কর্ণফুলীতে তেল ছড়ানো ঠেকাতে বসেছে ‘বুম’ by প্রণব বল
দ্রুত
ব্যবস্থা না নেওয়ায় তেলবাহী ট্রেনের ওয়াগন থেকে ফার্নেস তেল খাল ও নদীতে
ছড়িয়ে পড়েছে। গত তিন দিনে তিনটি ওয়াগন থেকে প্রায় ৭০ হাজার লিটার তেল
ছড়িয়ে পড়েছে। এই তেল খালের মাধ্যমে কর্ণফুলী নদীতে মিশছে।
খাল থেকে নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে খাল ও নদীর সংযোগস্থলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গতকাল রোববার বিকেল ‘বুম’ (তেল না ছড়ানোর পদ্ধতি) বসিয়েছে। এর কারণে খালে থাকা তেল জোয়ার-ভাটার সময় নদীর পানিতে মিশতে পারবে না।
খালের পানির নমুনা পরীক্ষায় দূষণের প্রমাণ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রইসুল আলম মণ্ডল। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের জানান, পানিতে তেল ছড়িয়ে পড়ার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি রয়েছে। ক্ষতির মাত্রা দ্রুত যাতে কমানো যায়, সে জন্য খাল ও নদী থেকে তেল অপসারণের চেষ্টা চলছে।
তেল অপসারণে কেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘পানি থেকে তেল অপসারণ দুরূহ কাজ। সেই প্রযুক্তি এখনো আমাদের এখানে সেভাবে নেই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি তেল অপসারণ করতে।’
গত শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার সীমান্তে শাইরাপুল এলাকায় হারগেজি খালের (বোয়ালখালী খাল) সেতু পার হওয়ার সময় সেটি ভেঙে খালে পড়ে যায় তেলবাহী ট্রেন। দুর্ঘটনায় দুটি ওয়াগন খালে পড়ে যায়। আরেকটি ওয়াগন অর্ধেক ডুবে যায়। প্রতিটি ওয়াগনে ২৫ হাজার লিটার তেল ছিল। এ ছাড়া ট্রেনের ইঞ্জিন খালের পাশে কাত হয়ে পড়ে যায়। লাইনচ্যুত হয় আরও একটি ওয়াগন। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা তেল ডিপো থেকে ফার্নেস অয়েল নিয়ে ট্রেনটি চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী যাচ্ছিল। দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য আটটি ওয়াগনে করে তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
রেল মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন গতকাল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁদের উপস্থিতিতে খাল থেকে তেল অপসারণের জন্য ফোম আনা হয়। এ ছাড়া খালের দুই পাশের তেলযুক্ত ঘাস কেটে ফেলার জন্য শ্রমিক নিয়োগ করা হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন জানান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে খাল থেকে সংগ্রহ করা প্রতি লিটার তেল ৬০ টাকা দরে কিনবে। দুপুরে তিনি দুর্ঘটাস্থল এলাকায় যান এবং তেল অপসারণে স্থানীয় লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন। তবে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হক দাবি করেন, বেশির ভাগ তেল ঘাস ও গাছপালায় লেগে আছে। অল্প তেল পানিতে মিশেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. জাফর আলমও গতকাল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে সংযুক্ত হারগেজি খালে জোয়ার-ভাটার প্রভাব রয়েছে। যে কারণে বেশির ভাগ তেল নদীতে মিশে গেছে।
দূষিত পানি: দুর্ঘটনার পর শনিবার হারগেজি খাল ও কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে যুক্ত খালের মুখ থেকে তেলমিশ্রিত পানির নমুনা সংগ্রহ করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা। নাম না প্রকাশের শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, খালের মুখসহ পাঁচটি স্থানের নমুনা পরীক্ষায় সর্বনিম্ন দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) পাওয়া গেছে প্রতি লিটারে ১ দশমিক ৩ মিলিগ্রাম (আদর্শ মান ৫ মিলিগ্রাম)। পাঁচটি নমুনার চারটিতেই অক্সিজেন স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম পাওয়া গেছে।
উদ্ধারকাজ: রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এখন রেললাইন মেরামতের কাজ চলছে। এরপর তিনটি ওয়াগন তোলা হবে। এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন জানান, লাইন সচল করতে আরও সাত দিন লাগতে পারে।
