অপরিকল্পিত নগরায়ন থেকে ডেঙ্গুর উৎপত্তি -আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদন by মেহেদী হাসান
বাংলাদেশের মতো মওসুমি বায়ুর দেশে ব্যাপক আকারে ডেঙ্গু জ্বর ছড়িয়ে পড়ার পেছনে অন্যতম কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ন।
জলাবদ্ধতা, নির্মাণাধীন ভবন ও বড় বড় প্রকল্প এলাকায় নিয়মিত জমে থাকা পানি থেকে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়াসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। বর্তমানে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু বাংলাদেশের অর্থনীতি, সামাজিক ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কোনো কোনো গণমাধ্যমে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে মহামারী আকারে উল্লেখ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) উদ্ধৃতি দিয়ে এসব খবরে বলা হয়েছে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক এবং পরিস্থিতি এভাবে অব্যাহত থাকলে এটি মহামারী আকার ধারণ করবে।
তুরস্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে জলাবদ্ধতা, নির্মাণাধীন ভবন ছাড়াও ঢাকায় মেট্রোরেলসহ ব্যাপকভিত্তিক অনেক নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় নিয়মিত পানি জমে থাকছে, যা এডিস মশাসহ অন্যান্য মশার অন্যতম প্রজনন কেন্দ্র। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং এ পানি অপসারিত হতে কয়েক দিন পর্যন্ত সময় লাগে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ডেঙ্গুর ৯০ ভাগ রোগী ঢাকার।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী এ বছর জুলাই মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত আট হাজার ৫৬৫ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গত বছর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৪৫০।
এ বছর শুধু জুলাই মাসেই ছয় হাজার ৪২১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, যা গত বছর এ সময়ের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি। একে অনেকে মহামারীর সাথে তুলনা করছেন। ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত অনেকের মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে প্রকৃত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রদত্ত তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি।
২০০০ সালের আগ পর্যন্ত মূলত ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কিছু ডেঙ্গু আক্রান্তের রেকর্ড রয়েছে। ২০০০ সালে ডেঙ্গু ব্যাপক আকার ধারণ করে। সে বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ৯৩ জন মারা যায়। এরপর প্রায় প্রতি বছর নিয়মিতভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে।
অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এ ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস আসার পর এখানকার উপযোগী পরিবেশে তা টিকে থাকছে।
বর্তমানে একমাত্র ইউরোপ ছাড়া সব মহাদেশের বিভিন্ন দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মওসুমি ও মওসুমি বায়ু অঞ্চলে এর প্রাদুর্ভাব বেশি। ফিলিপাইনে এ বছর ৪৫৬ জন মারা যাওয়ার পর রাষ্ট্রীয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
১৭৭৯ সালে ডেঙ্গু নামকরণের পর ১৭৮০ সালে সর্ব প্রথম এশিয়া আফ্রিকা ও উত্তর আামেরিকায় ডেঙ্গু মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ডেঙ্গু রোগ ও তা ছড়িয়ে পড়ার ইতিহাস বিষয়ে বলা হয়েছে অধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত অপরিকল্পিত শহরাঞ্চল যেখানে সুষ্ঠু পানি, পয়ঃ ও বর্জ ব্যবস্থাপনা নেই সেখানে এটি ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি।
চীনের মেডিক্যাল এনসাইক্লোপেডিয়া অনুযায়ী সম্ভবত প্রথম ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া যায় সে দেশে ২৬৫ থেকে ৪২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। বিষাক্ত পানি আর উড়ন্ত পোকার মাধ্যমে সে সময় এক প্রকার রোগ ছড়িয়ে পড়ার তথ্য রয়েছে।
জলাবদ্ধতা, নির্মাণাধীন ভবন ও বড় বড় প্রকল্প এলাকায় নিয়মিত জমে থাকা পানি থেকে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়াসহ মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এ ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে। বর্তমানে ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু বাংলাদেশের অর্থনীতি, সামাজিক ও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। আন্তর্জাতিক কোনো কোনো গণমাধ্যমে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে মহামারী আকারে উল্লেখ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) উদ্ধৃতি দিয়ে এসব খবরে বলা হয়েছে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক এবং পরিস্থিতি এভাবে অব্যাহত থাকলে এটি মহামারী আকার ধারণ করবে।
তুরস্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে জলাবদ্ধতা, নির্মাণাধীন ভবন ছাড়াও ঢাকায় মেট্রোরেলসহ ব্যাপকভিত্তিক অনেক নির্মাণ প্রকল্প এলাকায় নিয়মিত পানি জমে থাকছে, যা এডিস মশাসহ অন্যান্য মশার অন্যতম প্রজনন কেন্দ্র। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এবং এ পানি অপসারিত হতে কয়েক দিন পর্যন্ত সময় লাগে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ডেঙ্গুর ৯০ ভাগ রোগী ঢাকার।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী এ বছর জুলাই মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত আট হাজার ৫৬৫ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে। গত বছর ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৪৫০।
এ বছর শুধু জুলাই মাসেই ছয় হাজার ৪২১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, যা গত বছর এ সময়ের তুলনায় পাঁচ গুণ বেশি। একে অনেকে মহামারীর সাথে তুলনা করছেন। ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত অনেকের মৃত্যুর তথ্য তুলে ধরে বলা হয়েছে প্রকৃত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রদত্ত তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি।
২০০০ সালের আগ পর্যন্ত মূলত ঢাকায় বিচ্ছিন্ন কিছু ডেঙ্গু আক্রান্তের রেকর্ড রয়েছে। ২০০০ সালে ডেঙ্গু ব্যাপক আকার ধারণ করে। সে বছর ৫ হাজার ৫৫১ জন আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ৯৩ জন মারা যায়। এরপর প্রায় প্রতি বছর নিয়মিতভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটছে।
অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও এ ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস আসার পর এখানকার উপযোগী পরিবেশে তা টিকে থাকছে।
বর্তমানে একমাত্র ইউরোপ ছাড়া সব মহাদেশের বিভিন্ন দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মওসুমি ও মওসুমি বায়ু অঞ্চলে এর প্রাদুর্ভাব বেশি। ফিলিপাইনে এ বছর ৪৫৬ জন মারা যাওয়ার পর রাষ্ট্রীয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
১৭৭৯ সালে ডেঙ্গু নামকরণের পর ১৭৮০ সালে সর্ব প্রথম এশিয়া আফ্রিকা ও উত্তর আামেরিকায় ডেঙ্গু মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে। ডেঙ্গু রোগ ও তা ছড়িয়ে পড়ার ইতিহাস বিষয়ে বলা হয়েছে অধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত অপরিকল্পিত শহরাঞ্চল যেখানে সুষ্ঠু পানি, পয়ঃ ও বর্জ ব্যবস্থাপনা নেই সেখানে এটি ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা বেশি।
চীনের মেডিক্যাল এনসাইক্লোপেডিয়া অনুযায়ী সম্ভবত প্রথম ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান পাওয়া যায় সে দেশে ২৬৫ থেকে ৪২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। বিষাক্ত পানি আর উড়ন্ত পোকার মাধ্যমে সে সময় এক প্রকার রোগ ছড়িয়ে পড়ার তথ্য রয়েছে।
No comments