ভারতও বুঝুক বাংলাওয়াশের জ্বালা! by রানা আব্বাস
২০০৪ সালে ভারতকে প্রথম হারানোর পর বাংলাদেশ দলের উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি |
কোথা থেকে শুরু করা যায়?
গ্যালারি থেকে অবিরত ভেসে ওঠা ‘মওকা মওকা’, নাকি সবুজ মাঠে ১১ নায়কের অতি উজ্জ্বল মুখ! বাংলাদেশের ক্রিকেটে অভূতপূর্ব আনন্দ-গর্বে মাখামাখি এমন স্বপ্নিল মুহূর্তের গল্প বলতে গেলে দ্বিধায় পড়তে হয়। প্রতিটি পল, প্রতিটি ক্ষণ এতটাই আনন্দময়, কোনটি রেখে কোনটি লেখা যায়!
মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে যখন কাঁপছে ভারত, তখন হঠাৎ বৃষ্টির হানা। ভারতের উইকেট বৃষ্টি থামাল আসল বৃষ্টি! ফতুল্লা টেস্টে এই বৃষ্টিকে ‘বাংলাদেশের দ্বাদশ’ খেলোয়াড় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। সেদিন বৃষ্টি বিরক্তিকর লাগলেও আজ নিশ্চয় তা ক্ষণিকের জন্য একপশলা স্বস্তি এনে দিয়েছিল ভারতকে!
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি যখন ভিজিয়ে দিচ্ছিল চরাচর, বাংলাদেশের সমর্থকদের মনে শঙ্কা, সিরিজ জেতার দারুণ সুযোগটা না আবার বৃষ্টির জলে ধুইয়ে যায়! হয়নি। প্রকৃতিও চায়নি দুর্দান্ত বাংলাদেশকে দমাতে। এমন হৃদয়গ্রাহী ক্রিকেট যারা খেলছে, তাদের যে দমাতে নেই!
প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশ এই প্রথম পরাজয়ের হতাশায় ডোবাল, তা নয়। মাত্র কদিন আগেই বাংলাদেশের কাছে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা নিয়ে ফিরেছে পাকিস্তান; হাড়ে হাড়ে বুঝেছে, এ বাংলাদেশ অনন্য, অসাধারণ! অবশ্য এ সিরিজের আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ‘বিপজ্জনক দল’, ‘ভালো দল’ ইত্যাদি বলেছিল ভারত। সেটা যতটা না মন থেকে, তার চেয়েও বেশি ক্রিকেটীয় কূটনীতি থেকে। ধোনি-কোহলিরা বুঝতে পারেননি, এতটা দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য!
পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই এসেছিল ভারত। চূড়ান্ত রক্ষা হলো কোথায়? সিরিজ হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই ফিরতে হবে বাড়ি। যদিও দুদলের মুখোমুখি আগের তিনটি সিরিজ প্রতিবারই পরাজয়ের হতাশায় পুড়েছে বাংলাদেশ। এবার ভারতের পালা!