খাল থেকে নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে খাল ও নদীর সংযোগস্থলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ গতকাল রোববার বিকেল ‘বুম’ (তেল না ছড়ানোর পদ্ধতি) বসিয়েছে। এর কারণে খালে থাকা তেল জোয়ার-ভাটার সময় নদীর পানিতে মিশতে পারবে না।
খালের পানির নমুনা পরীক্ষায় দূষণের প্রমাণ পেয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রইসুল আলম মণ্ডল। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের জানান, পানিতে তেল ছড়িয়ে পড়ার দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি রয়েছে। ক্ষতির মাত্রা দ্রুত যাতে কমানো যায়, সে জন্য খাল ও নদী থেকে তেল অপসারণের চেষ্টা চলছে।
তেল অপসারণে কেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি জানতে চাইলে রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন গতকাল রোববার প্রথম আলোকে বলেন, ‘পানি থেকে তেল অপসারণ দুরূহ কাজ। সেই প্রযুক্তি এখনো আমাদের এখানে সেভাবে নেই। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি তেল অপসারণ করতে।’
গত শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার সীমান্তে শাইরাপুল এলাকায় হারগেজি খালের (বোয়ালখালী খাল) সেতু পার হওয়ার সময় সেটি ভেঙে খালে পড়ে যায় তেলবাহী ট্রেন। দুর্ঘটনায় দুটি ওয়াগন খালে পড়ে যায়। আরেকটি ওয়াগন অর্ধেক ডুবে যায়। প্রতিটি ওয়াগনে ২৫ হাজার লিটার তেল ছিল। এ ছাড়া ট্রেনের ইঞ্জিন খালের পাশে কাত হয়ে পড়ে যায়। লাইনচ্যুত হয় আরও একটি ওয়াগন। চট্টগ্রামের পতেঙ্গা তেল ডিপো থেকে ফার্নেস অয়েল নিয়ে ট্রেনটি চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী যাচ্ছিল। দোহাজারী পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য আটটি ওয়াগনে করে তেল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
রেল মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ফিরোজ সালাহউদ্দিন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আমজাদ হোসেন গতকাল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁদের উপস্থিতিতে খাল থেকে তেল অপসারণের জন্য ফোম আনা হয়। এ ছাড়া খালের দুই পাশের তেলযুক্ত ঘাস কেটে ফেলার জন্য শ্রমিক নিয়োগ করা হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন জানান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে খাল থেকে সংগ্রহ করা প্রতি লিটার তেল ৬০ টাকা দরে কিনবে। দুপুরে তিনি দুর্ঘটাস্থল এলাকায় যান এবং তেল অপসারণে স্থানীয় লোকজনকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন। তবে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মোজাম্মেল হক দাবি করেন, বেশির ভাগ তেল ঘাস ও গাছপালায় লেগে আছে। অল্প তেল পানিতে মিশেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. জাফর আলমও গতকাল দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে সংযুক্ত হারগেজি খালে জোয়ার-ভাটার প্রভাব রয়েছে। যে কারণে বেশির ভাগ তেল নদীতে মিশে গেছে।
দূষিত পানি: দুর্ঘটনার পর শনিবার হারগেজি খাল ও কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে যুক্ত খালের মুখ থেকে তেলমিশ্রিত পানির নমুনা সংগ্রহ করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা। নাম না প্রকাশের শর্তে এক কর্মকর্তা জানান, খালের মুখসহ পাঁচটি স্থানের নমুনা পরীক্ষায় সর্বনিম্ন দ্রবীভূত অক্সিজেন (ডিও) পাওয়া গেছে প্রতি লিটারে ১ দশমিক ৩ মিলিগ্রাম (আদর্শ মান ৫ মিলিগ্রাম)। পাঁচটি নমুনার চারটিতেই অক্সিজেন স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে কম পাওয়া গেছে।
উদ্ধারকাজ: রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এখন রেললাইন মেরামতের কাজ চলছে। এরপর তিনটি ওয়াগন তোলা হবে। এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক আমজাদ হোসেন জানান, লাইন সচল করতে আরও সাত দিন লাগতে পারে।
No comments