ঈদ মৌসুম- নারায়ণগঞ্জের পোশাক বিক্রেতারা হতাশ by আসিফ হোসেন
শবে বরাতের পর থেকেই জমে ওঠে নারায়ণগঞ্জের পোশাকের বাজার। আর রোজার শুরুতে নামে পাইকারি ক্রেতাদের ঢল। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। ক্রেতা নেই বললেই চলে। তাই লোকসানের শঙ্কায় নারায়ণগঞ্জের পোশাক ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের দেওভোগের মর্গান বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সড়ক, আলী আহম্মদ চুনকা সড়ক ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন বিপণিবিতানে গড়ে ওঠা পোশাকের দোকানগুলোতে ঈদ সামনে রেখে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার তৈরি পোশাক বিক্রি হয়। এ বছর এখনো বেচাকেনা জমে ওঠেনি। চলতি ঈদ মৌসুমের জন্য তৈরি করা পোশাক গুদামে পড়ে আছে।
দোকানমালিকদের হিসাবমতে, এখানকার আড়াই হাজার পোশাক প্রস্তুতের ক্ষুদ্র কারখানায় ৩০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের পারিশ্রমিক দেওয়াই এখন অনিশ্চিত।
দেওভোগ পোশাক প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল দেওয়ান বলেন, ‘প্রত্যেক মালিকের গুদামভর্তি মাল থাকলেও ক্রেতা আসছেন না। ৫-৬ রোজার পরও যদি বেচাকেনার এ অবস্থা থাকে, তাহলে লোকসানের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে।’
দেওভোগের পোশাক প্রস্তুতকারক মার্কেটগুলোতে গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি দোকানে আধুনিক এবং নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক প্রদর্শন করা হচ্ছে। দেওভোগ পোশাক প্রস্তুতকারক মার্কেটের বিক্রমপুর গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী আবদুর জব্বার খান জানান, বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি। মন্দাভাবের জন্য তিনি বন্যা এবং আগের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে দায়ী করেন।
কয়েকজন ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা শুরু হওয়ায় পাইকারেরা নারায়ণগঞ্জে আসতে পারছেন না। বন্যার কারণে এবার মফস্বলেও বিক্রি ভালো হবে না বলে তাঁর শঙ্কা।
আবিদ ফ্যাশনের মোশারফ হোসেন জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত শীতে এবং বৈশাখের পোশাক বিক্রি করে প্রায় সব দোকানমালিকই লোকসান গুনেছেন। ঈদে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশায় ছিলেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎ শুরু হলো বন্যা।
নারায়ণগঞ্জের এসব পোশাক প্রস্তুতকারক শবে বরাতের দুই মাস আগ থেকেই পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ওই সময় ঢাকার ইসলামপুর থেকে প্রতিদিন এই মার্কেটে শুধু এক থেকে দেড় কোটি টাকার থানকাপড় আসে। কিন্তু পুরো মার্কেটে দুই মাসে প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ কোটি টাকার কাপড় এসেছে। এরপর লেইস, ফলস কাপড়, সেলাই সুতা, ফোল্ডিং, বকলেস, বেল্ট, বোতাম, ফেব্রিকস ফ্লাওয়ার, পাথরসহ বহু আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। এসবের পর কাটিং মাস্টার, সুইংম্যান, আয়রনম্যানের কিছু কাজ তো আছেই।
প্রতিবছর বিভিন্ন নামের পোশাক ক্রেতারা পছন্দ করেন। এই তালিকায় এবার ফ্লোর টাচ, কিরণমালা, আঁখি ও কারচুপি থাকবে বলে ধারণা করছেন পোশাক প্রস্তুতকারকেরা।
মার্কেটগুলোতে মূলত শিশুদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করা হয়। পোশাকের দাম রকমভেদে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা। এখানকার বেশির ভাগ দোকানেই ভারত ও চীনের পোশাকের অনুকরণ করে দেশি পোশাক তৈরি করা হয়।
