মালয়েশিয়ায় অপহরণ, দেশে মুক্তিপণের টাকা নিতো ওরা by নুরুজ্জামান লাবু
আমান উল্লাহ ও হামিদ হোসেন |
কৌশলটা
বেশ গোছানো। চক্রের কয়েকজন সদস্য থাকে মালয়েশিয়ায়, বাকিরা বাংলাদেশে।
কাজের খোঁজে যাওয়া প্রবাসীদের অপহরণ করা হতো মালয়েশিয়ায়, আর ভালো মানুষের
ভান করে অপহৃতদের উদ্ধারে সহায়তার নামে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ
আদায় করতো দেশে থাকা চক্রের বাকি সদস্যরা। মুক্তিপণের টাকা নেওয়া হতো
বিকাশের মাধ্যমে। টাকা হাতে পেলে চক্রের সদস্যরা জানিয়ে দিতো মালয়েশিয়ায়
থাকা সহযোগীদের। তারপর ছেড়ে দেওয়া হতো অপহৃত ব্যক্তিকে। এরকম একটি চক্রের
দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির অর্গানাইজড
ক্রাইম ইউনিট। তারা হলো—হামিদ হোসেন (২৪) ও আমান উল্লাহ (৪৩)। তাদের দুজনের
বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকায়।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার শারমিন জাহান জানান, মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা চক্রের সদস্যরা প্রথমে কোনও একজন বাংলাদেশি ব্যক্তিকে টার্গেট করে। পরে তার সঙ্গে দেশি নাগরিক হিসেবে পরিচিত হয়। এরপর ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে। সেখানে আটকে রেখে করা হয় নির্যাতন। সেই নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠানো হয় পরিবারের সদস্যদের কাছে। পরে চক্রের সদস্যরা তাদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। অনেকটা বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যরা মুক্তিপণ দিলে অপহৃত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, পাবনার আমিনপুর থানাধীন শহীদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি প্রায় আড়াই বছর আগে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর মাহবুব হোসেন নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মাহবুব তাকে কাজ দেওয়ার কথা বলে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত সহযোগীদের মাধ্যমে অজ্ঞাত স্থানে আটকে নির্যাতন করতে থাকে। পরবর্তীতে দেশে অবস্থিত তার স্বজনদের মোবাইলে ফোন করে শহীদুলের আর্তনাদ শুনিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। এমনকি মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার জন্য দেশের একাধিক বিকাশ নম্বরও দেয়। শহীদুলের স্বজনরা অপহরণকারীদের দাবি অনুযায়ী দুই লাখ টাকা দেওয়ার পর চক্রটি তাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় ২০১৬ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি পাবনার আমিনপুর থানায় একটি মামলা (নম্বর ২) দায়ের করেন ঘটনার শিকার শহীদুল ইসলামের ভাই।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরবর্তীতে সিআইডির অর্গানাইজ ক্রাইমের কাছে হস্তান্তর করা হলে তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগিতায় অনুসন্ধান শুরু করে। একপর্যায়ে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদের নেতৃত্বে গত ৩০ জুলাই প্রথমে হামিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ৩ আগস্ট আমান উল্লাহকেও গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া হামিদ ও আমান উল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, টেকনাফ থানা এলাকার বাসিন্দা মাহবুব হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছে। সে সেখানে কয়েকজন সহযোগী নিয়ে একটি অপহরণকারী চক্র গড়ে তুলেছে। সেই চক্রের সদস্যরা মালয়েশিয়ায় সদ্য যাওয়া ব্যক্তিদের টার্গেট করতো। তাদের কৌশল ছিল ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করা। অপহরণের পর মুক্তিপণ হিসেবে বাংলাদেশি সহযোগীদের মাধ্যমে অর্থ নিতো।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, শহীদুলের ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা তার স্বজনদের কাছ থেকে মোট ৮টি বিকাশ নম্বরে ২ লাখ টাকা নিয়েছিল। সেসব বিকাশ নম্বরের তথ্য সংগ্রহের পর সিআইডির কর্মকর্তারা জানতে পারেন, ৪টি বিকাশ নম্বর চক্রের এক সদস্য খোরশেদের নামে, ১টি হামিদের নামে, বাকিগুলো মালয়শিয়ায় অবস্থানরত চক্রের প্রধান মাহবুবের নামে রেজিস্ট্রেশন করা।
