সুজনের গোলটেবিল: দেশে আইনের পরিবর্তে শাসকের শাসন চলছে
দেশে
আইনের শাসনের পরিবর্তে শাসকের শাসন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর উদ্যোগে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তারা
বলেছেন, দেশে বড় বড় দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না।
বিচারবহির্ভূত গুম, হত্যাকা- চালানো হচ্ছে। অপরাধী যত নিকৃষ্টই হোক, তার
বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘আইনের
শাসন: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে
অংশ নিয়ে সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন,
দেশের মানুষ জীবনবাজি রেখে দেশ স্বাধীন করেছে। আমরা সংবিধানে সেটা স্বীকার
করেছি। ৪৭ বছর পরেও আমাদের সংবিধান বহাল আছে। এদেশের মালিক জনগণÑএটা কেউ
অস্বীকার করতে পারবে না। ষোড়শ সংবিধান ৭ জন বিচারপতি বাতিল করেছেন। আমরা
সবাই বলেছি যে, এটা অসাংবিধানিক। তাই আমার মনে হয় না যে, রিভিউর মাধ্যমে
এটা বাতিল করা যাবে। এই সংশোধনী বাতিল করার ক্ষেত্রে বিচারকদের ভূমিকা
অস্বীকার করা যাবে না। স্বাধীন দেশের বিচারককে প্রকাশ্যে তুই তুকারি করা
দেশের প্রতিটি মানুষকে অপমান করার শামিল। মধুমতি টাউনের আদালতের রায়
প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেসব ক্ষেত্রে আইনের ব্যত্যয় ঘটছে সেখানে আমরা সবাই
মিলে মিছিল করে তার প্রতিবাদ জানাতে পারি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য
দেশের মালিক হিসেবে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তুলি, তাদেরকে অধিকার সচেতন ও
সোচ্চার করে তুলি। তিনি বলেন, আইনের শাসনের জন্য জনগণের ভোটের মাধ্যমেই
সরকার নির্বাচিত করতে হবে। এজন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
নেবেন বলে আশা করি।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জনগণের সামনে আমরা কি বিষয়গুলো উত্থাপন করছি সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যম দ্বারা অনুমোদিত কিনা তাও গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধান অনুধাবন করার মতো উপযুক্ত নাগরিক আমরা তৈরি করতে পারছি কিনা তাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বিচারক নিয়োগে আইন করার জন্য আমরা স্বাধীনতার প্রারম্ভে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। কিন্তু ৪৭ বছর পরও আমরা তা করতে পারিনি। ষোড়শ সংশোধনী মামলায়ও আমি এই বিষয়ে জোর দিয়েছিলাম। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রশাসন ও বিচার বিভাগ-সহ অনেক ক্ষেত্রেই নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট মানদ- নেই। চাকরিতে কোটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয়। তাই কোটার মাধ্যমে তাদের সন্তানদের চাকরিতে নিয়োগ দেয়া তাদের প্রতি অসম্মান করার সমান।
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ‘সুজন’-এর নির্বাহী সদস্য বিচারপতি আব্দুল মতিন বলেন, আইনের শাসন বা ‘রুল অব ল’ প্রতিষ্ঠা আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় জাতির জন্য অন্যতম অঙ্গীকার। যেমন, অঙ্গীকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার। জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে আমাদের সংবিধানই হচ্ছে সর্বোচ্চ আইন। তারই প্রস্তাবনায় আমাদের অঙ্গীকার এই যে, আমাদের রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হবে, সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। বিচারপতি আব্দুল মতিন আরো বলেন, আজ জাতির জিজ্ঞাসা, আমরা কি আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পালন করতে সক্ষম হয়েছি? নির্বাচনকেন্দ্রিক গণতন্ত্র বা অনুমতির গণতন্ত্র, অসীম ক্ষমতাধর নির্বাহী বিভাগ, ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে অকার্যকর আইনসভা এবং আপিল বিভাগের একটি রায়কে কেন্দ্র করে নির্বাহী বিভাগের তা-বে প্রকম্পিত বিচার বিভাগ কি প্রমাণ করে না যে, আমরা সে অঙ্গীকার পালনে ব্যর্থ হয়েছি? তিনি আরো বলেন, ১১১ অনুচ্ছেদের ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও কুদরত-এ-এলাহী পনির মামলার রায় আজও অবহেলিত। মাজদার হোসেন মামলার নির্দেশনাগুলো এখনও অপ্রতিপালিত। ইদ্রিসুর রহমানের রায়ের নির্দেশনাবলি উপেক্ষা এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের উপেক্ষা ও অবহেলা এবং সামরিক সরকারের সৃষ্ট ১১৬এ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ১৯৭২ এর সংবিধানের ১১৫ ও ১১৬ অনুচ্ছেদকে পুনঃস্থাপিত না করা কি প্রমাণ করে না যে, আমরা আইনের শাসন নয়, বরং শাসকের আইনের মধ্যেই বসবাস করছি?’
