সিন্ধুকছড়িবাসীর বিশুদ্ধ পানির স্বপ্নপূরণ by পলাশ বড়ুয়া
খাগড়াছড়ির
নতুন সৃষ্ট গুইমারা উপজেলার সিন্ধুকছড়ি ইউনিয়নে ১৩ হাজার মানুষের বিশুদ্ধ
পানির কোনো ব্যবস্থা ছিল না। গত ১০ বছরে বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়ায়
আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কয়েক শ মানুষ। তবে ওই এলাকায় এখন আর বিশুদ্ধ পানির
সংকট নেই। পানীয় জলের পাশাপাশি এলাকার লোকজন এখন সেচ–সুবিধাও পাচ্ছে। আর
এসব সম্ভব হয়েছে ওই এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের প্রকল্প বাস্তবায়িত
হওয়ায়।
কিছুদিন আগেও সিন্ধুকছড়ির ৩৮টি গ্রামের মানুষের ভরসা ছিল ছড়া ও কুয়ার পানি। বর্তমানে ৪০০ পরিবারের প্রত্যেকের বাড়িতে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় মুসলিমপাড়া, সিন্ধুকছড়ি উত্তরপাড়া, বাজারপাড়া, নাক্রাইপাড়া ও ত্রিপুরাপাড়ার পরিবারগুলো এই সুবিধা পাচ্ছে। বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর অধীনে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর। চলতি জুন মাসের ১৭ তারিখ গুইমারা ২৪ পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল মো. সফিকুর রহমান এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকল্পের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন ২৪ ফিল্ড আর্টিলারি ব্রিগেডের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তোফায়েল আহমেদ ও সিন্ধুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রাব্বি আহসান।
বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলেও উদ্যোগটি ছিল সিন্ধুকছড়ি সেনা জোনের। প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতার পাশাপাশি পানি ব্যবস্থাপনার জন্য সেনাবাহিনী এলাকাবাসীকে নিয়ে সিন্ধুকছড়ি আঞ্চলিক উন্নয়ন কমিটি নামের সমিতিও গঠন করেছে। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে আরডিএকে প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চার লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করা হয়। বাকি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করবে সমিতি। প্রকল্পের শুরুতে প্রথম পরীক্ষামূলক খননে ২ লাখ ১৮ হাজার, দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক খননে ২ লাখ ৪৮ হাজার টাকাসহ মোট ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে। ব্যয় মেটাতে উপকারভোগী প্রতিটি পরিবারের জন্য মাসে ৩০০ টাকা হারে চাঁদা ধার্য করা হয়েছে।
১৭ জুন সরেজমিন সিন্ধুকছড়ি বাজারপাড়া এলাকার সানজয় ত্রিপুরার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানের পানির লাইন থেকে কলসি ও বালতিতে করে পানি সংগ্রহ করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সানজয় ত্রিপুরা বলেন, ‘আগে দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে ছড়া থেকে পানি সংগ্রহ করতে হতো। সেই পানিও বিশুদ্ধ ছিল না। আর এখন বাড়ির উঠানেই বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছি। এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতোই মনে হচ্ছে।’
রোয়াজাপাড়া এলাকার নন্দিতা ত্রিপুরা জানান, সিন্ধুকছড়ি এলাকায় প্রতিবছর বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া রোগ দেখা দেয়। অনেক মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এখন এই সমস্যা দূর হওয়ায় তাঁরা খুব খুশি।
সিন্ধুকছড়ি আঞ্চলিক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ফজলুল হক বলেন, প্রতি মাসে ৪০০ পরিবারের কাছ থেকে ৩০০ টাকা হারে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হবে। বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ, প্রকল্পের মাসিক কিস্তি পরিশোধসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় হবে ৮৩ হাজার টাকা। কমিটির লাভ হবে ৩৭ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় ৫০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া যাবে।
২৪ পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল মো. রফিকের রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জনগণের সুখ-দুঃখে পাশে থেকে সহযোগিতা করা সেনাবাহিনীর নৈতিক দায়িত্ব। আমরা দেশ ও মানুষের কল্যাণেই কাজ করে থাকি।’
কিছুদিন আগেও সিন্ধুকছড়ির ৩৮টি গ্রামের মানুষের ভরসা ছিল ছড়া ও কুয়ার পানি। বর্তমানে ৪০০ পরিবারের প্রত্যেকের বাড়িতে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় মুসলিমপাড়া, সিন্ধুকছড়ি উত্তরপাড়া, বাজারপাড়া, নাক্রাইপাড়া ও ত্রিপুরাপাড়ার পরিবারগুলো এই সুবিধা পাচ্ছে। বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমীর অধীনে প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর। চলতি জুন মাসের ১৭ তারিখ গুইমারা ২৪ পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল মো. সফিকুর রহমান এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রকল্পের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন ২৪ ফিল্ড আর্টিলারি ব্রিগেডের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. তোফায়েল আহমেদ ও সিন্ধুকছড়ি জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রাব্বি আহসান।
বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলেও উদ্যোগটি ছিল সিন্ধুকছড়ি সেনা জোনের। প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতার পাশাপাশি পানি ব্যবস্থাপনার জন্য সেনাবাহিনী এলাকাবাসীকে নিয়ে সিন্ধুকছড়ি আঞ্চলিক উন্নয়ন কমিটি নামের সমিতিও গঠন করেছে। সেনাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে আরডিএকে প্রাথমিকভাবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে চার লাখ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করা হয়। বাকি ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করবে সমিতি। প্রকল্পের শুরুতে প্রথম পরীক্ষামূলক খননে ২ লাখ ১৮ হাজার, দ্বিতীয় পরীক্ষামূলক খননে ২ লাখ ৪৮ হাজার টাকাসহ মোট ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে। ব্যয় মেটাতে উপকারভোগী প্রতিটি পরিবারের জন্য মাসে ৩০০ টাকা হারে চাঁদা ধার্য করা হয়েছে।
১৭ জুন সরেজমিন সিন্ধুকছড়ি বাজারপাড়া এলাকার সানজয় ত্রিপুরার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির উঠানের পানির লাইন থেকে কলসি ও বালতিতে করে পানি সংগ্রহ করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সানজয় ত্রিপুরা বলেন, ‘আগে দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে ছড়া থেকে পানি সংগ্রহ করতে হতো। সেই পানিও বিশুদ্ধ ছিল না। আর এখন বাড়ির উঠানেই বিশুদ্ধ পানি পাচ্ছি। এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতোই মনে হচ্ছে।’
রোয়াজাপাড়া এলাকার নন্দিতা ত্রিপুরা জানান, সিন্ধুকছড়ি এলাকায় প্রতিবছর বিশুদ্ধ পানির অভাবে ডায়রিয়া রোগ দেখা দেয়। অনেক মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। এখন এই সমস্যা দূর হওয়ায় তাঁরা খুব খুশি।
সিন্ধুকছড়ি আঞ্চলিক উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ফজলুল হক বলেন, প্রতি মাসে ৪০০ পরিবারের কাছ থেকে ৩০০ টাকা হারে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হবে। বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ, প্রকল্পের মাসিক কিস্তি পরিশোধসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় হবে ৮৩ হাজার টাকা। কমিটির লাভ হবে ৩৭ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় ৫০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া যাবে।
২৪ পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল মো. রফিকের রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জনগণের সুখ-দুঃখে পাশে থেকে সহযোগিতা করা সেনাবাহিনীর নৈতিক দায়িত্ব। আমরা দেশ ও মানুষের কল্যাণেই কাজ করে থাকি।’
No comments