সিআইডির একজন কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া দুজন মাহবুবের নির্দেশে তারা অপহৃত ব্যক্তির স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। প্রত্যেকটি অপহরণের ঘটনায় তারা একটি নির্দিষ্ট অংশ ভাগ পেতো বলেও জানিয়েছে। গ্রেফতারের আগে মাহবুবের মালিকানাধীন একটি দোকান পরিচালনা করতো আমান উল্লাহ।
সিআইডির ওই কর্মকর্তা জানান, এই চক্রের আরও কয়েকজন সদস্যকে তারা শনাক্ত করেছেন। তাদেরও আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার শারমিন জাহান জানান, মালয়েশিয়ায় অবস্থান করা চক্রের সদস্যরা প্রথমে কোনও একজন বাংলাদেশি ব্যক্তিকে টার্গেট করে। পরে তার সঙ্গে দেশি নাগরিক হিসেবে পরিচিত হয়। এরপর ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে। সেখানে আটকে রেখে করা হয় নির্যাতন। সেই নির্যাতনের দৃশ্য ভিডিও করে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে পাঠানো হয় পরিবারের সদস্যদের কাছে। পরে চক্রের সদস্যরা তাদের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। অনেকটা বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যরা মুক্তিপণ দিলে অপহৃত ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, পাবনার আমিনপুর থানাধীন শহীদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি প্রায় আড়াই বছর আগে ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়ার পর মাহবুব হোসেন নামে একজনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মাহবুব তাকে কাজ দেওয়ার কথা বলে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত সহযোগীদের মাধ্যমে অজ্ঞাত স্থানে আটকে নির্যাতন করতে থাকে। পরবর্তীতে দেশে অবস্থিত তার স্বজনদের মোবাইলে ফোন করে শহীদুলের আর্তনাদ শুনিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে। এমনকি মুক্তিপণের টাকা দেওয়ার জন্য দেশের একাধিক বিকাশ নম্বরও দেয়। শহীদুলের স্বজনরা অপহরণকারীদের দাবি অনুযায়ী দুই লাখ টাকা দেওয়ার পর চক্রটি তাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে এই ঘটনায় ২০১৬ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি পাবনার আমিনপুর থানায় একটি মামলা (নম্বর ২) দায়ের করেন ঘটনার শিকার শহীদুল ইসলামের ভাই।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরবর্তীতে সিআইডির অর্গানাইজ ক্রাইমের কাছে হস্তান্তর করা হলে তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগিতায় অনুসন্ধান শুরু করে। একপর্যায়ে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদের নেতৃত্বে গত ৩০ জুলাই প্রথমে হামিদকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে ৩ আগস্ট আমান উল্লাহকেও গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হওয়া হামিদ ও আমান উল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সিআইডির তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, টেকনাফ থানা এলাকার বাসিন্দা মাহবুব হোসেন দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছে। সে সেখানে কয়েকজন সহযোগী নিয়ে একটি অপহরণকারী চক্র গড়ে তুলেছে। সেই চক্রের সদস্যরা মালয়েশিয়ায় সদ্য যাওয়া ব্যক্তিদের টার্গেট করতো। তাদের কৌশল ছিল ভালো চাকরি দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করা। অপহরণের পর মুক্তিপণ হিসেবে বাংলাদেশি সহযোগীদের মাধ্যমে অর্থ নিতো।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, শহীদুলের ঘটনায় অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা তার স্বজনদের কাছ থেকে মোট ৮টি বিকাশ নম্বরে ২ লাখ টাকা নিয়েছিল। সেসব বিকাশ নম্বরের তথ্য সংগ্রহের পর সিআইডির কর্মকর্তারা জানতে পারেন, ৪টি বিকাশ নম্বর চক্রের এক সদস্য খোরশেদের নামে, ১টি হামিদের নামে, বাকিগুলো মালয়শিয়ায় অবস্থানরত চক্রের প্রধান মাহবুবের নামে রেজিস্ট্রেশন করা।
সিআইডির একজন কর্মকর্তা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া দুজন মাহবুবের নির্দেশে তারা অপহৃত ব্যক্তির স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। প্রত্যেকটি অপহরণের ঘটনায় তারা একটি নির্দিষ্ট অংশ ভাগ পেতো বলেও জানিয়েছে। গ্রেফতারের আগে মাহবুবের মালিকানাধীন একটি দোকান পরিচালনা করতো আমান উল্লাহ।
সিআইডির ওই কর্মকর্তা জানান, এই চক্রের আরও কয়েকজন সদস্যকে তারা শনাক্ত করেছেন। তাদেরও আইনের আওতায় আনার জন্য অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
No comments