‘৪ দেশের মধ্যে হবে অভিন্ন পরিবহন নেটওয়ার্ক’
বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই চার প্রতিবেশী দেশ সন্দেহ-সংশয়ের দেয়াল ভেঙে নির্মাণ করতে যাচ্ছে সম্পর্কের এক সোনালি সেতুবন্ধন। ‘বিবিআইএন মোটর ভেহিকেল চুক্তি’ সম্পাদিত হওয়ায় ৪ দেশের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অভিন্ন পরিবহন নেটওয়ার্ক। যা এই ৪ দেশের অর্থনীতিতে সঞ্চার করবে নবধারা এবং পারস্পরিক সম্পর্কে যোগ করতে যাচ্ছে নতুন মাত্রা। উপ-আঞ্চলিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধন সুদৃঢ়করণে এই চূক্তি যোগাযোগ কূটনীতির এক অনন্য মাইলফলক। গতকাল সংসদে এক বিবৃতিতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হওয়া অধিবেশনে মন্ত্রী সম্প্রতি ভুটানের থিম্পুতে সম্পাদিত বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের মধ্যে সম্পাদিত বিবিআইএন মোটর ভেহিকেল অ্যাগ্রিমেন্ট নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। তিনি জানান, এই চুক্তির আওতায় আগামী ৬ মাসের মধ্যে ৪ দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হবে। আমরা পাশাপাশি থেকেও বিচ্ছিন্ন থাকতে চাই না। উন্নয়ন যাত্রায় হতে চাই সহযাত্রী। তিনি আরও বলেন, সার্ক ফ্রেমের আওতায় একটি অভিন্ন সড়ক নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার সর্বপ্রথম ভাবনাটি ভেবেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেকটা ইউরোপের আদলে চার দেশের মধ্যে চলাচল করবে ব্যক্তিগত গাড়ি ছাড়াও যাত্রীবাহী এবং পণ্যবাহী পরিবহন। এতে চার দেশের মানুষের মধ্যে পিপল-টু-পিপল কন্ট্রাক্ট প্রতিষ্ঠা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটবে, যা দেশগুলোর অর্থনীতিতে গতির সঞ্চার করবে।
মহাসড়কগুলোকে কোন ভোগান্তি হবে না: আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে মহাসড়কগুলোতে কোন ভোগান্তি হবে না এমন আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সোমবার সকল স্টেক- হোল্ডারদের নিয়ে একটি সভা করবে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এদিন ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করা হবে। তাই এবার ঈদে মহাসড়কগুলোতে কোন ভোগান্তি হবে না। তিনি আরও বলেন, আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে বাড়ি ফেরা, ঢাকা মহানগরীর প্রবেশ এবং বহির্গমন পয়েন্টগুলো যানজট মুক্ত রাখা, মহাসড়কে যানজট মোকাবিলা, সড়ক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে সক্রিয় রয়েছি। দেশব্যাপী সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীগণকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন দেশব্যাপী মহাসড়কগুলো যান চলাচলের উপযোগী রয়েছে। আমি আপনার মাধ্যমে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, সকল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিবারের মতো এবারও ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরতে এবং উৎসব শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসতে পারবে। রাজধানীর যানজট প্রসঙ্গে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যানজট নগর জীবনের সবচেয়ে বড় বিড়ম্বনার নাম। এটা আমার একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এতে অনেকগুলো মন্ত্রণালয়ে সমন্বয় দরকার। সকলের সমন্বিত পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আশাকরি স্বস্তি দিতে পারবো। সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে ইতিমধ্যে ১৪৪টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চলছে বলেও তিনি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।
পদ্মার দু’পাড়ে এখন সৃষ্টির মহোৎসব: বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চার লেনের মহাসড়ক নির্মিত হবে জানিয়ে মন্ত্রী ওয়াবদুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুতে নির্মিত হবে চার লেনের রাস্তা। ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কালো মেঘ কেটে এখন আলো ঝলমল করছে। পদ্মার দু’পারে এখন সৃষ্টির মহোৎসব। চলছে নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞ। তিনি বলেন, ২ হাজার ৪ টন ক্যাপাসিটির হ্যামার এখন পদ্মা পাড়ে চলে এসেছে। অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে মূল পাইলিংয়ের কাজ। এরইমধ্যে শুরু হয়ে যাবে নদী শাসনের মূল কাজ। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পদ্মা সেতুতে চার লেন মহাসড়ক যুক্ত হবে। মন্ত্রী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ মহাসড়কের ১৯২ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪০ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকা-জয়দেবপুর চার লেনের কাজও শেষ পর্যায়ে। আগামী ঈদে এসব মহাসড়কে কোন দুর্ভোগ-ভোগান্তি থাকবে না। মেট্রোরেল সম্পর্কে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের যোগাযোগের নেটওয়ার্ক মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজও এগিয়ে চলছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ধাপে ধাপে ৮টি টেন্ডার আহ্বান করা হবে। এরপর আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মেট্রোরেলের কাজ শুরু হবে।
মহাসড়কগুলোকে কোন ভোগান্তি হবে না: আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে মহাসড়কগুলোতে কোন ভোগান্তি হবে না এমন আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঈদকে সামনে রেখে সোমবার সকল স্টেক- হোল্ডারদের নিয়ে একটি সভা করবে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। এদিন ঈদে ঘরমুখো মানুষের জন্য নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে অবহিত করা হবে। তাই এবার ঈদে মহাসড়কগুলোতে কোন ভোগান্তি হবে না। তিনি আরও বলেন, আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদে বাড়ি ফেরা, ঢাকা মহানগরীর প্রবেশ এবং বহির্গমন পয়েন্টগুলো যানজট মুক্ত রাখা, মহাসড়কে যানজট মোকাবিলা, সড়ক নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে সক্রিয় রয়েছি। দেশব্যাপী সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীগণকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন দেশব্যাপী মহাসড়কগুলো যান চলাচলের উপযোগী রয়েছে। আমি আপনার মাধ্যমে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, সকল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা নিয়ে প্রতিবারের মতো এবারও ঈদে ঘরমুখো মানুষ স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরতে এবং উৎসব শেষে কর্মস্থলে ফিরে আসতে পারবে। রাজধানীর যানজট প্রসঙ্গে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, যানজট নগর জীবনের সবচেয়ে বড় বিড়ম্বনার নাম। এটা আমার একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এতে অনেকগুলো মন্ত্রণালয়ে সমন্বয় দরকার। সকলের সমন্বিত পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে আশাকরি স্বস্তি দিতে পারবো। সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে ইতিমধ্যে ১৪৪টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান চিহ্নিত করে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ চলছে বলেও তিনি বিবৃতিতে উল্লেখ করেন।
পদ্মার দু’পাড়ে এখন সৃষ্টির মহোৎসব: বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে চার লেনের মহাসড়ক নির্মিত হবে জানিয়ে মন্ত্রী ওয়াবদুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতুতে নির্মিত হবে চার লেনের রাস্তা। ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর কালো মেঘ কেটে এখন আলো ঝলমল করছে। পদ্মার দু’পারে এখন সৃষ্টির মহোৎসব। চলছে নির্মাণের বিশাল কর্মযজ্ঞ। তিনি বলেন, ২ হাজার ৪ টন ক্যাপাসিটির হ্যামার এখন পদ্মা পাড়ে চলে এসেছে। অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে মূল পাইলিংয়ের কাজ। এরইমধ্যে শুরু হয়ে যাবে নদী শাসনের মূল কাজ। দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে পদ্মা সেতুতে চার লেন মহাসড়ক যুক্ত হবে। মন্ত্রী জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চার লেন প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ মহাসড়কের ১৯২ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪০ কিলোমিটারের কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকা-জয়দেবপুর চার লেনের কাজও শেষ পর্যায়ে। আগামী ঈদে এসব মহাসড়কে কোন দুর্ভোগ-ভোগান্তি থাকবে না। মেট্রোরেল সম্পর্কে তিনি বলেন, নতুন প্রজন্মের যোগাযোগের নেটওয়ার্ক মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজও এগিয়ে চলছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ধাপে ধাপে ৮টি টেন্ডার আহ্বান করা হবে। এরপর আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে মেট্রোরেলের কাজ শুরু হবে।
No comments