কোরবানির পশুর সংকট হবে না: লোকসানের শঙ্কায় খামারিরা by অমিতোষ পাল
জমে উঠছে কোরবানির পশুর হাট |
আসন্ন
পবিত্র ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য পশুর সংকট হবে না বলে মনে করছেন
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, পাশের দেশগুলো থেকে পশু
আমদানি না হলেও হাটে গরু-ছাগলের অভাব হবে না। দামও হবে সহনীয়। কারণ দেশেই
কোরবানিযোগ্য প্রায় সোয়া কোটি পশু রয়েছে। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানে
সাম্প্রতিক বন্যার কারণেও হাটগুলোতে পশু আমদানি বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে এবার পশুসংকট হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই বলে ধারণা করছেন হাটের
ইজারাদার, পশু ব্যবসায়ী ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। তারা মনে করছেন দামও খুব
একটা বেশি হবে না। এ কারণে খামারিদের মধ্যে তৈরি হয়েছে লোকসানের শঙ্কা।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় ও স্থায়ী গাবতলী পশুহাটের পরিচালনা কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, বন্যার কারণে অনেক দুর্গত এলাকার মানুষ তাদের পশু বিক্রি করে ফেলছে। ফড়িয়ারা সেসব পশু তুলনামূলক কম দামে কিনে রাখছেন। এমনকি বন্যাকবলিত এলাকার অনেকেই কোরবানির হাটের জন্য অপেক্ষায় আছেন। কোরবানির সপ্তাহখানেক আগেই এসব পশু হাটে আসা শুরু হবে।
এবার দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রায় সব জেলায় কমবেশি বন্যা হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগেরও বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছে। বন্যাদুর্গতদের পশু রাখার মতো সুব্যবস্থা নেই। তারা বাধ্য হয়ে পশুগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন। এদিকে ভারত থেকেও অল্পস্বল্প পশু চোরাই পথে আসছে। দেশীয় পশুতে মাংসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে বর্তমান সরকার পশু উৎপাদনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় গত কয়েক বছর পশু উৎপাদন বেড়েছে। ফলে ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, ভুটানসহ অন্যান্য দেশ থেকে পশু আমদানির তেমন প্রয়োজন হয়নি। গত কয়েক বছর বাংলাদেশ নিজেদের উৎপাদিত পশুর মাধ্যমেই কোরবানির চাহিদা মেটাচ্ছে। এমনকি বিদেশে মাংস রফতানিও শুরু করেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে পশু সংকটের কোনো পরিস্থিতিই এবার নেই বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
গত বছর কোরবানিতে পশু জবাই হয়েছিল এক কোটি ১৫ লাখ। এর মধ্যে ছাগল-ভেড়া ছিল ৭১ লাখ এবং গরু ছিল ৪৪ লাখ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া হিসাবে এবার দেশের খামারগুলোতে পশু রয়েছে এক কোটি ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৩টি। এর মধ্যে গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৩ এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭২ লাখ। সরকারি আটটি খামারে উট-দুম্বাসহ কোরবানির পশু আছে আরও সাত হাজার। গত বছরের চেয়ে বেশিসংখ্যক পশু থাকায় এবার চোরাই পথে বাইরে থেকে কোনো পশু না এলেও কোরবানিতে পশু সংকট হবে না বলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা মনে করছেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছরের চেয়ে এ বছর গরুর উৎপাদন বেড়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার। আর ছাগল-ভেড়ার উৎপাদন বেড়েছে এক লাখ। গত এক বছরে পশু উৎপাদন বেড়েছে প্রায় তিন লাখ। সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে গরু ও ছাগল উৎপাদনে। দেশে সারা বছর মাংসের জোগান ও কোরবানির চাহিদা মেটানোর পর বিদেশেও রফতানি হচ্ছে গরু-ছাগলের মাংস। গবাদি পশু উৎপাদনে নীরব বিপ্লব ঘটেছে দেশে। অথচ পাঁচ বছর আগেও কোরবানির ঈদে বৈধ-অবৈধ পথে ভারত, নেপাল ও মিয়ানমার থেকে ২০ থেকে ২৫ লাখ গরু আমদানি করে দেশের চাহিদা পূরণ করতে হতো। সারা বছরের হিসাবে এই সংখ্যা দাঁড়াত ৪০ লাখ। ঈদুল আজহার আগে সবাই ভারতীয় গরু আসার সংবাদে মুখিয়ে থাকতেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, এবারের কোরবানিতে পশুর চাহিদা যতই হোক না কেন, তাতে পশু সংকট তৈরি হবে না। কেননা দেশের খামারগুলোতে পর্যাপ্ত পশু রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের বিশেষ উদ্যোগের ফলে দেশে গবাদি পশুর উৎপাদন বেড়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে বড় বড় খামার। এসব খামারির যাতে কোনো লোকসান না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সরকারকে। এজন্য ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ রাখতে হবে। ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ হলে আগামীতে দেশে পশু উৎপাদন আরও বাড়বে, নইলে পরনির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে না।
