সবিশেষ-নিজেকে বদলে নেবে কম্পিউটার!
কম্পিউটার ব্যবহারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যন্ত্রটির আধুনিকায়ন। যতই দিন যাচ্ছে, ততই এর আকার ছোট হয়ে আসছে। এতে এর ব্যবহার-উপযোগিতা বাড়ছে। এবার গবেষকরা ভাবছেন শুধু ছোট করে আনা নয়, যন্ত্রটিকে এমন ক্ষমতা দেওয়া যেন এটি বিভিন্ন কাজের জন্য নিজেই নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারে। আর এ কাজে বেশ অগ্রগতিও হয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।নেচার ন্যানোটেকনোলজি নামের সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গবেষকরা নতুন এক ধরনের পদার্থ তৈরি করেছেন।
এটি এখনকার সিলিকন-ভিত্তিক চিপগুলোর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব। আর নতুন এ পদার্থটি দিয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী চিপ তৈরি করা যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষক ডেভিড ওয়াকার ও বার্টোজ গ্রিজবোস্কি জানিয়েছেন, শুধু ছোট আকারের দিকে যাওয়ার পরিবর্তে তাঁরা কম্পিউটারের নির্মাণের ধরনেই পরিবর্তন আনার ব্যাপারে বেশি আগ্রহী ছিলেন। আর কাজটি করতে গিয়ে তাঁরা কম্পিউটারের যাবতীয় যন্ত্রাংশকে একটি মূল উপাদানের মধ্যে সনি্নবিষ্ট করে নেওয়ার কথা ভাবেন। ব্যাপারটি অনেকটা সুইস দেশীয় আর্মির ছুরির মতো বলে গবেষকরা জানিয়েছেন। অনেক ধরনের ছুরি এবং এ-জাতীয় উপাদান যেমন একটি খোসার মধ্যে থাকে, তেমনি কম্পিউটারের সব যন্ত্রাংশও এমনি একটি যন্ত্রের মধ্যে পোরা থাকবে। এতে এমনিই এর আকার ছোট হয়ে আসবে। ওই মূল যন্ত্রটি তৈরি করা হবে নতুন উপাদানটি দিয়ে। এটি অনেক বৈদ্যুতিক চার্জ ধারণ করবে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, নতুন উপাদানটির মধ্যে থাকা অসংখ্য অজস্র ঋণাত্মক ও ধনাত্মক বৈদ্যুতিক চার্জ বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত ও প্রয়োজনে বাধাগ্রস্ত করা যাবে। উপাদানটি নিজেই এ কাজটি করতে পারবে। ফলে বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রয়োজনে কম্পিউটারটি নিজেকে ওই কাজের উপযোগী করে বদলে নিতে পারবে নিজে থেকেই। বৈদ্যুতিক চার্জ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কম্পিউটারটি এভাবে নিজেই নিজেকে বিভিন্ন ধরনের কাজের উপযোগী করে বদলে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।
গবেষকরা বলছেন, এ প্রযুক্তি অদূর ভবিষ্যতে বেশ কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হবে। এ ছাড়া ক্রমেই এর আকার আরো ছোট করে আনাও সম্ভব হবে। এরই মধ্যে এ কাজে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। খুব শিগগির এর বাস্তব প্রয়োগ শুরু করা সম্ভব হবে। সূত্র : বিবিসি নিউজ অনলাইন।
গবেষকরা জানিয়েছেন, নতুন উপাদানটির মধ্যে থাকা অসংখ্য অজস্র ঋণাত্মক ও ধনাত্মক বৈদ্যুতিক চার্জ বিভিন্ন দিকে প্রবাহিত ও প্রয়োজনে বাধাগ্রস্ত করা যাবে। উপাদানটি নিজেই এ কাজটি করতে পারবে। ফলে বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রয়োজনে কম্পিউটারটি নিজেকে ওই কাজের উপযোগী করে বদলে নিতে পারবে নিজে থেকেই। বৈদ্যুতিক চার্জ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কম্পিউটারটি এভাবে নিজেই নিজেকে বিভিন্ন ধরনের কাজের উপযোগী করে বদলে নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।
গবেষকরা বলছেন, এ প্রযুক্তি অদূর ভবিষ্যতে বেশ কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হবে। এ ছাড়া ক্রমেই এর আকার আরো ছোট করে আনাও সম্ভব হবে। এরই মধ্যে এ কাজে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। খুব শিগগির এর বাস্তব প্রয়োগ শুরু করা সম্ভব হবে। সূত্র : বিবিসি নিউজ অনলাইন।
No comments