প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জেতার এ ঐতিহাসিক মুহূর্তে হাবিবুল বাশারের মনে পড়ছে ১১ বছর আগের সেই জয়টা। ডিসেম্বরের কনকনে শীতের মধ্যে গোটা দেশের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছিল যে জয়। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভারতকে প্রথম হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া হাবিবুল এখন নির্বাচক হিসেবে দেখছেন উত্তরসূরিদের কীর্তি। স্মৃতির ডানায় চড়ে হাবিবুল ফিরে গেলেন ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৪-এ ‘সেদিন স্টেডিয়ামে বসারই জায়গা ছিল না। কত হাজার মানুষকে যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে! ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচটা জেতা আমাদের কাছে ছিল বিশেষ কিছু। সেবার অনেক দিন পর বাংলাদেশের মাটিতে আমরা জিতলাম। সম্ভবত অধিনায়ক হিসেবে দেশের মাটিতে পাওয়া আমার প্রথম জয়ও ছিল সেটা।’
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৯ রান করেছিল বাংলাদেশ। সে রানটা টপকাতে পারেনি বীরেন্দর শেবাগ, সৌরভ গাঙ্গুলিরা। ভারত গুটিয়ে গিয়েছিল ২১৫ রানে। হাবিবুল বললেন, ‘সেদিন খুব বেশি রান করতে পারিনি আমরা। বড় বড় তারকা ব্যাটসম্যান ছিল ভারতীয় দলে। ভীষণ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল সে ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত জিতেছিলাম আমরাই।’
সেই ভারতের বিপক্ষে আরেকটা সিরিজ জিতে স্বাভাবিকভাবেই রোমাঞ্চিত হাবিবুল। বললেন, ‘ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয়, সত্যিই অসাধারণ! অন্য কোথাও হলেও কথা। উপমহাদেশে, পরিচিত এ কন্ডিশনে এভাবে ভারতকে হারানো যাবে, সত্যি আমাদের জন্য বিরাট অর্জন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিরাট এক মাইলফলকও বটে।’
ওই ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেছিলেন আফতাব আহমেদ। আজ চট্টগ্রামে নিজের বাসায় বসে দেখেছেন দলের অনন্য এ সিরিজ জয়। ফোনের ওপার থেকেই ভেসে আসছিল আফতাবের উচ্ছ্বাস, ‘ওই (২০০৪-এ) ম্যাচটা আমরা জিতব, কল্পনাই করতে পারিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতেছিলাম। আজ ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জেতার পর ঠিক ১১ বছর আগের মতোই ভালো লাগা কাজ করছে মনে। নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন এটি। এখন আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো দলকেই হারাতে পারি।’
সিরিজ তো হারলই, ভারতের সামনে যে বাংলাওয়াশের চোখ রাঙানি! বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই ‘বাংলাওয়াশ’ শব্দটা প্রবল হয়ে উঠেছে গত ক বছরে। শব্দটা অনির্বচনীয় এক সুখানুভবের নামও বটে। এখনো ঘরের মাঠে যেকোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলতে নামলেই চারদিকে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হতে থাকে বাংলাওয়াশ! শব্দটির জন্ম ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে ৪-০ হারানোর মাধ্যমে। ‘যুগান্তকারী’ শব্দটার আবিষ্কারক ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান। দুর্দান্ত এ সিরিজ জয়ের পর ভারতকে বাংলাওয়াশ করা সম্ভব? আতহার খুব সংক্ষেপে উত্তরটা সারলেন, ‘অপেক্ষায় আছি।’
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করেছে মোট ১০বার। বাংলাদেশের কাছে প্রথম ধবলধোলাইয়ের শিকার হয়েছিল কেনিয়া, ২০০৬ সালে। দুবার করে ধবলধোলাই হয়েছে কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে ও নিউজিল্যান্ড। একবার করে স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। সংখ্যাটা ‘১১’ হবে কিনা, নির্ভর করছে ২৪ জুন সিরিজের শেষ ম্যাচটির ওপর।
যদি সত্যি ভারতকে বাংলাওয়াশ করতে পারেন মাশরাফিরা, নিঃসন্দেহে সেটি এগিয়ে থাকবে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানের চেয়েও। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই দুটি সাফল্যও সোনায় মোড়ানো। তবে কিউইদের জন্য বাংলাদেশের কন্ডিশন-উইকেট একেবারেই ভিন্ন। পাকিস্তান অবশ্য উপমহাদেশেরই দল। তবে সাম্প্রতিক সাফল্য ও তারকা বিবেচনায় ভারতীয় দলের চেয়ে সেটি পিছিয়েই। র্যাঙ্কিংও তা-ই বলছে। ভারতের দুই নম্বর দলকে ভারতের চেনা কন্ডিশনে হারানো—সত্যিই অনির্বচনীয়।
যেভাবে ঘরের মাঠে একে একে বড় বড় দলকে বাংলাদেশ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, এভারেস্ট ডিঙানোও মাশরাফিদের জন্য এখন কঠিন কিছু নয়! পাকিস্তান বুঝে গেছে, এবার ভারতও বুঝুক না বাংলাওয়াশের জ্বালা কতটা।
তবে শুরু হোক আরেকটি বাংলাওয়াশের কাউন্টডাউন—১০০, ৯৯, ৯৮...!
