পাখি-বিহারে অতিথিরা পেতেছে সংসার by জে এম রউফ,
আশপাশে ছোটখাটো দু-একটি বিল আছে, কয়েক কিলোমিটার দূরে আছে দুটি দিঘি। বলার মতো আর তেমন খাল-বিল বা জলাশয় নেই ওই এলাকায়। একটি মাত্র নদী, সেটিও মৃতপ্রায়। তবু প্রতিবছরই আসছে অতিথি পাখি। শত শত পাখি। তিনটি বড় গাছে রীতিমতো সংসারও পেতে বসেছে তারা। দিন-রাত এদের কলতানে মুখরিত থাকে গোটা এলাকা।অতিথি পাখির এ সমাগম দেখা গেছে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার গ্রামে। বিহার হাটে দুটি পাকুড়গাছ, আর কাছের খাঁপাড়ার একটি শিমুল গাছে এদের বাসাবাড়ি।
বিশাল আকৃতির এসব অতিথি পাখি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসে এখানে। সাদা-কালো রঙের পাখিদের দলবেঁধে উড়ে যাওয়া এবং ফিরে এসে গাছে বসা দেখছে তারা।স্থানয় বাসিন্দারা জানায়, তিন বছর ধরেই ওই তিনটি গাছে এসে বাসা বাঁধছে এসব পাখি। প্রায় চার মাস তারা এখানে থাকে। এরপর কিছু কিছু পাখি চলে যায়। শীতে আবার আসে। আবার অনেক পাখি বছরজুড়েই থাকে।
ওই এলাকার বাসিন্দা আবদুল জলিল জানান, আশপাশে জলাশয় বলতে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে সংসার দিঘি ও সব্দল দিঘি। এ ছাড়া বিহারে কয়েকটি ছোটখাটো বিল আছে। কাছের এসব বিলে বা বিহার হাটের পাশ দিয়ে বয়ে চলা মৃতপ্রায় নাগর নদে পাখিগুলোকে দেখা যায় না। তবে দূরবর্তী ওইসব জলাশয়ে পাখিগুলো যায় কি না তা জানা নেই তাদের।
ওই এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও জিলহাজ হোসেন জানান, পাখিগুলো কোথা থেকে যেন মুখে করে শামুক-ঝিনুক (স্থানীয় ভাষায় চাঁচা) ও ছোট মাছ আনে। মাঝেমধ্যেই সেসব নিচে পড়ে যায়। তাঁরা বলেন, পাখিগুলো দেখতে ভালো লাগলেও বিষ্ঠা ত্যাগের কারণে হাটের সময় লোকজন বিব্রত হয়। তাদের দাবি, এলাকার লোকজন পাখি শিকার করে না। তবে কয়েকটি শিশু জানায়, রাতের বেলা অটোরিকশা নিয়ে লোকজন এসে বেশ কিছু পাখির ছানা ধরে নিয়ে যেতে দেখেছে তারা।
স্থানীয় লোকজনের কাছে শামুকখেকো নামে পরিচিত এই পাখিদের মধ্যে হাড়গিলা ও মদনটাক নামের দুই প্রজাতির পাখি শনাক্ত করেছেন বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এসব পাখি সাধারণত রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলে বাস করে। আমাদের দেশে যে সময় বর্ষার পানি নেমে যায়, সেই সময়ে এসব পাখি আসে। কারণ তখন সাইবেরিয়া অঞ্চলে প্রচণ্ড শীত নামে, তুষারপাত হয়।' জহিরুল ইসলাম বলেন, পাখিগুলো আবাস ও খাদ্যের সন্ধানে এ অঞ্চলে চলে আসে। এসব পাখি সাধারণত শামুক-ঝিনুক, ছোট মাছ, ব্যাঙ ও ছোট সাপসহ অমেরুদণ্ডী প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
প্রাণিবিদ্যার এই শিক্ষক বলেন, অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এরা এ অঞ্চলে থাকে। এ সময় বাসা তৈরি করে ডিম দেয়। বাচ্চা ফোটার পর তাদের নিয়ে চলে যায় নিজেদের এলাকায়। পরের বছর আবারও তারা এ দেশে আসে। তিনি বলেন, এসব পাখি পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণে তাদের আগমন বাড়ানো প্রয়োজন।
