জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পারাপার by সামছুর রহমান
এভাবেই প্রতিদিন হাজার হাজার পথচারী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছে। রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে তোলা l সাজিদ হোসেন |
কলেজপড়ুয়া
মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে সড়ক পার হতে চেষ্টা করছিলেন তানিয়া হক। কিন্তু একের
পর এক দ্রুত গতির যানবাহনের কারণে এক পা এগিয়ে আবার পিছিয়ে যাচ্ছিলেন।
গতকাল রোববার বেলা একটার দিকে এমন চিত্র দেখা গেল রাজধানীর কুড়িল উড়ালসড়কের নিচে বিশ্বরোড পুলিশ বক্সের সামনের বিমানবন্দর সড়ক পারাপারে। তানিয়া হক বলেন, ‘প্রতিদিন এই রাস্তা পার হতে প্রচণ্ড ভয় লাগে। ফুটওভারব্রিজ (পদচারী সেতু) যেহেতু নাই, উচিত ছিল এখানে ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করা।’
৩০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কুড়িল উড়ালসড়কটি ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু পদচারী সেতু নির্মাণসহ প্রকল্পের ছোটখাটো কিছু কাজ বাদ থেকে যায়। কুড়িল উড়ালসড়ক প্রকল্পে পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য পদচারী সেতুর মতো যেসব সুরক্ষাব্যবস্থা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল, সেগুলো পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় পথচারীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
গতকাল দেখা যায়, পথচারীরা বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিমানবন্দর সড়ক বিভাজকের ভাঙা অংশ দিয়ে পার হচ্ছেন। চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে পথচারীরা হাত উঁচিয়ে, গাড়ি থামিয়ে নানা কসরত করে সড়ক পার হচ্ছেন। কোনো জেব্রা ক্রসিং বা গতিরোধক না থাকায় যানবাহনও চলাচল করছে দ্রুতগতিতে। কুড়িল বিশ্বরোডের এই জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স আছে। পুলিশ বক্সের সামনে দিয়েই পথচারীরা বিপজ্জনকভাবে দৌড়ে সড়ক পার হচ্ছেন।
দেখা যায়, যাত্রীরা যেখান দিয়ে সড়ক পার হচ্ছেন তার কয়েক ফুট দূরেই পদচারী সেতু। এর নির্মাণকাজও প্রায় শেষ। এই উড়ালসড়ক দিয়ে প্রগতি সরণি, পূর্বাচল ও বনানী এলাকার গন্তব্যে যাওয়ার প্রবেশমুখের পাশে বানানো পদচারী সেতুটিতে ওঠার মুখটি টিন দিয়ে বন্ধ করা। পদচারী সেতু থেকে নেমে উড়ালসড়কের পাশ দিয়ে পথচারীদের জন্য হাঁটার পথ বানানো হয়েছে।
এই পথে নিয়মিত যাতায়াতকারী আশিক রহমান বলেন, ‘দেড় বছরের বেশি সময় ধরে দেখছি ওভারব্রিজটি বানানো হচ্ছে। আগে শুধু পিলার ছিল, এখন পুরো কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এই কাজটুকু শেষ করতে আর কত দিন লাগে।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সামছুল হক কুড়িল উড়ালসড়কের পরিকল্পনা ও নকশা প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘কুড়িল উড়ালসড়কের অনেক কাজই এখনো বাকি রয়ে গেছে। তিনটি ফুটওভার ব্রিজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু কাজটি শেষ হয়নি।’
এত দিনেও কেন পদচারী সেতু চালু হয়নি জানতে চাইলে রাজউকের প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘কুড়িল উড়ালসড়ক বিষয়ে অনেক ধরনের সমস্যা ছিল। সময় লাগলেও অবশেষে ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। কিছুদিনের মধ্যেই জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’
রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, কালাচাঁদপুর, সেনানিবাস, নিকুঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন বিমানবন্দর সড়কটি ব্যবহার করেন। এঁদের একটা বড় অংশই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। বিএএফ শাহীন কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজ, শহীদ আনোয়ার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়েই এই পথে পারাপার হয়।
