ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণা বাড়ছে অভিযোগ, ৩৭২৯০ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা by মহিউদ্দিন অদুল
বাজারে
চলছে ভোক্তা ঠকানোর মহৌৎসব। নানাভাবে প্রতিনিয়ত ক্রেতাদের প্রতারিত করে
অবৈধভাবে লাভবান হচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতায় দেশের
অন্তত ১৭ কোটি ভোক্তার অধিকার রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার
সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তবে সীমিত লোকবল ও সক্ষমতা নিয়ে ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি
যাত্রা শুরুর পর গত ৯ বছরে ভোক্তা প্রতারণার দায়ে ৩৭ হাজার ২৯০
প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। সে সময়ে ওই দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে
আদায় করা হয়েছে ২৮ কোটি ৬৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর মানবজমিনকে বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। রাজধানীর বাইরে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের কার্যক্রম এখনো তেমন বিস্তৃত করা যায়নি।
অনেক ভোক্তা বা ক্রেতা প্রতারিত হলে যে প্রতিকার চাইতে পারেন সে বিষয়টিও জানে না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কেও জানে না। সেই সুযোগ নিয়ে প্রতিনিয়ত ঠকাচ্ছে পণ্য উৎপাদনকারী ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। তবে আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে। প্রায় প্রতি বছর ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে দণ্ডপ্রাপ্ত মালিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা। জরিমানার অঙ্ক তো বাড়ছেই।
একাধিক ভোক্তা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, কার্যত দেশের সকল নাগরিকই ক্রেতা। তাই তারা সবাই ভোক্তা। কিন্তু তারা দিন দিন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে। বিক্রেতারা প্রতিনিয়ত ঠকাচ্ছে ভোক্তাদের। করছে প্রতারণা। পণ্যে মেশাচ্ছে ভেজাল। কারচুপি করছে ওজনে। নানাভাবে ক্রেতা ঠকিয়ে ক্রেতার পকেট কাটছে। এতে শুধু আর্থিকভাবেই নয়, ক্ষতি করছে শারীরিক এবং মানসিকভাবেও। এই কাতারে রয়েছে গ্রাম-গঞ্জের ছোটখাট উৎপাদনকারী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ জেলা, বিভাগীয় এবং রাজধানী শহর ঢাকার নামিদামি বড় বড় প্রতিষ্ঠানও। এমনকি আমদানিকৃত পণ্য বিপণনে পরিবেশক প্রতিষ্ঠানও একই প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। এসব প্রতারণার মধ্যে রয়েছে ধার্যকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে পণ্য, ওষুধ বা সেবা বিক্রয়; পণ্যমূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করে বাড়তি মূল্য আদায়; সেবার মূল্যতালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা; ওজন, উৎপাদন, মূল্য, ব্যবহারবিধি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্য প্যাকেটজাত পণ্যের মোড়কে না লেখা; ভেজাল পণ্য ও ওষুধ বিক্রয়। এছাড়া রয়েছে খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রণ; অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ; মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতা সাধারণকে প্রতারণা; প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা; ওজনে কারচুপি; বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপি; পরিমাপে কারচুপি; দৈর্ঘ পরিমাপের কাজে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতাতে কারচুপি; পণ্যের নকল প্রস্তুত বা উৎপাদন; মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ওষুধ বিক্রয়। প্রতারণার রকম ফের এতেই শেষ নয়। আরো রয়েছে গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিঘ্নকারী কার্য; অবহেলা ইত্যাদির মাধ্যমে সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি হওয়া; মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের ইত্যাদি। এসব নানা অভিনব উপায়ে হরহামেশাই গ্রাহক ঠকিয়ে আসছে দেশি-বিদেশি উৎপাদনকারী ও বিপণনকারী অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। তবে দেশের বিপুল সংখ্যক ভোক্তার বিশাল বাজার ব্যবস্থার বিপরীতে কার্যত রাজধানীকেন্দ্রিক সীমিত জনবল কাঠামো নিয়ে যেন নিধিরাম সর্দার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রকৃত অর্থে প্রয়োজন মেটানোর জন্য যারা পণ্য কেনে, সেই ক্রেতারাই ভোক্তা। সে হিসেবে দেশের সকল মানুষই কোনো না কোনোভাবে ভোক্তা। এই বিপুল পরিমাণ ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ ও ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কাজ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার ২০০৯ সালের ৬ই