বিশ্বব্যাপী বাড়ছে সন্ত্রাসী হামলা -মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদন
বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলা বাড়ছে। আগের বছরের তুলনায় গত বছর বেড়েছে এক-তৃতীয়াংশ। এসব হামলায় প্রায় ৩৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮০ শতাংশ বেশি। সন্ত্রাসবাদের ওপর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা এত বেশি হারে বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং উত্তর নাইজেরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের অব্যাহত জঙ্গি তৎপরতা। তবে পাকিস্তান, ফিলিপাইন, নেপাল ও রাশিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা কমেছে।
গত বছরের জুনে আইএস জঙ্গিরা ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ‘খলিফা রাষ্ট্র’ ঘোষণা করে। জঙ্গিরা দেশ দুটির নতুন নতুন এলাকা দখলের জন্য লড়াই অব্যাহত রেখেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আইএস জঙ্গিরা গত বছর সবচেয়ে গুরুতর হামলা চালায় ইরাকের মসুল শহরে। সেখানে শিয়া কারাবন্দীদের ওপর চালানো ওই হামলায় নিহত হয় অন্তত ৬৭০ জন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের বিশাল এলাকা দখলের এই ঘটনা ‘নজিরবিহীন’, জঙ্গিগোষ্ঠীটিতে বিদেশি সন্ত্রাসীদের যোগ দেওয়ার প্রবাহ এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে ‘নিঃসঙ্গ’ উগ্রপন্থীদের হামলা ছিল গত বছর বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের মূল প্রবণতা। ধর্মীয় সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান ও ইয়াজিদিদের হত্যার পাশাপাশি পশ্চিমা সাংবাদিকদেরও হত্যা করেছে আইএস। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা গত বছর ব্যাপকভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়লেও ইয়েমেন, সিরিয়া, লিবিয়া, নাইজেরিয়া ও ইরাকের মতো ব্যর্থ সরকারগুলোর কারণে কট্টর মৌলবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের বছরগুলোর তুলনায় গত বছর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো শিরশ্ছেদ ও ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যার মতো আরও আক্রমণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেছে।
এ ছাড়া নাইজেরিয়া, উত্তর ক্যামেরুন ও দক্ষিণ নাইজারে সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম পাথর ছুড়ে হত্যা, নির্বিচার হত্যার জন্য হামলা ও শিশুদের অপহরণের মাধ্যমে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে সন্ত্রাসীদের নির্দিষ্ট এলাকা থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২১৭৮ প্রস্তাবের প্রশংসা করা হয়েছে। এতে এও বলা হয়, তা সত্ত্বেও বিশ্বের প্রায় ৯০টি দেশ থেকে অন্তত ১৬ হাজার বিদেশি যোদ্ধা গত বছর সিরিয়া গেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধবিষয়ক সমন্বয়ক ও অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ টিনা কাইদানাউ বলেছেন, শুধু মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ওই প্রতিবেদন সংকলন করেছে। এতে বৈশ্বিক সন্ত্রাসের যথাযথ চিত্র ফুটে ওঠেনি।
টিনা কাইদানাউ আরও বলেন, ‘আমরা এমন কোনো নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না যে পরিস্থিতি এখন থেকে আগামী এক বছর বা এক দশক কেমন হবে। কিন্তু আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আইনের শাসন অব্যাহত রেখে এবং শক্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও এর নাগরিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা এত বেশি হারে বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ ইরাক ও সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং উত্তর নাইজেরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারামের অব্যাহত জঙ্গি তৎপরতা। তবে পাকিস্তান, ফিলিপাইন, নেপাল ও রাশিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা কমেছে।
গত বছরের জুনে আইএস জঙ্গিরা ইরাক ও সিরিয়ার বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ‘খলিফা রাষ্ট্র’ ঘোষণা করে। জঙ্গিরা দেশ দুটির নতুন নতুন এলাকা দখলের জন্য লড়াই অব্যাহত রেখেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আইএস জঙ্গিরা গত বছর সবচেয়ে গুরুতর হামলা চালায় ইরাকের মসুল শহরে। সেখানে শিয়া কারাবন্দীদের ওপর চালানো ওই হামলায় নিহত হয় অন্তত ৬৭০ জন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের বিশাল এলাকা দখলের এই ঘটনা ‘নজিরবিহীন’, জঙ্গিগোষ্ঠীটিতে বিদেশি সন্ত্রাসীদের যোগ দেওয়ার প্রবাহ এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে ‘নিঃসঙ্গ’ উগ্রপন্থীদের হামলা ছিল গত বছর বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসের মূল প্রবণতা। ধর্মীয় সংখ্যালঘু খ্রিষ্টান ও ইয়াজিদিদের হত্যার পাশাপাশি পশ্চিমা সাংবাদিকদেরও হত্যা করেছে আইএস। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়েদা গত বছর ব্যাপকভাবে ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়লেও ইয়েমেন, সিরিয়া, লিবিয়া, নাইজেরিয়া ও ইরাকের মতো ব্যর্থ সরকারগুলোর কারণে কট্টর মৌলবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের বছরগুলোর তুলনায় গত বছর সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো শিরশ্ছেদ ও ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যার মতো আরও আক্রমণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেছে।
এ ছাড়া নাইজেরিয়া, উত্তর ক্যামেরুন ও দক্ষিণ নাইজারে সক্রিয় জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম পাথর ছুড়ে হত্যা, নির্বিচার হত্যার জন্য হামলা ও শিশুদের অপহরণের মাধ্যমে বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে সন্ত্রাসীদের নির্দিষ্ট এলাকা থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২১৭৮ প্রস্তাবের প্রশংসা করা হয়েছে। এতে এও বলা হয়, তা সত্ত্বেও বিশ্বের প্রায় ৯০টি দেশ থেকে অন্তত ১৬ হাজার বিদেশি যোদ্ধা গত বছর সিরিয়া গেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধবিষয়ক সমন্বয়ক ও অ্যাম্বাসেডর অ্যাট-লার্জ টিনা কাইদানাউ বলেছেন, শুধু মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় ওই প্রতিবেদন সংকলন করেছে। এতে বৈশ্বিক সন্ত্রাসের যথাযথ চিত্র ফুটে ওঠেনি।
টিনা কাইদানাউ আরও বলেন, ‘আমরা এমন কোনো নির্ভুল ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না যে পরিস্থিতি এখন থেকে আগামী এক বছর বা এক দশক কেমন হবে। কিন্তু আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আইনের শাসন অব্যাহত রেখে এবং শক্ত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও এর নাগরিকদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।’
No comments