আন্দোলনের ঢেউ বাংলাদেশেও দেশ পুনরুদ্ধারে দশ দফা
ওয়াল স্ট্রিট দখল করো' আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে করপোরেটবিরোধী আন্দোলন। ভোগবাদী পশ্চিমা জীবনব্যবস্থায় করপোরেট আধিপত্যকে বিদায় জানাতেই এ আন্দোলন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। গতকাল শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে আয়োজিত এক সংহতি সমাবেশে এ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। জাতীয় স্বার্থে ব্লগার-অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, 'সারা দুনিয়ার যত সম্পদ আছে তা গুটিকতক মানুষের হাতে। মানুষ এ ভোগবাদিতার বিরুদ্ধে জাগছে। আমরা মানুষের সমাজ চাই। মানুষের বিশ্ব চাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুদ্ধার করতে হবে।'
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি বলেন, 'বিশ্বব্যাপী নতুন জোয়ার উঠেছে। ঝড় কিংবা ঘূর্ণিঝড় আপনাআপনি থেমে যায়। কিন্তু যে জোয়ার মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে তা বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে। এ দেশেও গণজোয়ার শুরু হয়েছে। আমরা ৯৯ শতাংশ মানুষের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।' ডাকসুর সাবেক ভিপি ও কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, 'মানুষের সমাজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন হচ্ছে। বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানুষ জেগে উঠেছে। আমাদের সমাজ পরিবর্তনের জন্যও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।'
সমাবেশে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো : ১. বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে উচ্চশিক্ষাকে বেসরকারীকরণ করা চলবে না। ঔপনিবেশিক শিক্ষা কাঠামো পরিবর্তন করে দেশের শিক্ষা খাতে ৯৯ শতাংশ জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ২. করপোরেট সাম্রাজ্যবাদকে বিদায় করে জাতীয় সম্পদের ওপর জনগণের ৯৯ শতাংশ মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ৩. দেশের মানুষকে অন্ধকারে রেখে ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া মেনে নেওয়া হবে না। তিস্তার পানির ন্যায্য পাওনা আদায় করতে হবে। ৪. শেয়ারবাজারকে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ জোগানের মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ৫. বিদেশি বিনিয়োগের নামে টেলিযোগাযোগ খাতে বহুজাতিক আধিপত্য ও অর্থ পাচার বন্ধ এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটককে শক্তিশালী করতে হবে। ৬. গার্মেন্ট শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় মজুরি ও সম্মানের মালিকানা দিতে হবে। ৭. কৃষি সম্পদ ও দেশীয় শিল্পের বিকাশে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করতে হবে। রপ্তানি খাতকে অধিক গুরুত্ব এবং বিলুপ্তির সম্মুখীন পাট শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। ৮. ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নামে বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি আমদানি ও তার ওপর নির্ভরশীলতা জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী। ওপেন সোর্স খাতে উন্নয়নের জন্য জাতীয় বাজেটে আলাদা অন্তর্ভুক্তি দিতে হবে। ৯. দেশের জনগণের গাত্রবর্ণকে কটাক্ষ করে বর্ণবাদী পণ্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ১০. মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের ফসল কোনো দল, গোষ্ঠীর সম্পত্তি না, এটা আপামর জনগণের সম্পদ। বাংলাদেশের ওপর ১ শতাংশ শাসকগোষ্ঠীর বদলে সংবিধান অনুযায়ী জনসাধারণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। তিনি বলেন, 'বিশ্বব্যাপী নতুন জোয়ার উঠেছে। ঝড় কিংবা ঘূর্ণিঝড় আপনাআপনি থেমে যায়। কিন্তু যে জোয়ার মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে তা বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকবে। এ দেশেও গণজোয়ার শুরু হয়েছে। আমরা ৯৯ শতাংশ মানুষের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি।' ডাকসুর সাবেক ভিপি ও কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, 'মানুষের সমাজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন হচ্ছে। বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানুষ জেগে উঠেছে। আমাদের সমাজ পরিবর্তনের জন্যও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।'
সমাবেশে ১০ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো : ১. বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে উচ্চশিক্ষাকে বেসরকারীকরণ করা চলবে না। ঔপনিবেশিক শিক্ষা কাঠামো পরিবর্তন করে দেশের শিক্ষা খাতে ৯৯ শতাংশ জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ২. করপোরেট সাম্রাজ্যবাদকে বিদায় করে জাতীয় সম্পদের ওপর জনগণের ৯৯ শতাংশ মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। ৩. দেশের মানুষকে অন্ধকারে রেখে ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া মেনে নেওয়া হবে না। তিস্তার পানির ন্যায্য পাওনা আদায় করতে হবে। ৪. শেয়ারবাজারকে রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ জোগানের মাধ্যম হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ৫. বিদেশি বিনিয়োগের নামে টেলিযোগাযোগ খাতে বহুজাতিক আধিপত্য ও অর্থ পাচার বন্ধ এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান টেলিটককে শক্তিশালী করতে হবে। ৬. গার্মেন্ট শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় মজুরি ও সম্মানের মালিকানা দিতে হবে। ৭. কৃষি সম্পদ ও দেশীয় শিল্পের বিকাশে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করতে হবে। রপ্তানি খাতকে অধিক গুরুত্ব এবং বিলুপ্তির সম্মুখীন পাট শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। ৮. ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার নামে বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তি আমদানি ও তার ওপর নির্ভরশীলতা জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী। ওপেন সোর্স খাতে উন্নয়নের জন্য জাতীয় বাজেটে আলাদা অন্তর্ভুক্তি দিতে হবে। ৯. দেশের জনগণের গাত্রবর্ণকে কটাক্ষ করে বর্ণবাদী পণ্যের বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ১০. মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের ফসল কোনো দল, গোষ্ঠীর সম্পত্তি না, এটা আপামর জনগণের সম্পদ। বাংলাদেশের ওপর ১ শতাংশ শাসকগোষ্ঠীর বদলে সংবিধান অনুযায়ী জনসাধারণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
No comments