ভবিতব্য নিঃসঙ্গ মহাবিশ্ব
মহাবিশ্ব শুধু প্রসারিতই হচ্ছে না, সেই প্রসারণ হচ্ছে ক্রমবর্ধমান হারে। এর ফলে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড এমন একটি অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে, যা মানুষের ধারণার অতীত। সেই অবস্থাটি হবে খুবই শীতল এবং ওই দশায় মহাবিশ্ব হয়ে পড়বে ভীষণ নিঃসঙ্গ। এ বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেলজয়ী অন্যতম বিজ্ঞানী ব্রায়ান স্মিট ও সহগবেষকদের 'কৃষ্ণ শক্তি'জনিত ত্বরান্বিত প্রসারণ তত্ত্বের এ ধারণা সঠিক হলে পাল্টে যাবে 'বিগ ব্যাং'সহ পদার্থবিদ্যার স্বতঃসিদ্ধ অনেক ধারণা, গাণিতিক হিসাব-নিকাশ। সম্প্রতি ব্রিটিশ পত্রিকা টেলিগ্রাফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে 'ডার্ক এনার্জি' বা 'কৃষ্ণ শক্তি' নিয়ে আলোচনা করেন ড. স্মিট।
ব্রায়ান স্মিটের হৈচৈ ফেলে দেওয়া গবেষণার মূল শিরোনাম বাংলা করলে দাঁড়ায়, 'দূরবর্তী অতিকায় তারা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে মহাবিশ্বের ত্বরান্বিত সম্প্রসারণ আবিষ্কার'। ক্যানবেরার অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক সঙ্গে নিয়ে গবেষণাটি সম্পন্ন করেন তিনি। এ গবেষণা জ্যোতির্বিদ্যার কিছু মৌলিক ধারণাকেই বদলে দিয়েছে। এর ফলে উন্মোচিত হয়েছে বিজ্ঞানের একটি নতুন জগৎ, আর বিশ্বকে পরিচিত হতে হচ্ছে 'ডার্ক এনার্জি' বা 'কৃষ্ণ শক্তি'র সঙ্গে। যদিও গবেষকদলটি এর সম্পূর্ণ বিপরীত কিছুই আশা করছিল।
গবেষণার বিষয় ব্যাখ্যা করে স্মিট বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম পরীক্ষা করতে পারব বাতাসে একটা বল ছুড়ে মারার মতো ঘটনা ঘটবে। অর্থাৎ সেটি যেমন ভূপৃষ্ঠে প্রবল গতিতে আছড়ে পড়ে তেমনি মহাবিশ্ব একসময় বিপরীত বিগ ব্যাং ঘটিয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু টানা তিন বছর ধরে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের পর দেখা গেল মহাবিশ্বের বিস্তৃতি কমছেই না বরং এর বিস্তারের গতি আরো বেড়ে গেছে। এটা স্বীকৃত বাস্তবতার বিপরীত। এটা অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা দেয় না। এটা একেবারেই অসম্ভব মনে হয়। যখন প্রথম এ ফল প্রত্যক্ষ করি, এটা আমাদের বিহ্বল করেছিল।'
স্মিট বলেন, 'আমাদের পুরো দলটাই ভাবছিল যে ফলাফলে কোথাও ভুল হয়েছে। এরপর ভুলটা ধরার জন্য গবেষণার খুঁটিনাটি আবারও পরীক্ষা করা হয়, ফলটাকে বারবার বিশ্লেষণ করা হয়; কিন্তু কোথাও কোনো ভুল পাওয়া যায়নি। তখন আমাদের গবেষকদল তথ্যটি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে সম্মত হয়।'
স্মিট আরো বলেন, "আমি আশা করেছিলাম যে আলোর চেয়েও দ্রুতগতিতে ছোটা নিউট্রিনোর প্রসঙ্গটির মতো এ বিষয়টি নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হবে। কারণ কিছু সংশয়বাদী মানুষ থাকবেই। তবে এটা এমন কিছু যে, তাদের সংশয় নিয়ে আমি কোনো অভিযোগ করব না। বরং বলতে পারি, যখন তথ্যটি প্রকাশ করি তখনো আমি নিজেই সংশয়ের মধ্যেই ছিলাম, আমি চাইছিলাম না তত্ত্বটি এখনই প্রকাশিত হোক। কারণ এটা এমন একটা তত্ত্ব, যেটি প্রমাণ করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ৭৫ শতাংশই এখনো আমাদের অজানা। আর এ ৭৫ শতাংশ মহাবিশ্ব অভিকর্ষ বলের বিপরীতে কাজ করছে। এই অজানা মহাবিশ্বকেই আমরা বলেছি 'ডার্ক এনার্জি' বা 'কৃষ্ণ শক্তি', যা প্রতিনিয়ত দ্রুতগতিতে বিকশিত হচ্ছে। এটা এমন কিছু, যা পদার্থবিদদের আওতার বাইরে। তাঁরা জানেন না সেখানে কী ঘটছে।"