অবশ্য গাবতলীর মাংস ব্যবসায়ী ও সাফায়েত মাংস বিতানের স্বত্বাধিকারী মো. সাফায়েত হোসেন বলেন, ভারতীয় গরুর দাম সস্তা। দেশি গরু, ছাগল, মহিষের দাম অনেক চড়া। ভারত থেকে কিছু গরু না এলে এবার কোরবানিতে গরুর দাম চড়াও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, এরই মধ্যে ভারত থেকে অনেক গরু এসেছে এবং চোরাই পথে আরও আসছে; এটা অব্যাহত থাকলে পর্যাপ্ত গরু উঠবে হাটগুলোতে। দামও থাকবে সহনীয়।
গাবতলী বেড়িবাঁধের খামারি ইশারফ বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা খাবার সংকটের কারণে তাদের গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ কারণেও কোরবানির পশুর দাম কিছুটা কম হতে পারে। এতে করে তার মতো সাধারণ খামারিরা লোকসানে পড়তে পারেন। কারণ পশুখাদ্যের উচ্চমূল্যের কারণে খামারিদের সব সময়ই লোকসানের ঝুঁকিতে থাকতে হয়।
পশুর বর্তমান দাম: গাবতলী পশুহাট ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ছোট আকৃতির গরু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। মাঝারি ধরনের গরু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৮০ হাজার এবং বড় গরু বিক্রি হচ্ছে ৮৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে দুই লাখ, তিন লাখ এবং সাড়ে তিন লাখ টাকা দামের কিছু গরুও আছে। অবশ্য এ রকম গরুর সংখ্যা গাবতলী হাটে একেবারেই হাতেগোনা। ছোট আকৃতির মহিষ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। মাঝারি আকৃতির মহিষ ৮৫ হাজার থেকে দেড় লাখ এবং বড় মহিষ বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা। হাটে ছোট খাসি বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা। মাঝারি আকৃতির খাসি ১১ থেকে ২০ হাজার এবং বড় আকৃতির খাসি বিক্রি হচ্ছে ২১ থেকে ৩০ হাজার টাকায়। গাবতলী হাটে কিছু উট-দুম্বাও দেখা গেছে। উটের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা। হাটে থাকা ১৫-২০টি দুম্বার প্রতিটির দাম চাওয়া হচ্ছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা।
রাজধানীর সবচেয়ে বড় ও স্থায়ী গাবতলী পশুহাটের পরিচালনা কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, বন্যার কারণে অনেক দুর্গত এলাকার মানুষ তাদের পশু বিক্রি করে ফেলছে। ফড়িয়ারা সেসব পশু তুলনামূলক কম দামে কিনে রাখছেন। এমনকি বন্যাকবলিত এলাকার অনেকেই কোরবানির হাটের জন্য অপেক্ষায় আছেন। কোরবানির সপ্তাহখানেক আগেই এসব পশু হাটে আসা শুরু হবে।
এবার দেশের উত্তরাঞ্চলের প্রায় সব জেলায় কমবেশি বন্যা হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগেরও বেশ কয়েকটি জেলা প্লাবিত হয়েছে। বন্যাদুর্গতদের পশু রাখার মতো সুব্যবস্থা নেই। তারা বাধ্য হয়ে পশুগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন। এদিকে ভারত থেকেও অল্পস্বল্প পশু চোরাই পথে আসছে। দেশীয় পশুতে মাংসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে বর্তমান সরকার পশু উৎপাদনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় গত কয়েক বছর পশু উৎপাদন বেড়েছে। ফলে ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, ভুটানসহ অন্যান্য দেশ থেকে পশু আমদানির তেমন প্রয়োজন হয়নি। গত কয়েক বছর বাংলাদেশ নিজেদের উৎপাদিত পশুর মাধ্যমেই কোরবানির চাহিদা মেটাচ্ছে। এমনকি বিদেশে মাংস রফতানিও শুরু করেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে পশু সংকটের কোনো পরিস্থিতিই এবার নেই বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
