চলতি বছরের মধ্যেই ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার
চলতি বছরের মধ্যে ইরাক থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হলে তেহরান-বাগদাদ সম্পর্কে ‘পরিবর্তন ঘটবে’।
বর্তমানে ইরাকে প্রায় ৩৯ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছেন। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল এক লাখ ৬৫ হাজার।
গত শুক্রবার বারাক ওবামা বলেন, কীভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়—এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাক ‘পুরোপুরি মতৈক্যে’ পৌঁছেছে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘ইরাকে আমাদের অবশিষ্ট সেনারা এ বছরের মধ্যে দেশে ফিরে আসবে। প্রায় নয় বছর পর ইরাকে আমেরিকার যুদ্ধ শেষ হবে।’ তিনি বলেন, মার্কিন সেনারা মাথা উঁচু করে ইরাক ছেড়ে আসবে। প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, এভাবে ইরাকে মার্কিন সামরিক অভিযান শেষ হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের হিসাবে ২০০৩ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ইরাকে চার হাজার ৪০৮ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের পর প্রেসিডেন্ট ওবামা হোয়াইট হাউসে বলেন, দুই পক্ষের সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইরাকি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা এবং ‘দৃঢ় ও স্থায়ী অংশীদারের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা।
২০১০ সালে ইরাকে যুদ্ধ অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ক্ষমতায় থাকার সময় ২০১১ সালের মধ্যে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতাসহ মার্কিন সামরিক অগ্রাধিকারের পরিবর্তনের মধ্যে এ ঘোষণা দেওয়া হলো।
তবে ইরাক থেকে পুরোপুরি মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি চলমান বিতর্কের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
প্রশিক্ষণের জন্য পাঁচ হাজার মার্কিন সেনাকে ইরাকে রেখে দিতে চান ইরাকি নেতারা। তবে এসব প্রশিক্ষক ইরাকে বিচার থেকে দায়মুক্তি পাবেন না। কিন্তু পেন্টাগন এ শর্ত মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এ অবস্থায় ইরাক থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এ ব্যাপারে দুই পক্ষের কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
তবে বারাক ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে ইরাকিদের সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিতে পারে, এ ব্যাপারে ইরাকের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি বারাক ওবামা।
এদিকে সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, প্রতিবেশী ইরাক থেকে মার্কিন সেনারা চলে গেলে তেহরান-বাগদাদ সম্পর্কে ‘পরিবর্তন ঘটবে’ বলে তিনি আশা করছেন।
আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘আমি মনে করি, একটা পরিবর্তন ঘটবে। ইরাকের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।’ মার্কিন সেনা প্রত্যাহারকে তিনি ‘ভালো কিছু’ বলে মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়াদের অস্ত্র সরবরাহ ও সমর্থন দিচ্ছে ইরান।
বর্তমানে ইরাকে প্রায় ৩৯ হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছেন। ২০০৮ সালে এই সংখ্যা ছিল এক লাখ ৬৫ হাজার।
গত শুক্রবার বারাক ওবামা বলেন, কীভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়—এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরাক ‘পুরোপুরি মতৈক্যে’ পৌঁছেছে।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, ‘ইরাকে আমাদের অবশিষ্ট সেনারা এ বছরের মধ্যে দেশে ফিরে আসবে। প্রায় নয় বছর পর ইরাকে আমেরিকার যুদ্ধ শেষ হবে।’ তিনি বলেন, মার্কিন সেনারা মাথা উঁচু করে ইরাক ছেড়ে আসবে। প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেন, এভাবে ইরাকে মার্কিন সামরিক অভিযান শেষ হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের হিসাবে ২০০৩ সালের মার্চ থেকে এ পর্যন্ত ইরাকে চার হাজার ৪০৮ জন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছেন।
ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নূরি আল মালিকির সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের পর প্রেসিডেন্ট ওবামা হোয়াইট হাউসে বলেন, দুই পক্ষের সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইরাকি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা এবং ‘দৃঢ় ও স্থায়ী অংশীদারের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা।
২০১০ সালে ইরাকে যুদ্ধ অভিযান সমাপ্তির ঘোষণা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ক্ষমতায় থাকার সময় ২০১১ সালের মধ্যে ইরাক থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতাসহ মার্কিন সামরিক অগ্রাধিকারের পরিবর্তনের মধ্যে এ ঘোষণা দেওয়া হলো।
তবে ইরাক থেকে পুরোপুরি মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি চলমান বিতর্কের বিষয়ে পরিণত হয়েছে।
প্রশিক্ষণের জন্য পাঁচ হাজার মার্কিন সেনাকে ইরাকে রেখে দিতে চান ইরাকি নেতারা। তবে এসব প্রশিক্ষক ইরাকে বিচার থেকে দায়মুক্তি পাবেন না। কিন্তু পেন্টাগন এ শর্ত মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এ অবস্থায় ইরাক থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এ ব্যাপারে দুই পক্ষের কোনো সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
তবে বারাক ওবামা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে ইরাকিদের সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিতে পারে, এ ব্যাপারে ইরাকের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত থাকবে। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি বারাক ওবামা।
এদিকে সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইরানি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ বলেছেন, প্রতিবেশী ইরাক থেকে মার্কিন সেনারা চলে গেলে তেহরান-বাগদাদ সম্পর্কে ‘পরিবর্তন ঘটবে’ বলে তিনি আশা করছেন।
আহমাদিনেজাদ বলেন, ‘আমি মনে করি, একটা পরিবর্তন ঘটবে। ইরাকের সঙ্গে আমাদের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে।’ মার্কিন সেনা প্রত্যাহারকে তিনি ‘ভালো কিছু’ বলে মন্তব্য করেন।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, ইরাকের শিয়া মিলিশিয়াদের অস্ত্র সরবরাহ ও সমর্থন দিচ্ছে ইরান।
No comments