স্মিট বলেন, "যখন জ্যোতির্বিদরা এমন কিছু আবিষ্কার করেন, যা তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন না সেটাকে তাঁরা চিহ্নিত করেন 'ডার্ক এঙ্' নামে। এ ক্ষেত্রে 'এঙ্' হচ্ছে শক্তি। মহাবিশ্বের দ্রুতগতির প্রসারণ বা বিস্তার মহাজগৎ গবেষকদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে_সে সম্পর্কে ধারণা দেবে। অধ্যাপক স্মিটের ভাষ্য অনুযায়ী সেই ভবিষ্যৎ ভাবিত হওয়ার মতোই বিষয়। কারণ কোনো মহাকর্ষ বল দিয়ে একে বেঁধে রাখা যাচ্ছে না। এটি বিস্তৃতই হচ্ছে। একসময় আমাদের পর্যবেক্ষণের সীমার বাইরে চলে যাবে মহাবিশ্ব। কারণ বিস্তারের গতির বিপরীতে ছুটে আলো এসে আমাদের কাছে পেঁৗছাবে না। কিছুই দেখার থাকবে না। বিশ্বটা হবে একেবারেই ফাঁকা (অর্থাৎ এর ঘনত্ব হবে শূন্যের কাছাকাছি)। আমাদের এই ছায়াপথ হবে প্রায় শূন্য ঘনত্বের একটা জায়গা, যেখানকার বস্তুগুলোর পারমাণবিক জ্বালানি নিঃশেষিত। এটি হবে খুবই শীতল, নিঃসঙ্গ।"
গবেষণার বিষয় ব্যাখ্যা করে স্মিট বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম পরীক্ষা করতে পারব বাতাসে একটা বল ছুড়ে মারার মতো ঘটনা ঘটবে। অর্থাৎ সেটি যেমন ভূপৃষ্ঠে প্রবল গতিতে আছড়ে পড়ে তেমনি মহাবিশ্ব একসময় বিপরীত বিগ ব্যাং ঘটিয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু টানা তিন বছর ধরে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের পর দেখা গেল মহাবিশ্বের বিস্তৃতি কমছেই না বরং এর বিস্তারের গতি আরো বেড়ে গেছে। এটা স্বীকৃত বাস্তবতার বিপরীত। এটা অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা দেয় না। এটা একেবারেই অসম্ভব মনে হয়। যখন প্রথম এ ফল প্রত্যক্ষ করি, এটা আমাদের বিহ্বল করেছিল।'
স্মিট বলেন, 'আমাদের পুরো দলটাই ভাবছিল যে ফলাফলে কোথাও ভুল হয়েছে। এরপর ভুলটা ধরার জন্য গবেষণার খুঁটিনাটি আবারও পরীক্ষা করা হয়, ফলটাকে বারবার বিশ্লেষণ করা হয়; কিন্তু কোথাও কোনো ভুল পাওয়া যায়নি। তখন আমাদের গবেষকদল তথ্যটি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে সম্মত হয়।'
স্মিট আরো বলেন, "আমি আশা করেছিলাম যে আলোর চেয়েও দ্রুতগতিতে ছোটা নিউট্রিনোর প্রসঙ্গটির মতো এ বিষয়টি নিয়েও ব্যাপক আলোচনা হবে। কারণ কিছু সংশয়বাদী মানুষ থাকবেই। তবে এটা এমন কিছু যে, তাদের সংশয় নিয়ে আমি কোনো অভিযোগ করব না। বরং বলতে পারি, যখন তথ্যটি প্রকাশ করি তখনো আমি নিজেই সংশয়ের মধ্যেই ছিলাম, আমি চাইছিলাম না তত্ত্বটি এখনই প্রকাশিত হোক। কারণ এটা এমন একটা তত্ত্ব, যেটি প্রমাণ করে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ৭৫ শতাংশই এখনো আমাদের অজানা। আর এ ৭৫ শতাংশ মহাবিশ্ব অভিকর্ষ বলের বিপরীতে কাজ করছে। এই অজানা মহাবিশ্বকেই আমরা বলেছি 'ডার্ক এনার্জি' বা 'কৃষ্ণ শক্তি', যা প্রতিনিয়ত দ্রুতগতিতে বিকশিত হচ্ছে। এটা এমন কিছু, যা পদার্থবিদদের আওতার বাইরে। তাঁরা জানেন না সেখানে কী ঘটছে।"
স্মিট বলেন, "যখন জ্যোতির্বিদরা এমন কিছু আবিষ্কার করেন, যা তাঁরা দেখতে পাচ্ছেন না সেটাকে তাঁরা চিহ্নিত করেন 'ডার্ক এঙ্' নামে। এ ক্ষেত্রে 'এঙ্' হচ্ছে শক্তি। মহাবিশ্বের দ্রুতগতির প্রসারণ বা বিস্তার মহাজগৎ গবেষকদের বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ভবিষ্যৎ কী হতে পারে_সে সম্পর্কে ধারণা দেবে। অধ্যাপক স্মিটের ভাষ্য অনুযায়ী সেই ভবিষ্যৎ ভাবিত হওয়ার মতোই বিষয়। কারণ কোনো মহাকর্ষ বল দিয়ে একে বেঁধে রাখা যাচ্ছে না। এটি বিস্তৃতই হচ্ছে। একসময় আমাদের পর্যবেক্ষণের সীমার বাইরে চলে যাবে মহাবিশ্ব। কারণ বিস্তারের গতির বিপরীতে ছুটে আলো এসে আমাদের কাছে পেঁৗছাবে না। কিছুই দেখার থাকবে না। বিশ্বটা হবে একেবারেই ফাঁকা (অর্থাৎ এর ঘনত্ব হবে শূন্যের কাছাকাছি)। আমাদের এই ছায়াপথ হবে প্রায় শূন্য ঘনত্বের একটা জায়গা, যেখানকার বস্তুগুলোর পারমাণবিক জ্বালানি নিঃশেষিত। এটি হবে খুবই শীতল, নিঃসঙ্গ।"
No comments