সাঈদীর পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপির অপেক্ষায় প্রসিকিউশন! by জান্নাতুল ফেরদৌস পান্না
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ায় রিভিও পিটিশন দাখিল করবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। কিন্তু অপেক্ষা, রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপির জন্য। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পেলেই রিভিও করবে প্রসিকিউশন। আর এই রিভিউ পিটিশনের একটাই উদ্দেশ্য জামায়াতের এই নেতার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড! আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই প্রসিকিউশন জানিয়েছেন, যত দ্রুত রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি তারা হাতে পাবেন তত দ্রুতই তারা রিভিউ পিটিশনের জন্য প্রস্তুতি নেবেন।
প্রসিকিউটর মুখলেছুর রহমান বাদল মানবকণ্ঠকে বলেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে দেয়া আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পেলেই আমরা রিভিউ পিটিশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। রায়ের কপি পেলে সেটি বিবেচনা, পর্যালোচনা করে ঠিক করা হবে তাতে রিভিউয়ের মতো উপাদান আছে কি-না বা কোন কোন অভিযোগে রিভিউ করার সুযোগ আছে।
প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল মানবকণ্ঠকে বলেন, রায়ের কপি দেখে বোঝা যাবে কোন কোন অভিযোগে রিভিউ পিটিশন দিতে হবে। আর রিভিউ পিটিশন করতে হলে সাঈদীর সর্বোচ্চ সাজা প্রার্থনা করেই রিভিউ করা হবে। তিনি বলেন, আমরা যেহেতু পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাইনি সেহেতু এখনই কিছু বলতে পারছি না। আমরা আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি বলেন, আমরা সাঈদীর মামলায় পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপির অপেক্ষায় আছি। রায়ের কপি দেখে রিভিউ পিটিশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার পুনর্বিবেচনার আবেদনের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশিত হলে স্পষ্ট হয় আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। যদিও সেখানে সাধারণ মামলার মতো ৩০ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলার নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াতের এই শীর্ষ নেতার আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ওই রায় দেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদীর বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো অপরাধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগের মধ্যে ৮টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনীত ২০টি অভিযোগের মধ্যে ৮টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ২টি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। যে দুটি অভিযোগে অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তা হলোÑ ৮ ও ১০। রায়ে বলা হয়, অন্য ৬টি অভিযোগও সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে যেহেতু ২টি অভিযোগে তাকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হয়েছে তাই প্রমাণিত হওয়া ৬, ৭, ১১, ১৪, ১৬ ও ১৯নং অভিযোগে কোনো সাজার কথা ঘোষণা করেননি ট্রাইব্যুনাল। তবে প্রসিকিউশনের আনীত ২০টি অভিযোগের মধ্যে ১২টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
সাঈদীকে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেফতার করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১০ সালের ২ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
প্রসিকিউটর মুখলেছুর রহমান বাদল মানবকণ্ঠকে বলেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে দেয়া আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি হাতে পেলেই আমরা রিভিউ পিটিশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। রায়ের কপি পেলে সেটি বিবেচনা, পর্যালোচনা করে ঠিক করা হবে তাতে রিভিউয়ের মতো উপাদান আছে কি-না বা কোন কোন অভিযোগে রিভিউ করার সুযোগ আছে।
প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল মানবকণ্ঠকে বলেন, রায়ের কপি দেখে বোঝা যাবে কোন কোন অভিযোগে রিভিউ পিটিশন দিতে হবে। আর রিভিউ পিটিশন করতে হলে সাঈদীর সর্বোচ্চ সাজা প্রার্থনা করেই রিভিউ করা হবে। তিনি বলেন, আমরা যেহেতু পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাইনি সেহেতু এখনই কিছু বলতে পারছি না। আমরা আদালতের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন খান মুন্নি বলেন, আমরা সাঈদীর মামলায় পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপির অপেক্ষায় আছি। রায়ের কপি দেখে রিভিউ পিটিশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এর আগে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার পুনর্বিবেচনার আবেদনের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশিত হলে স্পষ্ট হয় আপিলের রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। যদিও সেখানে সাধারণ মামলার মতো ৩০ দিনের পরিবর্তে ১৫ দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলার নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াতের এই শীর্ষ নেতার আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ ওই রায় দেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাঈদীর বিচার শুরু হয় ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর। হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার মতো অপরাধে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। সাঈদীর বিরুদ্ধে ২০টি অভিযোগের মধ্যে ৮টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ে বলা হয়, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের আনীত ২০টি অভিযোগের মধ্যে ৮টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে ২টি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। যে দুটি অভিযোগে অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তা হলোÑ ৮ ও ১০। রায়ে বলা হয়, অন্য ৬টি অভিযোগও সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে যেহেতু ২টি অভিযোগে তাকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হয়েছে তাই প্রমাণিত হওয়া ৬, ৭, ১১, ১৪, ১৬ ও ১৯নং অভিযোগে কোনো সাজার কথা ঘোষণা করেননি ট্রাইব্যুনাল। তবে প্রসিকিউশনের আনীত ২০টি অভিযোগের মধ্যে ১২টি অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
সাঈদীকে একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন গ্রেফতার করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১০ সালের ২ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
No comments