সৌন্দর্য নষ্ট করে মাছ চাষ! সরিয়ে রাখা হয়েছে বিবির পুকুরের ফোয়ারা by সাইফুর রহমান
বরিশাল নগরের বিবির পুকুরের সৌন্দর্যবর্ধনে স্থাপিত ফোয়ারা সরিয়ে রাখা হয়েছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরের চাষ করা মাছ ধরার জন্যই তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ l ছবি: প্রথম আলো |
বরিশাল
নগরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বিবির পুকুরে মাছ চাষ করছেন সিটি করপোরেশনের
কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান ওরফে হিরু। করপোরেশনের অনুমতি ছাড়াই দেড় বছর ধরে
তিনি এ কাজ করছেন। মাছ ধরার জন্য পুকুরে স্থাপন করা তিনটি দৃষ্টিনন্দন
ফোয়ারা কয়েক দিন আগে খুলে একদিকে সরিয়ে রেখেছেন কাউন্সিলর। এতে বি ষয়টি সবার
নজরে আসে। ফোয়ারাগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসা স্থানীয় লোকজন এ নিয়ে
ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ থেকে জানা গেছে, সাবেক মেয়র শওকত হোসেন (বর্তমানে প্রয়াত) একটি মুঠোফোন কোম্পানির সৌজন্যে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ২০১২ সালে এসব ফোয়ারা স্থাপন করেন। রাতে ফোয়ারাগুলোর রঙিন আলোর খেলা উপভোগ করতে অনেকেই সেখানে আসেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিবির পুকুরে স্থাপন করা ফোয়ারাগুলো পুকুরের মাঝখানে নেই। পুকুরের পূর্ব দিকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আট দিন আগে এগুলো খুলে ফেলা হয়। করপোরেশনের একটি সূত্র জানায়, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান সেখানে মাছ চাষ করার জন্য মাঝে মাঝে ফোয়ারাগুলো বন্ধ করে দিতেন।
সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধান প্রকৌশলী খান মো. নূরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাছ চাষ করার জন্য কাউকে এই পুকুর ইজারা দেওয়া হয়নি। আক্তারুজ্জামান নিজ উদ্যোগে সেখানে মাছ চাষ করছেন। শুনেছি, ফোয়ারা সরিয়ে মাছ ধরছেন তিনি। ফোয়ারাগুলো আবার সঠিক স্থানে স্থাপন করার জন্য বৈদ্যুতিক এবং সৌন্দর্য রক্ষা শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
নূরুল ইসলাম সৌন্দর্য রক্ষা শাখাকে নির্দেশ দেওয়ার কথা বললেও এই নামে সিটি করপোরেশনের কোনো শাখা নেই। আছে পরিচ্ছন্নতা বিভাগ। এই বিভাগের কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা বলেন, তিনিও কাউন্সিলরের মাছ চাষ করার বিষয়টি শুনেছেন। তবে কেউ তাঁকে এখনো কোনো নির্দেশ দেননি।
মাছ চাষ ও ফোয়ারা বন্ধের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি অলিখিতভাবে মাছ চাষ করছি। মাছ চাষের জন্য ফোয়ারা বন্ধ করা হয়নি। মূলত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য ফোয়ারাগুলো পাশে রাখা হয়েছে। আবার যথাস্থানে স্থাপন করা হবে।’
তবে ময়লা পরিষ্কারের জন্য ফোয়ারা সরিয়েছেন—কাউন্সিলরের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে পরিচ্ছন্নতা বিভাগ। এই বিভাগের কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা বলেন, এটি তাঁদের কাজ। তাঁদের না জানিয়ে অন্য কেউ ব্যক্তিগতভাবে এ কাজ করতে পারেন না।
বরিশাল নগর সৌন্দর্য রক্ষা আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ রকম একটি পুকুরে মাছ চাষ করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মাছ চাষের নামে ফোয়ারা বন্ধ করার প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে ফোয়ারাগুলো চালু করা হোক।’
