রূপপুর নিয়ে ‘লিমিটের মধ্যে’ লিখতে সাংবাদিকদের অনুরোধ মন্ত্রীর
তিনি
সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, “আপনারা অনুগ্রহ করে লিমিটের মধ্যে থাকবেন। এ
প্রকল্প তো আপনাদের স্বার্থেই, আপনাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। এমন কিছু
ক্যাচি কথা লিখতে যেন না হয়, যেটা ক্ষতি করতে পারে।”
মঙ্গলবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একথা বলেন মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
রাশিয়ার সহযোগিতায় পাবনার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে ১ লাখ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে, যেখানে দুটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট করে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে কর্মরত দেশি-বিদেশিদের আবাসনের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নাধীন ‘রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্প’র নির্মাণাধীন ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনায় অনিয়মের খবর সম্প্রতি প্রকাশ পায় গণমাধ্যমে।
সেই খবর প্রকাশের পর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্তে ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের চিত্র বেরিয়ে আসে এবং তদন্ত প্রতিবেদনে ৩৪ জন প্রকৌশলীকে দায়ী করা হয়।
বিজ্ঞানমন্ত্রী মনে করেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড ব্যয়ের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিয়ে দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর দেশের স্বার্থে যায়নি, বিশ্বের অন্যান্য দেশের গণমাধ্যম এমনটা করে না।
“এ প্রকল্পটি অন্য পাঁচটা প্রজেক্টের মতো না। আজকে নানা কথাবার্তা চলছে। আমি অনুরোধ করব, এমন কিছু করবেন না যেটা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।”
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রোসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশনের চুক্তি হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত সর্বাধুনিক তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ব্যবহৃত তেজষ্ক্রিয় জ্বালানি সরিয়ে নিতেও রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইয়াফেস ওসমান বলেন, “পুরো প্রকল্পটি আমরা করছি মানুষের স্বার্থে। সামান্যতম ক্ষতি হলেও প্রকল্প রাখব না। আমরা এটাকে আরও নিরাপদ করব।”
পারমাণবিক জ্বালানি কিনতে চুক্তি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও রুশ ফেডারেশনের মধ্যে স্বাক্ষরিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় সহযোগিতা চুক্তির আওতায় রুশ ফেডারেশনের নির্ধারিত ঠিকাদার টিভেল জয়েন্ট স্টক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রাশিয়ান নিউক্লিয়ার ফুয়েল সাপ্লাই কোম্পানির কমার্শিয়াল ডিরেক্টর ফেদর শকোলভ।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির আওতায় নিউক্লিয়ার ফুয়েলের মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি স্থির করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহের সময় বিশ্ব বাজারে বিদ্যমান দর অনুযায়ী এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর সরবরাহকৃত নিউক্লিয়ার ফুয়েলের মূল্য নির্ধারিত হবে।
চুক্তির ‘মেথোডলজি অফ কন্ট্রাক্ট প্রাইস ক্যালকুলেশন’ অনুযায়ী এবং সময়ান্তরে চুক্তির মূল্য পুনঃনির্ধারণ পদ্ধতি উভয় পক্ষ কর্তৃক হালনাগাদ করা হবে।
নিউক্লিয়ার ফুয়েল কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসরণ করে আলোচ্য ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির নিউক্লিয়ার ফুয়েলের ক্রয় মূল্য নির্ধারণে ইউরেনিয়ামের দাম, অদলবদল সেবা, সমৃদ্ধ সেবা, ফুয়েল ফেব্রিকেশন – এ চারটি ধাপ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
এই চারটি ধাপের কার্যক্রম পৃথকভাবে নির্ধারিত হবে এবং চারটি ধাপের সমষ্টি ফুয়েলের মূল্য হিসেবে প্রযোজ্য হবে। চারটি মূল্য একত্রিত করে ফুয়েলের মূল্য নির্ধারিত হবে, যা প্রতি ১০ বছর অন্তত পুনঃমূল্যায়ন ও পুনঃনির্ধারণ করা যাবে।
এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর একক উৎস হিসেবে টিভেল জয়েন্ট স্টক কোম্পানি রূপপুর প্রকল্পে সরাসরি নিউক্লিয়ার ফুয়েল সরবরাহ করবে।
কেন একই দেশ থেকে জ্বালানি নিতে হবে- তার ব্যাখ্যায় ইয়াফেস ওসমান বলেন, “প্রকল্পের সব যন্ত্রপাতি তাদের তৈরি করা (রাশান ফেডারেশনের)। তাদের কাছ নেওয়াই তো বুদ্ধিমানের কাজ। পৃথিবীতে কিছু ফর্মুলা আছে। ফর্মুলার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। নতুন কোনো বিষয় এখানে হচ্ছে না। ক্ষতি হওয়ার কোনো স্কোপ নাই।”
মঙ্গলবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের পারমাণবিক জ্বালানি সরবরাহে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একথা বলেন মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
