গলাচিপায় আ. লীগের দুই পক্ষের সমাবেশ হয়নি, ১৪৪ ধারা-এমপি রনির বহিষ্কার দাবি
পটুয়াখালীর গলাচিপায় আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষ গতকাল শনিবার একই সময়ে একই স্থানে সমাবেশ আহ্বান করায় প্রশাসন অনির্দিষ্টকালের জন্য পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে। ফলে কোনো পক্ষই পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। তবে উভয় পক্ষের নেতারা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সন্মেলন করেছেন। এক পক্ষ পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনিকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে। এ অবস্থায় গলাচিপা পৌর শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
'এমপি রনির দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপ, মন্ত্রীদের সম্পর্কে অশোভন উক্তি, বিএনপি-জামায়াতকে পৃষ্ঠপোষকতার' প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগ গতকাল সকাল ১১টায় পৌরমঞ্চে বিক্ষোভ সমাবেশ আহ্বান করে। এর পাল্টা হিসেবে রনির সমর্থকরা 'পৌর মেয়রের টেন্ডার নিয়ে দুর্নীতি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের' দাবিতে একই সময় একই স্থানে সমাবেশ আহ্বান করে। উভয় পক্ষ শুক্রবার রাতে মাইকিং ও মিছিলের মাধ্যমে সমাবেশ আয়োজনের এ ঘোষণা দেয়। এ কারণে শহরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লস্কর তাজুল ইসলাম গতকাল সকাল ৭টায় পৌরমঞ্চসহ আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
এর পরপরই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা জামিল খান ও এএসপি (গলাচিপা-কলাপাড়া সার্কেল) মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পৌরমঞ্চসহ আশপাশ এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়। সাপ্তাহিক হাটের নির্ধারিত বাজার সরিয়ে নেওয়া হয় অন্যত্র। পৌরমঞ্চের সামনের সড়কে ব্যারিকেড বসানো হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা জামিল জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এদিকে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সন্মেলন করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সংবাদ সন্মেলন করে দলীয় কার্যালয় 'আওয়ামী ভবনে'। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে, পৌর মেয়র হাজি আবদুল ওহাব খলিফা, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা টিটো, যুগ্ম সম্পাদক মজিবর রহমান, সরদার মু. শাহ আলম, শামসুজ্জামান লিকন প্রমুখ।
সংবাদ সন্মেলনে নেতারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, গোলাম মাওলা রনি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করছেন। বহু নেতা-কর্মী দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকে নিজ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। এ ছাড়া মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে রনি একের পর এক অশোভন উক্তির মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে চলেছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাধার সৃষ্টি করছেন। এসব কারণে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে এমপির পক্ষের লোকজন সংবাদ সন্মেলন করে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমপির পক্ষের কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. শামীম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নুরুল ইসলাম ধলা প্রমুখ। সংবাদ সন্মেলনে নেতারা অভিযোগ করেন, গলাচিপা পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে মেয়র তাঁর আত্মীয়স্বজনদের নামে টেন্ডার-বাণিজ্য করে আসছেন। এর প্রতিবাদ করায় এমপির ভাবমূর্তি ক্ষণ্ন্ন করার অপচেষ্টা চলছে।
এর পরপরই জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা জামিল খান ও এএসপি (গলাচিপা-কলাপাড়া সার্কেল) মো. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পৌরমঞ্চসহ আশপাশ এলাকায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়। সাপ্তাহিক হাটের নির্ধারিত বাজার সরিয়ে নেওয়া হয় অন্যত্র। পৌরমঞ্চের সামনের সড়কে ব্যারিকেড বসানো হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তফা জামিল জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
এদিকে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ার পর উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি সংবাদ সন্মেলন করেছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সংবাদ সন্মেলন করে দলীয় কার্যালয় 'আওয়ামী ভবনে'। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ কুমার দে, পৌর মেয়র হাজি আবদুল ওহাব খলিফা, সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা টিটো, যুগ্ম সম্পাদক মজিবর রহমান, সরদার মু. শাহ আলম, শামসুজ্জামান লিকন প্রমুখ।
সংবাদ সন্মেলনে নেতারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, গোলাম মাওলা রনি সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করছেন। বহু নেতা-কর্মী দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অনেকে নিজ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। এ ছাড়া মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে রনি একের পর এক অশোভন উক্তির মাধ্যমে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে চলেছেন। পদ্মা সেতু নির্মাণে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাধার সৃষ্টি করছেন। এসব কারণে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে এমপির পক্ষের লোকজন সংবাদ সন্মেলন করে স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এমপির পক্ষের কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. শামীম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নুরুল ইসলাম ধলা প্রমুখ। সংবাদ সন্মেলনে নেতারা অভিযোগ করেন, গলাচিপা পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে মেয়র তাঁর আত্মীয়স্বজনদের নামে টেন্ডার-বাণিজ্য করে আসছেন। এর প্রতিবাদ করায় এমপির ভাবমূর্তি ক্ষণ্ন্ন করার অপচেষ্টা চলছে।
No comments