গ্যালারি থেকে অবিরত ভেসে ওঠা ‘মওকা মওকা’, নাকি সবুজ মাঠে ১১ নায়কের অতি উজ্জ্বল মুখ! বাংলাদেশের ক্রিকেটে অভূতপূর্ব আনন্দ-গর্বে মাখামাখি এমন স্বপ্নিল মুহূর্তের গল্প বলতে গেলে দ্বিধায় পড়তে হয়। প্রতিটি পল, প্রতিটি ক্ষণ এতটাই আনন্দময়, কোনটি রেখে কোনটি লেখা যায়!
মুস্তাফিজুর রহমানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে যখন কাঁপছে ভারত, তখন হঠাৎ বৃষ্টির হানা। ভারতের উইকেট বৃষ্টি থামাল আসল বৃষ্টি! ফতুল্লা টেস্টে এই বৃষ্টিকে ‘বাংলাদেশের দ্বাদশ’ খেলোয়াড় হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে। সেদিন বৃষ্টি বিরক্তিকর লাগলেও আজ নিশ্চয় তা ক্ষণিকের জন্য একপশলা স্বস্তি এনে দিয়েছিল ভারতকে!
ঝিরিঝিরি বৃষ্টি যখন ভিজিয়ে দিচ্ছিল চরাচর, বাংলাদেশের সমর্থকদের মনে শঙ্কা, সিরিজ জেতার দারুণ সুযোগটা না আবার বৃষ্টির জলে ধুইয়ে যায়! হয়নি। প্রকৃতিও চায়নি দুর্দান্ত বাংলাদেশকে দমাতে। এমন হৃদয়গ্রাহী ক্রিকেট যারা খেলছে, তাদের যে দমাতে নেই!
প্রতিপক্ষকে বাংলাদেশ এই প্রথম পরাজয়ের হতাশায় ডোবাল, তা নয়। মাত্র কদিন আগেই বাংলাদেশের কাছে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা নিয়ে ফিরেছে পাকিস্তান; হাড়ে হাড়ে বুঝেছে, এ বাংলাদেশ অনন্য, অসাধারণ! অবশ্য এ সিরিজের আগে ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ‘বিপজ্জনক দল’, ‘ভালো দল’ ইত্যাদি বলেছিল ভারত। সেটা যতটা না মন থেকে, তার চেয়েও বেশি ক্রিকেটীয় কূটনীতি থেকে। ধোনি-কোহলিরা বুঝতে পারেননি, এতটা দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য!
পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই এসেছিল ভারত। চূড়ান্ত রক্ষা হলো কোথায়? সিরিজ হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই ফিরতে হবে বাড়ি। যদিও দুদলের মুখোমুখি আগের তিনটি সিরিজ প্রতিবারই পরাজয়ের হতাশায় পুড়েছে বাংলাদেশ। এবার ভারতের পালা!
প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জেতার এ ঐতিহাসিক মুহূর্তে হাবিবুল বাশারের মনে পড়ছে ১১ বছর আগের সেই জয়টা। ডিসেম্বরের কনকনে শীতের মধ্যে গোটা দেশের উষ্ণতা ছড়িয়ে দিয়েছিল যে জয়। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ভারতকে প্রথম হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেওয়া হাবিবুল এখন নির্বাচক হিসেবে দেখছেন উত্তরসূরিদের কীর্তি। স্মৃতির ডানায় চড়ে হাবিবুল ফিরে গেলেন ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৪-এ ‘সেদিন স্টেডিয়ামে বসারই জায়গা ছিল না। কত হাজার মানুষকে যে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে! ভারতের বিপক্ষে ওই ম্যাচটা জেতা আমাদের কাছে ছিল বিশেষ কিছু। সেবার অনেক দিন পর বাংলাদেশের মাটিতে আমরা জিতলাম। সম্ভবত অধিনায়ক হিসেবে দেশের মাটিতে পাওয়া আমার প্রথম জয়ও ছিল সেটা।’
নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৯ রান করেছিল বাংলাদেশ। সে রানটা টপকাতে পারেনি বীরেন্দর শেবাগ, সৌরভ গাঙ্গুলিরা। ভারত গুটিয়ে গিয়েছিল ২১৫ রানে। হাবিবুল বললেন, ‘সেদিন খুব বেশি রান করতে পারিনি আমরা। বড় বড় তারকা ব্যাটসম্যান ছিল ভারতীয় দলে। ভীষণ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল সে ম্যাচে। শেষ পর্যন্ত জিতেছিলাম আমরাই।’