এপ্রিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ প্রণয়ন করে। এরপর গঠিত হয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি। মূলত ওই বছরই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু। মাঠ পর্যায়ে বাজার অভিযানও শুরু। প্রথম তথা ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ৭টি অভিযান পরিচালনা করে। প্রথম অর্থবছরে ৫৪টি দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা। দ্বিতীয় তথা ২০১০-১১ অর্থবছরে ১ হাজার ৫১২ প্রতিষ্ঠান থেকে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ২০১১-১২ অর্থবছরে দণ্ডিত ২ হাজার ৬৬৩ প্রতিষ্ঠানকে গুনতে হয় ২ কোটি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২ কোটি ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা গুনে গ্রাহক ঠকানো ২ হাজার ৯২৪ ব্যবসা ও সেবাপ্রতিষ্ঠান। পরের বছর ২ হাজার ৮৬১টি প্রতিষ্ঠান গ্রাহক ঠকানোর দায়ে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা প্রদান করে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে গ্রাহক ঠকানোর দায়ে দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যায়। দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৩১টিতে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো সে বছর ২ কোটি ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা প্রদান করে। পরের বছর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজার অভিযান ও দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়। ওই অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৯টি প্রতিষ্ঠান ৩ কোটি ২৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করে। সর্বশেষ গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গ্রাহক প্রতারণার দায়ে দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও জরিমানার অঙ্ক আগের বছরের দ্বিগুণ ছাড়িয়ে গেছে। ওই অর্থবছরে ১০ হাজার ৭২৯টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৯ হাজার ৩০০ টাকা। আর চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রায় ৪ মাস বাকি থাকতেই ৮ হাজার ৩৫৭টি ব্যবসা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দণ্ডিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুনতে হয়েছে ৮ কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা। অর্থাৎ গত ১০ই মার্চ পর্যন্ত ৯ বছরে দণ্ডিত ৩৭ হাজার ২৯০ ব্যবসা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্রাহক ঠকানোর দায়ে ২৮ কোটি ৬৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা গুনে। একই সঙ্গে বহু প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর মানবজমিনকে বলেন, আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে। রাজধানীর বাইরে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের কার্যক্রম এখনো তেমন বিস্তৃত করা যায়নি।
অনেক ভোক্তা বা ক্রেতা প্রতারিত হলে যে প্রতিকার চাইতে পারেন সে বিষয়টিও জানে না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন সম্পর্কেও জানে না। সেই সুযোগ নিয়ে প্রতিনিয়ত ঠকাচ্ছে পণ্য উৎপাদনকারী ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছেন। তবে আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে। প্রায় প্রতি বছর ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনের জন্য দণ্ডপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে দণ্ডপ্রাপ্ত মালিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা। জরিমানার অঙ্ক তো বাড়ছেই।
একাধিক ভোক্তা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, কার্যত দেশের সকল নাগরিকই ক্রেতা। তাই তারা সবাই ভোক্তা। কিন্তু তারা দিন দিন অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে। বিক্রেতারা প্রতিনিয়ত ঠকাচ্ছে ভোক্তাদের। করছে প্রতারণা। পণ্যে মেশাচ্ছে ভেজাল। কারচুপি করছে ওজনে। নানাভাবে ক্রেতা ঠকিয়ে ক্রেতার পকেট কাটছে। এতে শুধু আর্থিকভাবেই নয়, ক্ষতি করছে শারীরিক এবং মানসিকভাবেও। এই কাতারে রয়েছে গ্রাম-গঞ্জের ছোটখাট উৎপাদনকারী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ জেলা, বিভাগীয় এবং রাজধানী শহর ঢাকার নামিদামি বড় বড় প্রতিষ্ঠানও। এমনকি আমদানিকৃত পণ্য বিপণনে পরিবেশক প্রতিষ্ঠানও একই প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে। এসব প্রতারণার মধ্যে রয়েছে ধার্যকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে পণ্য, ওষুধ বা সেবা বিক্রয়; পণ্যমূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করে বাড়তি মূল্য আদায়; সেবার মূল্যতালিকা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন না করা; ওজন, উৎপাদন, মূল্য, ব্যবহারবিধি ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্য প্যাকেটজাত পণ্যের মোড়কে না লেখা; ভেজাল পণ্য ও ওষুধ বিক্রয়। এছাড়া রয়েছে খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশ্রণ; অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণ; মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতা সাধারণকে প্রতারণা; প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা; ওজনে কারচুপি; বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রে কারচুপি; পরিমাপে কারচুপি; দৈর্ঘ পরিমাপের কাজে ব্যবহৃত পরিমাপক ফিতাতে কারচুপি; পণ্যের নকল প্রস্তুত বা উৎপাদন; মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ওষুধ বিক্রয়। প্রতারণার রকম ফের এতেই শেষ নয়। আরো রয়েছে গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিঘ্নকারী কার্য; অবহেলা ইত্যাদির মাধ্যমে সেবা গ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি হওয়া; মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের ইত্যাদি। এসব নানা অভিনব উপায়ে হরহামেশাই গ্রাহক ঠকিয়ে আসছে দেশি-বিদেশি উৎপাদনকারী ও বিপণনকারী অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান। তবে দেশের বিপুল সংখ্যক ভোক্তার বিশাল বাজার ব্যবস্থার বিপরীতে কার্যত রাজধানীকেন্দ্রিক সীমিত জনবল কাঠামো নিয়ে যেন নিধিরাম সর্দার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রকৃত অর্থে প্রয়োজন মেটানোর জন্য যারা পণ্য কেনে, সেই ক্রেতারাই ভোক্তা। সে হিসেবে দেশের সকল মানুষই কোনো না কোনোভাবে ভোক্তা। এই বিপুল পরিমাণ ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ ও ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কাজ প্রতিরোধের লক্ষ্যে সরকার ২০০৯ সালের ৬ই এপ্রিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ প্রণয়ন করে। এরপর গঠিত হয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি। মূলত ওই বছরই প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু। মাঠ পর্যায়ে বাজার অভিযানও শুরু। প্রথম তথা ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ৭টি অভিযান পরিচালনা করে। প্রথম অর্থবছরে ৫৪টি দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায় করে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৫০০ টাকা। দ্বিতীয় তথা ২০১০-১১ অর্থবছরে ১ হাজার ৫১২ প্রতিষ্ঠান থেকে ১ কোটি ৬৯ লাখ ৬১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। ২০১১-১২ অর্থবছরে দণ্ডিত ২ হাজার ৬৬৩ প্রতিষ্ঠানকে গুনতে হয় ২ কোটি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২ কোটি ১৩ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা গুনে গ্রাহক ঠকানো ২ হাজার ৯২৪ ব্যবসা ও সেবাপ্রতিষ্ঠান। পরের বছর ২ হাজার ৮৬১টি প্রতিষ্ঠান গ্রাহক ঠকানোর দায়ে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৩১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা প্রদান করে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে গ্রাহক ঠকানোর দায়ে দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে যায়। দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৩১টিতে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো সে বছর ২ কোটি ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৫০ টাকা জরিমানা প্রদান করে। পরের বছর ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজার অভিযান ও দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়। ওই অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৯টি প্রতিষ্ঠান ৩ কোটি ২৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করে। সর্বশেষ গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে গ্রাহক প্রতারণার দায়ে দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও জরিমানার অঙ্ক আগের বছরের দ্বিগুণ ছাড়িয়ে গেছে। ওই অর্থবছরে ১০ হাজার ৭২৯টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয় ৬ কোটি ৮৭ লাখ ৯ হাজার ৩০০ টাকা। আর চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রায় ৪ মাস বাকি থাকতেই ৮ হাজার ৩৫৭টি ব্যবসা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দণ্ডিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুনতে হয়েছে ৮ কোটি ১৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা। অর্থাৎ গত ১০ই মার্চ পর্যন্ত ৯ বছরে দণ্ডিত ৩৭ হাজার ২৯০ ব্যবসা ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গ্রাহক ঠকানোর দায়ে ২৮ কোটি ৬৩ লাখ ৮৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা গুনে। একই সঙ্গে বহু প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
No comments