এই শিক্ষক মনে করেন, নির্বিচারে শিকার রোধ করা গেলে এবং বিচরণক্ষেত্র নিরাপদ রাখতে পারলে এই অঞ্চলে স্থায়ী আবাসও গড়তে পারে এসব অতিথি পাখি।
জহিরুল ইসলাম বলেন, পাখিদের আবাসের জন্য নিরাপদ গাছ দরকার। বিশেষ করে উঁচু গাছ যেখানে অন্যের উপদ্রব কম, সেসব গাছেই মূলত এরা বাসা বাঁধে। দিন দিন বড় গাছ কমে আসায় তাদের আবাসের সমস্যাও তৈরি হয়েছে। তাই যেখানে বড় গাছের সন্ধান পাচ্ছে সেখানেই গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে এরা।
ওই এলাকার বাসিন্দা আবদুল জলিল জানান, আশপাশে জলাশয় বলতে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে সংসার দিঘি ও সব্দল দিঘি। এ ছাড়া বিহারে কয়েকটি ছোটখাটো বিল আছে। কাছের এসব বিলে বা বিহার হাটের পাশ দিয়ে বয়ে চলা মৃতপ্রায় নাগর নদে পাখিগুলোকে দেখা যায় না। তবে দূরবর্তী ওইসব জলাশয়ে পাখিগুলো যায় কি না তা জানা নেই তাদের।
ওই এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও জিলহাজ হোসেন জানান, পাখিগুলো কোথা থেকে যেন মুখে করে শামুক-ঝিনুক (স্থানীয় ভাষায় চাঁচা) ও ছোট মাছ আনে। মাঝেমধ্যেই সেসব নিচে পড়ে যায়। তাঁরা বলেন, পাখিগুলো দেখতে ভালো লাগলেও বিষ্ঠা ত্যাগের কারণে হাটের সময় লোকজন বিব্রত হয়। তাদের দাবি, এলাকার লোকজন পাখি শিকার করে না। তবে কয়েকটি শিশু জানায়, রাতের বেলা অটোরিকশা নিয়ে লোকজন এসে বেশ কিছু পাখির ছানা ধরে নিয়ে যেতে দেখেছে তারা।
স্থানীয় লোকজনের কাছে শামুকখেকো নামে পরিচিত এই পাখিদের মধ্যে হাড়গিলা ও মদনটাক নামের দুই প্রজাতির পাখি শনাক্ত করেছেন বগুড়া সরকারি আযিযুল হক কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এসব পাখি সাধারণত রাশিয়ার সাইবেরিয়া অঞ্চলে বাস করে। আমাদের দেশে যে সময় বর্ষার পানি নেমে যায়, সেই সময়ে এসব পাখি আসে। কারণ তখন সাইবেরিয়া অঞ্চলে প্রচণ্ড শীত নামে, তুষারপাত হয়।' জহিরুল ইসলাম বলেন, পাখিগুলো আবাস ও খাদ্যের সন্ধানে এ অঞ্চলে চলে আসে। এসব পাখি সাধারণত শামুক-ঝিনুক, ছোট মাছ, ব্যাঙ ও ছোট সাপসহ অমেরুদণ্ডী প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে।
প্রাণিবিদ্যার এই শিক্ষক বলেন, অক্টোবর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এরা এ অঞ্চলে থাকে। এ সময় বাসা তৈরি করে ডিম দেয়। বাচ্চা ফোটার পর তাদের নিয়ে চলে যায় নিজেদের এলাকায়। পরের বছর আবারও তারা এ দেশে আসে। তিনি বলেন, এসব পাখি পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণে তাদের আগমন বাড়ানো প্রয়োজন।
এই শিক্ষক মনে করেন, নির্বিচারে শিকার রোধ করা গেলে এবং বিচরণক্ষেত্র নিরাপদ রাখতে পারলে এই অঞ্চলে স্থায়ী আবাসও গড়তে পারে এসব অতিথি পাখি।
জহিরুল ইসলাম বলেন, পাখিদের আবাসের জন্য নিরাপদ গাছ দরকার। বিশেষ করে উঁচু গাছ যেখানে অন্যের উপদ্রব কম, সেসব গাছেই মূলত এরা বাসা বাঁধে। দিন দিন বড় গাছ কমে আসায় তাদের আবাসের সমস্যাও তৈরি হয়েছে। তাই যেখানে বড় গাছের সন্ধান পাচ্ছে সেখানেই গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে এরা।
No comments