প্রতিদিন বিবির পুকুর এলাকায় হাঁটেন আল আমিন সিকদার। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে দেখছি ফোয়ারাগুলো বন্ধ। আমরা যারা এখানে আসি, তারা পুকুর এবং এর অন্যতম সৌন্দর্য রঙিন ফোয়ারা উপভোগ করি। দ্রুত এটি চালু করার দাবি জানাচ্ছি।’
একই দাবি করেন দর্শনার্থী শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ সরকার, ফারজানা আক্তার, ছুমাইয়া শারমিন ও তন্ময় কুমার নাথ।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল বিভাগ থেকে জানা গেছে, সাবেক মেয়র শওকত হোসেন (বর্তমানে প্রয়াত) একটি মুঠোফোন কোম্পানির সৌজন্যে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ২০১২ সালে এসব ফোয়ারা স্থাপন করেন। রাতে ফোয়ারাগুলোর রঙিন আলোর খেলা উপভোগ করতে অনেকেই সেখানে আসেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিবির পুকুরে স্থাপন করা ফোয়ারাগুলো পুকুরের মাঝখানে নেই। পুকুরের পূর্ব দিকে সরিয়ে রাখা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আট দিন আগে এগুলো খুলে ফেলা হয়। করপোরেশনের একটি সূত্র জানায়, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান সেখানে মাছ চাষ করার জন্য মাঝে মাঝে ফোয়ারাগুলো বন্ধ করে দিতেন।
সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রধান প্রকৌশলী খান মো. নূরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাছ চাষ করার জন্য কাউকে এই পুকুর ইজারা দেওয়া হয়নি। আক্তারুজ্জামান নিজ উদ্যোগে সেখানে মাছ চাষ করছেন। শুনেছি, ফোয়ারা সরিয়ে মাছ ধরছেন তিনি। ফোয়ারাগুলো আবার সঠিক স্থানে স্থাপন করার জন্য বৈদ্যুতিক এবং সৌন্দর্য রক্ষা শাখাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
নূরুল ইসলাম সৌন্দর্য রক্ষা শাখাকে নির্দেশ দেওয়ার কথা বললেও এই নামে সিটি করপোরেশনের কোনো শাখা নেই। আছে পরিচ্ছন্নতা বিভাগ। এই বিভাগের কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা বলেন, তিনিও কাউন্সিলরের মাছ চাষ করার বিষয়টি শুনেছেন। তবে কেউ তাঁকে এখনো কোনো নির্দেশ দেননি।
মাছ চাষ ও ফোয়ারা বন্ধের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি অলিখিতভাবে মাছ চাষ করছি। মাছ চাষের জন্য ফোয়ারা বন্ধ করা হয়নি। মূলত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য ফোয়ারাগুলো পাশে রাখা হয়েছে। আবার যথাস্থানে স্থাপন করা হবে।’
তবে ময়লা পরিষ্কারের জন্য ফোয়ারা সরিয়েছেন—কাউন্সিলরের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছে পরিচ্ছন্নতা বিভাগ। এই বিভাগের কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা বলেন, এটি তাঁদের কাজ। তাঁদের না জানিয়ে অন্য কেউ ব্যক্তিগতভাবে এ কাজ করতে পারেন না।
বরিশাল নগর সৌন্দর্য রক্ষা আন্দোলনের সদস্যসচিব কাজী এনায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ রকম একটি পুকুরে মাছ চাষ করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মাছ চাষের নামে ফোয়ারা বন্ধ করার প্রতিবাদ জানাই। অবিলম্বে ফোয়ারাগুলো চালু করা হোক।’
প্রতিদিন বিবির পুকুর এলাকায় হাঁটেন আল আমিন সিকদার। তিনি বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে দেখছি ফোয়ারাগুলো বন্ধ। আমরা যারা এখানে আসি, তারা পুকুর এবং এর অন্যতম সৌন্দর্য রঙিন ফোয়ারা উপভোগ করি। দ্রুত এটি চালু করার দাবি জানাচ্ছি।’
একই দাবি করেন দর্শনার্থী শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ সরকার, ফারজানা আক্তার, ছুমাইয়া শারমিন ও তন্ময় কুমার নাথ।
No comments