সেই ভারতের বিপক্ষে আরেকটা সিরিজ জিতে স্বাভাবিকভাবেই রোমাঞ্চিত হাবিবুল। বললেন, ‘ভারতের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয়, সত্যিই অসাধারণ! অন্য কোথাও হলেও কথা। উপমহাদেশে, পরিচিত এ কন্ডিশনে এভাবে ভারতকে হারানো যাবে, সত্যি আমাদের জন্য বিরাট অর্জন। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিরাট এক মাইলফলকও বটে।’
ওই ম্যাচে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেছিলেন আফতাব আহমেদ। আজ চট্টগ্রামে নিজের বাসায় বসে দেখেছেন দলের অনন্য এ সিরিজ জয়। ফোনের ওপার থেকেই ভেসে আসছিল আফতাবের উচ্ছ্বাস, ‘ওই (২০০৪-এ) ম্যাচটা আমরা জিতব, কল্পনাই করতে পারিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা জিতেছিলাম। আজ ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জেতার পর ঠিক ১১ বছর আগের মতোই ভালো লাগা কাজ করছে মনে। নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন এটি। এখন আমাদের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, বিশ্বের যেকোনো দলকেই হারাতে পারি।’
সিরিজ তো হারলই, ভারতের সামনে যে বাংলাওয়াশের চোখ রাঙানি! বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই ‘বাংলাওয়াশ’ শব্দটা প্রবল হয়ে উঠেছে গত ক বছরে। শব্দটা অনির্বচনীয় এক সুখানুভবের নামও বটে। এখনো ঘরের মাঠে যেকোনো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ খেলতে নামলেই চারদিকে ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হতে থাকে বাংলাওয়াশ! শব্দটির জন্ম ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে ৪-০ হারানোর মাধ্যমে। ‘যুগান্তকারী’ শব্দটার আবিষ্কারক ধারাভাষ্যকার আতহার আলী খান। দুর্দান্ত এ সিরিজ জয়ের পর ভারতকে বাংলাওয়াশ করা সম্ভব? আতহার খুব সংক্ষেপে উত্তরটা সারলেন, ‘অপেক্ষায় আছি।’
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এ পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করেছে মোট ১০বার। বাংলাদেশের কাছে প্রথম ধবলধোলাইয়ের শিকার হয়েছিল কেনিয়া, ২০০৬ সালে। দুবার করে ধবলধোলাই হয়েছে কেনিয়া, জিম্বাবুয়ে ও নিউজিল্যান্ড। একবার করে স্কটল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। সংখ্যাটা ‘১১’ হবে কিনা, নির্ভর করছে ২৪ জুন সিরিজের শেষ ম্যাচটির ওপর।
যদি সত্যি ভারতকে বাংলাওয়াশ করতে পারেন মাশরাফিরা, নিঃসন্দেহে সেটি এগিয়ে থাকবে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানের চেয়েও। যদিও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই দুটি সাফল্যও সোনায় মোড়ানো। তবে কিউইদের জন্য বাংলাদেশের কন্ডিশন-উইকেট একেবারেই ভিন্ন। পাকিস্তান অবশ্য উপমহাদেশেরই দল। তবে সাম্প্রতিক সাফল্য ও তারকা বিবেচনায় ভারতীয় দলের চেয়ে সেটি পিছিয়েই। র্যাঙ্কিংও তা-ই বলছে। ভারতের দুই নম্বর দলকে ভারতের চেনা কন্ডিশনে হারানো—সত্যিই অনির্বচনীয়।
যেভাবে ঘরের মাঠে একে একে বড় বড় দলকে বাংলাদেশ গুঁড়িয়ে দিচ্ছে, এভারেস্ট ডিঙানোও মাশরাফিদের জন্য এখন কঠিন কিছু নয়! পাকিস্তান বুঝে গেছে, এবার ভারতও বুঝুক না বাংলাওয়াশের জ্বালা কতটা।
তবে শুরু হোক আরেকটি বাংলাওয়াশের কাউন্টডাউন—১০০, ৯৯, ৯৮...!
No comments