সিয়াম ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী জাফরুল ইসলাম জানান, তাঁরা তিন মাস আগে থেকেই টাকা খাটিয়ে বসে আছেন। চিন্তার বিষয় হচ্ছে বিক্রি করতে পারবেন কি না।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের দেওভোগের মর্গান বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সড়ক, আলী আহম্মদ চুনকা সড়ক ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন বিপণিবিতানে গড়ে ওঠা পোশাকের দোকানগুলোতে ঈদ সামনে রেখে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার তৈরি পোশাক বিক্রি হয়। এ বছর এখনো বেচাকেনা জমে ওঠেনি। চলতি ঈদ মৌসুমের জন্য তৈরি করা পোশাক গুদামে পড়ে আছে।
দোকানমালিকদের হিসাবমতে, এখানকার আড়াই হাজার পোশাক প্রস্তুতের ক্ষুদ্র কারখানায় ৩০ হাজার শ্রমিক কাজ করেন। তাঁদের পারিশ্রমিক দেওয়াই এখন অনিশ্চিত।
দেওভোগ পোশাক প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল দেওয়ান বলেন, ‘প্রত্যেক মালিকের গুদামভর্তি মাল থাকলেও ক্রেতা আসছেন না। ৫-৬ রোজার পরও যদি বেচাকেনার এ অবস্থা থাকে, তাহলে লোকসানের বোঝা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হবে।’
দেওভোগের পোশাক প্রস্তুতকারক মার্কেটগুলোতে গত শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি দোকানে আধুনিক এবং নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক প্রদর্শন করা হচ্ছে। দেওভোগ পোশাক প্রস্তুতকারক মার্কেটের বিক্রমপুর গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী আবদুর জব্বার খান জানান, বেচাকেনা এখনো জমে ওঠেনি। মন্দাভাবের জন্য তিনি বন্যা এবং আগের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে দায়ী করেন।
কয়েকজন ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে জানান, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা শুরু হওয়ায় পাইকারেরা নারায়ণগঞ্জে আসতে পারছেন না। বন্যার কারণে এবার মফস্বলেও বিক্রি ভালো হবে না বলে তাঁর শঙ্কা।
আবিদ ফ্যাশনের মোশারফ হোসেন জানান, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত শীতে এবং বৈশাখের পোশাক বিক্রি করে প্রায় সব দোকানমালিকই লোকসান গুনেছেন। ঈদে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার আশায় ছিলেন তাঁরা। কিন্তু হঠাৎ শুরু হলো বন্যা।
নারায়ণগঞ্জের এসব পোশাক প্রস্তুতকারক শবে বরাতের দুই মাস আগ থেকেই পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ওই সময় ঢাকার ইসলামপুর থেকে প্রতিদিন এই মার্কেটে শুধু এক থেকে দেড় কোটি টাকার থানকাপড় আসে। কিন্তু পুরো মার্কেটে দুই মাসে প্রায় ৮৫ থেকে ৯০ কোটি টাকার কাপড় এসেছে। এরপর লেইস, ফলস কাপড়, সেলাই সুতা, ফোল্ডিং, বকলেস, বেল্ট, বোতাম, ফেব্রিকস ফ্লাওয়ার, পাথরসহ বহু আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের প্রয়োজন হয়। এসবের পর কাটিং মাস্টার, সুইংম্যান, আয়রনম্যানের কিছু কাজ তো আছেই।
প্রতিবছর বিভিন্ন নামের পোশাক ক্রেতারা পছন্দ করেন। এই তালিকায় এবার ফ্লোর টাচ, কিরণমালা, আঁখি ও কারচুপি থাকবে বলে ধারণা করছেন পোশাক প্রস্তুতকারকেরা।
মার্কেটগুলোতে মূলত শিশুদের বিভিন্ন ধরনের পোশাক তৈরি করা হয়। পোশাকের দাম রকমভেদে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২ হাজার টাকা। এখানকার বেশির ভাগ দোকানেই ভারত ও চীনের পোশাকের অনুকরণ করে দেশি পোশাক তৈরি করা হয়।
সিয়াম ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী জাফরুল ইসলাম জানান, তাঁরা তিন মাস আগে থেকেই টাকা খাটিয়ে বসে আছেন। চিন্তার বিষয় হচ্ছে বিক্রি করতে পারবেন কি না।
No comments