সংগ্রামী এক বাবা
মোসলেম উদ্দিনকে ঘিরে ছেলেমেয়েরা l ছবি: প্রথম আলো |
নিজে
পড়ালেখার সুযোগ পাননি। ছোট ভাইকে শিখিয়েছেন। ভাইয়ের চাকরির সময় নিজের জমি
বিক্রি করে টাকা দিয়েছেন। সেই ভাই এখন তাঁর খোঁজ রাখেন না। এবার তাঁর
স্বপ্ন, নিজের ছেলেমেয়েদের ভালো মানুষ হিসেবে তৈরি করার। আর এ জন্য তিনি
উদয়াস্ত খেটে চলেছেন।
ছোট ভাইয়ের পর সন্তানদের পড়াশোনার জন্য ২৫ বছর ধরে মোসলেম উদ্দিন রাজশাহী শহরে রিকশা চালাচ্ছেন। বয়স তাঁর ৫০-এর কোঠায়। বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে। তাঁর বড় ছেলে আবদুল লতিফ এবার স্নাতক পরীক্ষা দিয়েছেন। মেজো ছেলে আরিফ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ছোট ছেলে শরীফ হোসেন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। আর একমাত্র মেয়ে সুমি আক্তার পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে।
ছেলেরা তাঁর কষ্ট দেখে পায়ে চালানো রিকশা চালাতে দিতে চাননি। তাঁর মেজো ছেলে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে পড়তেন। ওই কলেজের এক শিক্ষক তাঁকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। আর দুটি এনজিও থেকে তিনি ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। এই দিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা কিনেছেন কিছুদিন আগে।
মাঝেমধ্যে ভাড়া নিয়ে রাজশাহী নগরের কুমারপাড়ার দিকে এলে মোসলেম উদ্দিন রিকশা রেখে প্রথম আলোর রাজশাহী কার্যালয়ে আসেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার গল্প করেন। তিনি ছেলেদের গৃহশিক্ষকতার কাজ করতে দেন না। কারণ, গৃহশিক্ষকতার পেছনে সময় দিলে পড়ার ক্ষতি হবে। এ জন্য তিনি নিজে পরিশ্রম করেন। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রিকশা চালান।
এদিকে যে ছোট ভাইয়ের জন্য তিনি এত কিছু করেছেন, সেই ভাই তাঁর আর খোঁজ নেন না। বরং জমি নিয়ে এখন তাঁর সঙ্গে চলছে মামলা-মোকদ্দমা। বাধ্য হয়ে মাস দুই আগে বাড়িঘর ছেড়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে তিনি রাজশাহী শহরের কয়েরদাঁড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় উঠেছেন।
মোসলেম উদ্দিন বলেন, তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাটুকু এক প্রতিবেশী কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন, তাঁর ছেলেরা যখন বড় হবে, তখন ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঢুকবে। তাই তিনি কিছুতেই ওই জমি বিক্রি করতে রাজি হননি।
গতকাল শনিবার সকালে কয়েরদাঁড়া এলাকায় তাঁদের ভাড়া বাসায় গিয়ে পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে দেখা হয়। ছেলেমেয়েরা বাবার গলা জড়িয়ে ধরে ছবি তোলে। ওদের ভাষায়, সবার বাবাই হয়তো ভালো। তবে তাদের বাবা তাদের কাছে সেরা।
ছোট ভাইয়ের পর সন্তানদের পড়াশোনার জন্য ২৫ বছর ধরে মোসলেম উদ্দিন রাজশাহী শহরে রিকশা চালাচ্ছেন। বয়স তাঁর ৫০-এর কোঠায়। বাড়ি নওগাঁর মান্দা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে। তাঁর বড় ছেলে আবদুল লতিফ এবার স্নাতক পরীক্ষা দিয়েছেন। মেজো ছেলে আরিফ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ছোট ছেলে শরীফ হোসেন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। আর একমাত্র মেয়ে সুমি আক্তার পড়ে পঞ্চম শ্রেণিতে।
ছেলেরা তাঁর কষ্ট দেখে পায়ে চালানো রিকশা চালাতে দিতে চাননি। তাঁর মেজো ছেলে রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজে পড়তেন। ওই কলেজের এক শিক্ষক তাঁকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছেন। আর দুটি এনজিও থেকে তিনি ৪০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। এই দিয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশা কিনেছেন কিছুদিন আগে।
মাঝেমধ্যে ভাড়া নিয়ে রাজশাহী নগরের কুমারপাড়ার দিকে এলে মোসলেম উদ্দিন রিকশা রেখে প্রথম আলোর রাজশাহী কার্যালয়ে আসেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার গল্প করেন। তিনি ছেলেদের গৃহশিক্ষকতার কাজ করতে দেন না। কারণ, গৃহশিক্ষকতার পেছনে সময় দিলে পড়ার ক্ষতি হবে। এ জন্য তিনি নিজে পরিশ্রম করেন। ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রিকশা চালান।
এদিকে যে ছোট ভাইয়ের জন্য তিনি এত কিছু করেছেন, সেই ভাই তাঁর আর খোঁজ নেন না। বরং জমি নিয়ে এখন তাঁর সঙ্গে চলছে মামলা-মোকদ্দমা। বাধ্য হয়ে মাস দুই আগে বাড়িঘর ছেড়ে ছেলেমেয়ে নিয়ে তিনি রাজশাহী শহরের কয়েরদাঁড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় উঠেছেন।
মোসলেম উদ্দিন বলেন, তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তাটুকু এক প্রতিবেশী কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন, তাঁর ছেলেরা যখন বড় হবে, তখন ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঢুকবে। তাই তিনি কিছুতেই ওই জমি বিক্রি করতে রাজি হননি।
গতকাল শনিবার সকালে কয়েরদাঁড়া এলাকায় তাঁদের ভাড়া বাসায় গিয়ে পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে দেখা হয়। ছেলেমেয়েরা বাবার গলা জড়িয়ে ধরে ছবি তোলে। ওদের ভাষায়, সবার বাবাই হয়তো ভালো। তবে তাদের বাবা তাদের কাছে সেরা।
No comments