গত বছর কোরবানিতে পশু জবাই হয়েছিল এক কোটি ১৫ লাখ। এর মধ্যে ছাগল-ভেড়া ছিল ৭১ লাখ এবং গরু ছিল ৪৪ লাখ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া হিসাবে এবার দেশের খামারগুলোতে পশু রয়েছে এক কোটি ১৭ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৩টি। এর মধ্যে গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫৬৩ এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৭২ লাখ। সরকারি আটটি খামারে উট-দুম্বাসহ কোরবানির পশু আছে আরও সাত হাজার। গত বছরের চেয়ে বেশিসংখ্যক পশু থাকায় এবার চোরাই পথে বাইরে থেকে কোনো পশু না এলেও কোরবানিতে পশু সংকট হবে না বলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা মনে করছেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত বছরের চেয়ে এ বছর গরুর উৎপাদন বেড়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার। আর ছাগল-ভেড়ার উৎপাদন বেড়েছে এক লাখ। গত এক বছরে পশু উৎপাদন বেড়েছে প্রায় তিন লাখ। সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে গরু ও ছাগল উৎপাদনে। দেশে সারা বছর মাংসের জোগান ও কোরবানির চাহিদা মেটানোর পর বিদেশেও রফতানি হচ্ছে গরু-ছাগলের মাংস। গবাদি পশু উৎপাদনে নীরব বিপ্লব ঘটেছে দেশে। অথচ পাঁচ বছর আগেও কোরবানির ঈদে বৈধ-অবৈধ পথে ভারত, নেপাল ও মিয়ানমার থেকে ২০ থেকে ২৫ লাখ গরু আমদানি করে দেশের চাহিদা পূরণ করতে হতো। সারা বছরের হিসাবে এই সংখ্যা দাঁড়াত ৪০ লাখ। ঈদুল আজহার আগে সবাই ভারতীয় গরু আসার সংবাদে মুখিয়ে থাকতেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব রবিউল আলম বলেন, এবারের কোরবানিতে পশুর চাহিদা যতই হোক না কেন, তাতে পশু সংকট তৈরি হবে না। কেননা দেশের খামারগুলোতে পর্যাপ্ত পশু রয়েছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের বিশেষ উদ্যোগের ফলে দেশে গবাদি পশুর উৎপাদন বেড়েছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে উঠেছে বড় বড় খামার। এসব খামারির যাতে কোনো লোকসান না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে সরকারকে। এজন্য ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ রাখতে হবে। ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ হলে আগামীতে দেশে পশু উৎপাদন আরও বাড়বে, নইলে পরনির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব হবে না।
অবশ্য গাবতলীর মাংস ব্যবসায়ী ও সাফায়েত মাংস বিতানের স্বত্বাধিকারী মো. সাফায়েত হোসেন বলেন, ভারতীয় গরুর দাম সস্তা। দেশি গরু, ছাগল, মহিষের দাম অনেক চড়া। ভারত থেকে কিছু গরু না এলে এবার কোরবানিতে গরুর দাম চড়াও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, এরই মধ্যে ভারত থেকে অনেক গরু এসেছে এবং চোরাই পথে আরও আসছে; এটা অব্যাহত থাকলে পর্যাপ্ত গরু উঠবে হাটগুলোতে। দামও থাকবে সহনীয়।
গাবতলী বেড়িবাঁধের খামারি ইশারফ বলেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা খাবার সংকটের কারণে তাদের গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ কারণেও কোরবানির পশুর দাম কিছুটা কম হতে পারে। এতে করে তার মতো সাধারণ খামারিরা লোকসানে পড়তে পারেন। কারণ পশুখাদ্যের উচ্চমূল্যের কারণে খামারিদের সব সময়ই লোকসানের ঝুঁকিতে থাকতে হয়।
পশুর বর্তমান দাম: গাবতলী পশুহাট ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ছোট আকৃতির গরু বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। মাঝারি ধরনের গরু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৮০ হাজার এবং বড় গরু বিক্রি হচ্ছে ৮৫ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত। তবে দুই লাখ, তিন লাখ এবং সাড়ে তিন লাখ টাকা দামের কিছু গরুও আছে। অবশ্য এ রকম গরুর সংখ্যা গাবতলী হাটে একেবারেই হাতেগোনা। ছোট আকৃতির মহিষ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। মাঝারি আকৃতির মহিষ ৮৫ হাজার থেকে দেড় লাখ এবং বড় মহিষ বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা। হাটে ছোট খাসি বিক্রি হচ্ছে ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা। মাঝারি আকৃতির খাসি ১১ থেকে ২০ হাজার এবং বড় আকৃতির খাসি বিক্রি হচ্ছে ২১ থেকে ৩০ হাজার টাকায়। গাবতলী হাটে কিছু উট-দুম্বাও দেখা গেছে। উটের দাম চাওয়া হচ্ছে ৫ থেকে ৮ লাখ টাকা। হাটে থাকা ১৫-২০টি দুম্বার প্রতিটির দাম চাওয়া হচ্ছে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা।
No comments