আগে মোবাইল ফোনে প্রবাসী বাবাকে এডিশ মশা আর ডেঙ্গু নিয়ে সতর্ক করেছিল সে। বলেছিল, ‘বাবা ঘুমানোর আগে মশারি টাঙিয়ে নিও।’ এটাই ছিল তার বাবার সঙ্গে শেষ কথা। আর কোন দিনই মদিনা কথা বলবে না। সেই শেষ কথার স্মৃতি কিভাবে ভুলবে পরিবার। এমন বিলাপ করে কাদঁতে কাঁদতে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছেন মদিনার মা ময়না আক্তার।
স্থানীয় অক্সফোর্ড কিন্ডার গার্টেন নামে একটি স্কুলে কেজি ওয়ানে পড়তো মদিনা। সোমবার রাত ১২টার দিকে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। স্কুলের স্যারদের কাছে শুনে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কের কথা তার মা ও ভাইয়ের কাছে বলতো। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য বলতো মাকে।
নিহতের পারিবার জানায়, গত ২ আগস্ট স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে শরীর ব্যাথা ও জ্বর হয় মদিনার। প্রথমে এ বিষয়ে তারা গুরুত্ব না দিলেও পরের দিনই স্থানীয় ছেংগারচর বাজারের একটি ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। দ্রুত মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর ৩ আগস্ট সকালে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। দুদিন চিকিৎসার পর অবনতি দেখে চাঁদপুর সদর থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন আইসিইউতে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজে আইসিইউ সিট না পাওয়ায় বেশ কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে ভর্তি করানো হয় ধানমন্ডির কিডনি জেনারেল হাসপাতালে। সোমবার রাত ১২টার দিকে সেখানে মারা যায় মদিনা। পরে মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মতলব উত্তর উপজেলায় ঝিনাইয়া এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মা ময়না আক্তার বলেন, ডেঙ্গু আতঙ্কের কথা মেয়ে আমাকে প্রায়ই জানাতো। স্কুলের শিক্ষকরা নাকি ডেঙ্গুর বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক থাকতে বলতো এবং বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে বলেছে। কে জানে সেই ডেঙ্গুই আমার মেয়ের প্রাণ নেবে।
পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মদিনার ভাই মেহেরাজ বলে, আমার বোন লেখাপড়ায় ভালো এবং খুবই সচেতন ছিল। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং কোন কিছুর মধ্যে পানি জমে থাকার বিষয়ে আমাদের সচেতন করতো। এতো সচেতন থেকেও আমার বোনটি বাঁচতে পারলো না।
No comments