ঢাবিতে দুই দিনের সম্মেলন শুরু-বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে
দেশের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তে হবে। আর সেই সম্পর্ক হতে হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে। এর মাধ্যমে ঐতিহাসিকভাবে সাংস্কৃতিক সমতার অধিকারী দুটি রাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে। গতকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে 'বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ও আসাম বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, 'সংস্কৃতি, ভাষা, সীমান্তসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সমবৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুটি দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক চাই। উভয় দেশের স্বার্থ ঠিক রেখে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। সমস্যা আছে, সমস্যা থাকবে। একটি সমস্যার সমাধান হলে নতুন সমস্যা তৈরি হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের এসবের সমাধান অব্যাহতভাবে করে যেতে হবে। সম্পর্কের অব্যাহত উন্নয়ন ঘটাতে হবে।'
বিশেষ অতিথি পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস বলেন, 'বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্পর্কের চেয়ে মাকড়সার জাল বেশি দেখেছি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এই জাল সরিয়ে ইস্যুগুলোকে সামনে আনার চেষ্টা করছে। দুই দেশের প্রত্যাশাগুলোকে এক করে দেখতে পারলে আমরা সমানতালে এগিয়ে যেতে পারব। এতেই মঙ্গল।'
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ভারতের নাগা, মিজোরামসহ বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিত। তারা বাংলাদেশের ভেতর থেকে ভারতে অভিযান চালাত। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এই বিদ্রোহী ক্যাম্পগুলোকে বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে।
অনুষ্ঠানে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সাবেক স্পিকার হাশিম আবদুল হালিম বলেন, 'সম্পর্কোন্নয়নের জন্য ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মুদ্রা দেশগুলো পারস্পরিকভাবে ব্যবহার করতে পারে।'
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ষোড়শী মোহন দাঁ বলেন, 'আমাদের এই দুই দেশ থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অন্যায়, অনাচার, অশিক্ষা দূর করার জন্য আমাদের সবাইকে শপথ নিতে হবে।' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা (বীর বিক্রম)। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রাজিত মিত্র, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য ও সম্মেলনের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মেসবাহ্ কামাল।
বিশেষ অতিথি পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস বলেন, 'বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে সম্পর্কের চেয়ে মাকড়সার জাল বেশি দেখেছি। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এই জাল সরিয়ে ইস্যুগুলোকে সামনে আনার চেষ্টা করছে। দুই দেশের প্রত্যাশাগুলোকে এক করে দেখতে পারলে আমরা সমানতালে এগিয়ে যেতে পারব। এতেই মঙ্গল।'
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূখণ্ড ব্যবহার করে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ভারতের নাগা, মিজোরামসহ বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিত। তারা বাংলাদেশের ভেতর থেকে ভারতে অভিযান চালাত। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে এই বিদ্রোহী ক্যাম্পগুলোকে বাংলাদেশ থেকে উচ্ছেদ করেছে।
অনুষ্ঠানে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার সাবেক স্পিকার হাশিম আবদুল হালিম বলেন, 'সম্পর্কোন্নয়নের জন্য ঐতিহাসিকভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মুদ্রা দেশগুলো পারস্পরিকভাবে ব্যবহার করতে পারে।'
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ষোড়শী মোহন দাঁ বলেন, 'আমাদের এই দুই দেশ থেকে ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অন্যায়, অনাচার, অশিক্ষা দূর করার জন্য আমাদের সবাইকে শপথ নিতে হবে।' ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা (বীর বিক্রম)। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রাজিত মিত্র, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য ও সম্মেলনের কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক মেসবাহ্ কামাল।
No comments