পাকিস্তানে প্রচণ্ড দাবদাহে ২০০ জনের প্রাণহানি
ইসলামাবাদে প্রচণ্ড গরমে শরীরতে জুড়িয়ে নিতে গোসল করছে এক শিশু। দেশটিতে প্রচণ্ড গরমে এরই মধ্যে ২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ছবিটি ইসলামাবাদ থেকে তোলা। ছবি: এএফপি |
মর্গের সামনে নিহত লোকজনের স্বজনদের কান্না |
পাকিস্তানের
সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী করাচিতে প্রচণ্ড দাবদাহে আজ ৬৩ জনের বেশি মানুষ
প্রাণ হারিয়েছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে দেশটিতে ২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ
হারিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ
সেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ডন ডটকমের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
আব্বাসি শহীদ হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ইমরান সামদানির ভাষ্যমতে, আজ সকালে সাতজন মারা গেছে। তারা গরম ও গ্যাস্ট্রো-সংশ্লিষ্ট সমস্যাজনিত কারণে মারা গেছে। এর আগে গত দুই দিনে মারা গিয়েছিল ৩০জন। তাদের মধ্যে ১২ জন নারী ও দুটি শিশু ছিল। জিন্নাহ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগের প্রধান সিমিন জামালি ডনকে বলেন, গতকাল রাত থেকে ৫০ জন মারা গেছে। গত শনিবার রাত থেকে এই হাসপাতালে ৮৫ জন মারা গেছে। মারা যাওয়া লোকজনের বেশির ভাগই বয়স্ক।
করাচির সিভিল হাসপাতালের অধ্যাপক এন সাঈদ কুরেশি জানান, আজ সকালে মারা যাওয়া ছয়জনসহ এখানে ৩৫ জন মারা গেছে। গত শনিবার চলতি গ্রীষ্মে করাচির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সিন্ধু প্রদেশের জাকুবাবাদ, লারকানা ও সুক্কুর জেলায় ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা গতকাল ছিল ৪১ ডিগ্রি। এর আগে এ মাসের শুরুর দিকে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এত মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ায় নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জারি করা বিবৃতিতে নওয়াজ শরিফ জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে দুর্গত লোকজনের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাগুলোকে গরমে কী করণীয়, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে প্রচার চালানোর নির্দেশ দেন।
পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর জানায়, আজ সোমবার পর্যন্ত এ বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে গরম কিছুটা কমে আসবে।
গত মাসে প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রচণ্ড গরমে প্রায় ১৭০০ মানুষ মারা গেছে।
আব্বাসি শহীদ হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ইমরান সামদানির ভাষ্যমতে, আজ সকালে সাতজন মারা গেছে। তারা গরম ও গ্যাস্ট্রো-সংশ্লিষ্ট সমস্যাজনিত কারণে মারা গেছে। এর আগে গত দুই দিনে মারা গিয়েছিল ৩০জন। তাদের মধ্যে ১২ জন নারী ও দুটি শিশু ছিল। জিন্নাহ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল সেন্টারের জরুরি বিভাগের প্রধান সিমিন জামালি ডনকে বলেন, গতকাল রাত থেকে ৫০ জন মারা গেছে। গত শনিবার রাত থেকে এই হাসপাতালে ৮৫ জন মারা গেছে। মারা যাওয়া লোকজনের বেশির ভাগই বয়স্ক।
করাচির সিভিল হাসপাতালের অধ্যাপক এন সাঈদ কুরেশি জানান, আজ সকালে মারা যাওয়া ছয়জনসহ এখানে ৩৫ জন মারা গেছে। গত শনিবার চলতি গ্রীষ্মে করাচির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সিন্ধু প্রদেশের জাকুবাবাদ, লারকানা ও সুক্কুর জেলায় ছিল ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা গতকাল ছিল ৪১ ডিগ্রি। এর আগে এ মাসের শুরুর দিকে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে ১৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এত মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ায় নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে জারি করা বিবৃতিতে নওয়াজ শরিফ জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে দুর্গত লোকজনের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি প্রাদেশিক ও কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থাগুলোকে গরমে কী করণীয়, তা নিয়ে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে প্রচার চালানোর নির্দেশ দেন।
পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর জানায়, আজ সোমবার পর্যন্ত এ বৈরী আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে গরম কিছুটা কমে আসবে।
গত মাসে প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রচণ্ড গরমে প্রায় ১৭০০ মানুষ মারা গেছে।
No comments