খিলক্ষেত থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান আকন্দ বলেন, বেপরোয়া গতির গাড়ির সামনে দিয়ে পথচারীরা বিপজ্জনকভাবে পার হওয়ায় মাঝেমধ্যেই এ জায়গাটিতে দুর্ঘটনা ঘটে। ওভারব্রিজটি চালু হলে পথচারীদের পারাপার নিরাপদ হতো।
গতকাল রোববার বেলা একটার দিকে এমন চিত্র দেখা গেল রাজধানীর কুড়িল উড়ালসড়কের নিচে বিশ্বরোড পুলিশ বক্সের সামনের বিমানবন্দর সড়ক পারাপারে। তানিয়া হক বলেন, ‘প্রতিদিন এই রাস্তা পার হতে প্রচণ্ড ভয় লাগে। ফুটওভারব্রিজ (পদচারী সেতু) যেহেতু নাই, উচিত ছিল এখানে ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে পারাপারের ব্যবস্থা করা।’
৩০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত কুড়িল উড়ালসড়কটি ২০১৩ সালের ৪ আগস্ট উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু পদচারী সেতু নির্মাণসহ প্রকল্পের ছোটখাটো কিছু কাজ বাদ থেকে যায়। কুড়িল উড়ালসড়ক প্রকল্পে পথচারীদের নিরাপত্তার জন্য পদচারী সেতুর মতো যেসব সুরক্ষাব্যবস্থা ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল, সেগুলো পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় পথচারীরা দুর্ভোগে পড়ছেন। মাঝেমধ্যেই ঘটছে দুর্ঘটনা।
গতকাল দেখা যায়, পথচারীরা বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিমানবন্দর সড়ক বিভাজকের ভাঙা অংশ দিয়ে পার হচ্ছেন। চলন্ত গাড়ির সামনে দিয়ে পথচারীরা হাত উঁচিয়ে, গাড়ি থামিয়ে নানা কসরত করে সড়ক পার হচ্ছেন। কোনো জেব্রা ক্রসিং বা গতিরোধক না থাকায় যানবাহনও চলাচল করছে দ্রুতগতিতে। কুড়িল বিশ্বরোডের এই জায়গায় ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স আছে। পুলিশ বক্সের সামনে দিয়েই পথচারীরা বিপজ্জনকভাবে দৌড়ে সড়ক পার হচ্ছেন।
দেখা যায়, যাত্রীরা যেখান দিয়ে সড়ক পার হচ্ছেন তার কয়েক ফুট দূরেই পদচারী সেতু। এর নির্মাণকাজও প্রায় শেষ। এই উড়ালসড়ক দিয়ে প্রগতি সরণি, পূর্বাচল ও বনানী এলাকার গন্তব্যে যাওয়ার প্রবেশমুখের পাশে বানানো পদচারী সেতুটিতে ওঠার মুখটি টিন দিয়ে বন্ধ করা। পদচারী সেতু থেকে নেমে উড়ালসড়কের পাশ দিয়ে পথচারীদের জন্য হাঁটার পথ বানানো হয়েছে।
এই পথে নিয়মিত যাতায়াতকারী আশিক রহমান বলেন, ‘দেড় বছরের বেশি সময় ধরে দেখছি ওভারব্রিজটি বানানো হচ্ছে। আগে শুধু পিলার ছিল, এখন পুরো কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এই কাজটুকু শেষ করতে আর কত দিন লাগে।’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সামছুল হক কুড়িল উড়ালসড়কের পরিকল্পনা ও নকশা প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘কুড়িল উড়ালসড়কের অনেক কাজই এখনো বাকি রয়ে গেছে। তিনটি ফুটওভার ব্রিজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু কাজটি শেষ হয়নি।’
এত দিনেও কেন পদচারী সেতু চালু হয়নি জানতে চাইলে রাজউকের প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলী নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, ‘কুড়িল উড়ালসড়ক বিষয়ে অনেক ধরনের সমস্যা ছিল। সময় লাগলেও অবশেষে ওভারব্রিজ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। কিছুদিনের মধ্যেই জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’
রাজধানীর বাড্ডা, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা, কালাচাঁদপুর, সেনানিবাস, নিকুঞ্জসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকজন বিমানবন্দর সড়কটি ব্যবহার করেন। এঁদের একটা বড় অংশই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী। বিএএফ শাহীন কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শহীদ রমিজ উদ্দিন কলেজ, শহীদ আনোয়ার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়েই এই পথে পারাপার হয়।
খিলক্ষেত থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান আকন্দ বলেন, বেপরোয়া গতির গাড়ির সামনে দিয়ে পথচারীরা বিপজ্জনকভাবে পার হওয়ায় মাঝেমধ্যেই এ জায়গাটিতে দুর্ঘটনা ঘটে। ওভারব্রিজটি চালু হলে পথচারীদের পারাপার নিরাপদ হতো।
No comments