রাশিয়ার সহযোগিতায় পাবনার রূপপুরে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে ১ লাখ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে, যেখানে দুটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট করে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে কর্মরত দেশি-বিদেশিদের আবাসনের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নাধীন ‘রূপপুর গ্রিন সিটি প্রকল্প’র নির্মাণাধীন ভবনের আসবাব ও প্রয়োজনীয় মালামাল কেনায় অনিয়মের খবর সম্প্রতি প্রকাশ পায় গণমাধ্যমে।
সেই খবর প্রকাশের পর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্তে ৬২ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকার অনিয়মের চিত্র বেরিয়ে আসে এবং তদন্ত প্রতিবেদনে ৩৪ জন প্রকৌশলীকে দায়ী করা হয়।
বিজ্ঞানমন্ত্রী মনে করেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড ব্যয়ের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিয়ে দেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর দেশের স্বার্থে যায়নি, বিশ্বের অন্যান্য দেশের গণমাধ্যম এমনটা করে না।
“এ প্রকল্পটি অন্য পাঁচটা প্রজেক্টের মতো না। আজকে নানা কথাবার্তা চলছে। আমি অনুরোধ করব, এমন কিছু করবেন না যেটা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যায়।”
এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা রোসাটমের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান অ্যাটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের সঙ্গে ২০১৫ সালে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশনের চুক্তি হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্বলিত সর্বাধুনিক তৃতীয় প্রজন্মের প্রযুক্তি দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। ব্যবহৃত তেজষ্ক্রিয় জ্বালানি সরিয়ে নিতেও রাশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
অনুষ্ঠানে ইয়াফেস ওসমান বলেন, “পুরো প্রকল্পটি আমরা করছি মানুষের স্বার্থে। সামান্যতম ক্ষতি হলেও প্রকল্প রাখব না। আমরা এটাকে আরও নিরাপদ করব।”
পারমাণবিক জ্বালানি কিনতে চুক্তি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও রুশ ফেডারেশনের মধ্যে স্বাক্ষরিত আন্তঃরাষ্ট্রীয় সহযোগিতা চুক্তির আওতায় রুশ ফেডারেশনের নির্ধারিত ঠিকাদার টিভেল জয়েন্ট স্টক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিপত্রে সই করেন পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রাশিয়ান নিউক্লিয়ার ফুয়েল সাপ্লাই কোম্পানির কমার্শিয়াল ডিরেক্টর ফেদর শকোলভ।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির আওতায় নিউক্লিয়ার ফুয়েলের মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি স্থির করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহের সময় বিশ্ব বাজারে বিদ্যমান দর অনুযায়ী এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর সরবরাহকৃত নিউক্লিয়ার ফুয়েলের মূল্য নির্ধারিত হবে।
চুক্তির ‘মেথোডলজি অফ কন্ট্রাক্ট প্রাইস ক্যালকুলেশন’ অনুযায়ী এবং সময়ান্তরে চুক্তির মূল্য পুনঃনির্ধারণ পদ্ধতি উভয় পক্ষ কর্তৃক হালনাগাদ করা হবে।
নিউক্লিয়ার ফুয়েল কেনার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসরণ করে আলোচ্য ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির নিউক্লিয়ার ফুয়েলের ক্রয় মূল্য নির্ধারণে ইউরেনিয়ামের দাম, অদলবদল সেবা, সমৃদ্ধ সেবা, ফুয়েল ফেব্রিকেশন – এ চারটি ধাপ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
এই চারটি ধাপের কার্যক্রম পৃথকভাবে নির্ধারিত হবে এবং চারটি ধাপের সমষ্টি ফুয়েলের মূল্য হিসেবে প্রযোজ্য হবে। চারটি মূল্য একত্রিত করে ফুয়েলের মূল্য নির্ধারিত হবে, যা প্রতি ১০ বছর অন্তত পুনঃমূল্যায়ন ও পুনঃনির্ধারণ করা যাবে।
এই চুক্তি স্বাক্ষরের পর একক উৎস হিসেবে টিভেল জয়েন্ট স্টক কোম্পানি রূপপুর প্রকল্পে সরাসরি নিউক্লিয়ার ফুয়েল সরবরাহ করবে।
কেন একই দেশ থেকে জ্বালানি নিতে হবে- তার ব্যাখ্যায় ইয়াফেস ওসমান বলেন, “প্রকল্পের সব যন্ত্রপাতি তাদের তৈরি করা (রাশান ফেডারেশনের)। তাদের কাছ নেওয়াই তো বুদ্ধিমানের কাজ। পৃথিবীতে কিছু ফর্মুলা আছে। ফর্মুলার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। নতুন কোনো বিষয় এখানে হচ্ছে না। ক্ষতি হওয়ার কোনো স্কোপ নাই।”
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য আবাসিক ভবনের আসবাবপত্র কেনায় ‘দুর্নীতি’র খবর প্রকাশের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের লেখালেখির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানালেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। |
No comments