বৈঠকের সভাপতি বিচারপতি কাজী এবাদুল হক বলেন, আইনের শাসন মানে জনগণের সম্মতির শাসন। আইন হতে হলে তাতে জনগণের সম্মতি থাকা লাগবে এবং আইন হতে হলে তা বিচারকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হ্যারল্ড লাস্কি বলেছিলেন, আইনসভার কাজ হলোÑ আইন প্রণয়ন করা, বিচার বিভাগের কাজ হলো সঠিকভাবে বিচার করা, আর নির্বাহী বিভাগের কাজ দেশ শাসন করা। এভাবে ক্ষমতার বিভাজন করা হয়েছে, যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার না হয় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আইন প্রণীত হতে হবে জনগণের ভোটে প্রকৃত প্রতিনিধি দ্বারা। এটা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন সঠিক হতে হবে। যে কারণে আমরা সামরিক শাসনের আইনকে আইন হিসেবে সাধারণত মেনে নিই না। আর আইন কারো ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে, কারো ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে না তা আমরা মেনে নিতে পারি না। সাংবাদিক ও কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আইনের শাসনের মাহাত্ম্য হলো সাধারণ মানুষ থাকবে স্বস্তিতে। এমনকি রাষ্ট্রের সবচেয়ে দুর্বলতম ব্যক্তিটিও নিরাপদ থাকবে। একটি রাষ্ট্রে কম গণতন্ত্র মানা যায়, কিন্তু আইনের শাসনের ব্যত্যয় আমরা মেনে নিতে পারি না। আইনের শাসনের ব্যত্যয় ঘটছে কি-না তা তারাই বলতে পারবেন যারা গুম-খুনের শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, চাকরিতে কোটা সংবিধান সম্মত। কিন্তু সবার জন্য এ কোটা প্রযোজ্য হবে না, কোটা হলো অনগ্রসর শ্রেণির জন্য। বর্তমানে যারা কোটার সুযোগ নিচ্ছেন তাদের সবাই কোটার যোগ্য নয়। যে কোনো অর্ডার আইনসম্মত হতে হয়। কিন্তু আমরা বর্তমানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আইন নয়, বরং অর্ডারের অধীনে রয়েছি। বেলার নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ প্রধান ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বিচার বিভাগের সঙ্গে অন্য বিভাগগুলোকে সমান্তরালে এগিয়ে যেতে হবে। আমি মনে করি, মানুষের ভোটের অধিকার না থাকলে আইনের শাসন নিশ্চিত করা যায় না। তিনি বলেন, একজন প্রধান বিচারপতি হঠাৎ করে দুর্নীতিবাজ হয়ে গেলেন। কিন্তু তার বিচার কেন হলো না? তিনি যে দুর্নীতি করেছেন তার সঙ্গে কারা যুক্ত ছিলেন তাও আমরা জানতে চাই। আদালতের ব্যাপারে আমরা আস্থা হারাতে চাই না। কিন্তু জনগণের সম্মতির শাসন চাই, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আইনের শাসন ছাড়া যে শাসন তা সভ্য শাসন নয়। বিচারপতিদের নিয়োগে আইন পাস করার দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন স্থপতি মোবাশ্বার হাসান, সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা, সাবেক এমপি এএসএম আকরাম, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম বলেন, আইনের শাসন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে জনগণের সামনে আমরা কি বিষয়গুলো উত্থাপন করছি সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো রাজনৈতিক দল ও গণমাধ্যম দ্বারা অনুমোদিত কিনা তাও গুরুত্বপূর্ণ। সংবিধান অনুধাবন করার মতো উপযুক্ত নাগরিক আমরা তৈরি করতে পারছি কিনা তাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বিচারক নিয়োগে আইন করার জন্য আমরা স্বাধীনতার প্রারম্ভে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। কিন্তু ৪৭ বছর পরও আমরা তা করতে পারিনি। ষোড়শ সংশোধনী মামলায়ও আমি এই বিষয়ে জোর দিয়েছিলাম। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রশাসন ও বিচার বিভাগ-সহ অনেক ক্ষেত্রেই নিয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট মানদ- নেই। চাকরিতে কোটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয়। তাই কোটার মাধ্যমে তাদের সন্তানদের চাকরিতে নিয়োগ দেয়া তাদের প্রতি অসম্মান করার সমান।
বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ‘সুজন’-এর নির্বাহী সদস্য বিচারপতি আব্দুল মতিন বলেন, আইনের শাসন বা ‘রুল অব ল’ প্রতিষ্ঠা আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনায় জাতির জন্য অন্যতম অঙ্গীকার। যেমন, অঙ্গীকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার। জনগণের অভিপ্রায়ের পরম অভিব্যক্তিরূপে আমাদের সংবিধানই হচ্ছে সর্বোচ্চ আইন। তারই প্রস্তাবনায় আমাদের অঙ্গীকার এই যে, আমাদের রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য হবে, সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। বিচারপতি আব্দুল মতিন আরো বলেন, আজ জাতির জিজ্ঞাসা, আমরা কি আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পালন করতে সক্ষম হয়েছি? নির্বাচনকেন্দ্রিক গণতন্ত্র বা অনুমতির গণতন্ত্র, অসীম ক্ষমতাধর নির্বাহী বিভাগ, ৭০ অনুচ্ছেদের কারণে অকার্যকর আইনসভা এবং আপিল বিভাগের একটি রায়কে কেন্দ্র করে নির্বাহী বিভাগের তা-বে প্রকম্পিত বিচার বিভাগ কি প্রমাণ করে না যে, আমরা সে অঙ্গীকার পালনে ব্যর্থ হয়েছি? তিনি আরো বলেন, ১১১ অনুচ্ছেদের ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও কুদরত-এ-এলাহী পনির মামলার রায় আজও অবহেলিত। মাজদার হোসেন মামলার নির্দেশনাগুলো এখনও অপ্রতিপালিত। ইদ্রিসুর রহমানের রায়ের নির্দেশনাবলি উপেক্ষা এবং সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের উপেক্ষা ও অবহেলা এবং সামরিক সরকারের সৃষ্ট ১১৬এ অনুচ্ছেদ বাতিল করে ১৯৭২ এর সংবিধানের ১১৫ ও ১১৬ অনুচ্ছেদকে পুনঃস্থাপিত না করা কি প্রমাণ করে না যে, আমরা আইনের শাসন নয়, বরং শাসকের আইনের মধ্যেই বসবাস করছি?’
বৈঠকের সভাপতি বিচারপতি কাজী এবাদুল হক বলেন, আইনের শাসন মানে জনগণের সম্মতির শাসন। আইন হতে হলে তাতে জনগণের সম্মতি থাকা লাগবে এবং আইন হতে হলে তা বিচারকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী হ্যারল্ড লাস্কি বলেছিলেন, আইনসভার কাজ হলোÑ আইন প্রণয়ন করা, বিচার বিভাগের কাজ হলো সঠিকভাবে বিচার করা, আর নির্বাহী বিভাগের কাজ দেশ শাসন করা। এভাবে ক্ষমতার বিভাজন করা হয়েছে, যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার না হয় এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল বলেন, আইন প্রণীত হতে হবে জনগণের ভোটে প্রকৃত প্রতিনিধি দ্বারা। এটা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন সঠিক হতে হবে। যে কারণে আমরা সামরিক শাসনের আইনকে আইন হিসেবে সাধারণত মেনে নিই না। আর আইন কারো ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে, কারো ক্ষেত্রে প্রয়োগ হবে না তা আমরা মেনে নিতে পারি না। সাংবাদিক ও কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, আইনের শাসনের মাহাত্ম্য হলো সাধারণ মানুষ থাকবে স্বস্তিতে। এমনকি রাষ্ট্রের সবচেয়ে দুর্বলতম ব্যক্তিটিও নিরাপদ থাকবে। একটি রাষ্ট্রে কম গণতন্ত্র মানা যায়, কিন্তু আইনের শাসনের ব্যত্যয় আমরা মেনে নিতে পারি না। আইনের শাসনের ব্যত্যয় ঘটছে কি-না তা তারাই বলতে পারবেন যারা গুম-খুনের শিকার হচ্ছেন। স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, চাকরিতে কোটা সংবিধান সম্মত। কিন্তু সবার জন্য এ কোটা প্রযোজ্য হবে না, কোটা হলো অনগ্রসর শ্রেণির জন্য। বর্তমানে যারা কোটার সুযোগ নিচ্ছেন তাদের সবাই কোটার যোগ্য নয়। যে কোনো অর্ডার আইনসম্মত হতে হয়। কিন্তু আমরা বর্তমানে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আইন নয়, বরং অর্ডারের অধীনে রয়েছি। বেলার নির্বাহী প্রধান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ প্রধান ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বিচার বিভাগের সঙ্গে অন্য বিভাগগুলোকে সমান্তরালে এগিয়ে যেতে হবে। আমি মনে করি, মানুষের ভোটের অধিকার না থাকলে আইনের শাসন নিশ্চিত করা যায় না। তিনি বলেন, একজন প্রধান বিচারপতি হঠাৎ করে দুর্নীতিবাজ হয়ে গেলেন। কিন্তু তার বিচার কেন হলো না? তিনি যে দুর্নীতি করেছেন তার সঙ্গে কারা যুক্ত ছিলেন তাও আমরা জানতে চাই। আদালতের ব্যাপারে আমরা আস্থা হারাতে চাই না। কিন্তু জনগণের সম্মতির শাসন চাই, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চাই। সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আইনের শাসন ছাড়া যে শাসন তা সভ্য শাসন নয়। বিচারপতিদের নিয়োগে আইন পাস করার দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন স্থপতি মোবাশ্বার হাসান, সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা, সাবেক এমপি এএসএম আকরাম, বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
No comments