আবুধাবিতে আবারও ড্র

বুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এখন পর্যন্ত খেলা দুটি টেস্টেই জয়ের দেখা মিলল না। পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম টেস্ট বেশ উত্তেজনার বিজ্ঞাপন দেখালেও শেষ পর্যন্ত গড়িয়েছে নিষপ্রাণ ড্রতে। ক্যারিয়ারের অষ্টম ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন কুমার সাঙ্গাকারা, শতরান করেছেন প্রসন্ন জয়াবর্ধনেও। ২১ ওভারে ১৭০ রানের অসম্ভব লক্ষ্যের পেছনে ছোটেনি পাকিস্তান, ১০ ওভার পরই দুই অধিনায়কের সম্মতিতে ড্র ঘোষণা করা হয় আবুধাবি টেস্ট।৬ রানে পিছিয়ে থেকে পঞ্চম ও শেষ দিন শুরু করে শ্রীলঙ্কা।


ক্রিজে ছিলেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সাঙ্গাকারা ও জয়াবর্ধনে। পাকিস্তানের বোলারদের হতাশায় পুড়িয়ে ষষ্ঠ উইকেটে এ দুজন ২০১ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কাকে বড় লিড নেওয়ার পথে এগিয়ে দেন। ২১১ রান করে আজহার আলীর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন সাঙ্গাকারা। ৮ ওভার পর উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন ১২০ রান করা প্রসন্নও। শ্রীলঙ্কার শেষ ৫ উইকেট পড়েছে বেশ দ্রুত, মাত্র ৪৯ রানে। দলীয় ৪৩৪ রানে আউট হয়েছিলেন সাঙ্গাকারা আর ৪৮৩ রানেই অল আউট শ্রীলঙ্কা। জয়ের জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১৭০ রান, হাতে ওভার ছিল ২১টি। টোয়েন্টি টোয়েন্টির যুগেও টেস্ট ক্রিকেটে এটা বলতে গেলে অসম্ভবই। দলীয় ৭ রানেই ওয়ালেগেদারার বলে আউট হয়ে যান প্রথম ইনিংসের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান তৌফিক ওমর (২)। এরপর সাবধানী পথেই চলেছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান ১০ ওভারে মাত্র ২১ রান করার পরই ম্যাচ ড্র।
প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯৭ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্তভাবে ফিরে আসায় ড্রতেই খুশি থাকছে শ্রীলঙ্কা। অধিনায়ক দিলশানও দলের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট। অন্যদিকে পাকিস্তানের জয় হাতছাড়া হওয়ার বড় কারণ বাজে ফিল্ডিং। পুরো ম্যাচে ক্যাচ ফসকেছে ছয়টি। এর অর্ধেকও তালুবন্দি করতে পারলে হয়তো আরো আগেই শ্রীলঙ্কাকে অল আউট করে ফেলতে পারত পাকিস্তান। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় মিসবাহ-উল হকও সেটা মেনে নিয়েছেন এককথায়। নিষপ্রাণ ম্যাচেও ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন সাঙ্গাকারা, তৌফিক ও প্রসন্ন। তবে চাপের মুখে ব্যাট করার জন্য ম্যাচসেরার পুরস্কারটা উঠেছে সাঙ্গাকারার হাতেই। ক্রিকইনফো
স্কোর : শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস ১৯৭ ও দ্বিতীয় ইনিংস ৪৮৩ (সাঙ্গাকারা ২১১, প্রসন্ন ১২০, উমর গুল ৬৪/৪)। পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ৫১১/৬ ডিক্লে. (তৌফিক ২৩৬, হাফিজ ৭৫, আজহার ৭০ ও দ্বিতীয় ইনিংস ২১/১, হাফিজ ১২*)। ফল : ড্র। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : কুমার সাঙ্গাকারা।

No comments

Powered by Blogger.