নুভিস্তাকে অধিগ্রহণ করলো বেক্সিমকো ফার্মা
নুভিস্তা
ফার্মার ৮৫.২২ শতাংশ শেয়ার নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অধিগ্রহণ সম্পন্ন করলো
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
বাংলাদেশে ওষুধ শিল্পের ইতিহাসে এটাই প্রথম অধিগ্রহণ। এই ঘটনাকে স্মরণীয়
করে রাখতে সোমবার রাতে রাজধানীর রেডিসন হোটেলে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা
হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। এ
সময় বক্তব্য রাখেন বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান,
বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এবং নুভিস্তা ফার্মার
চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখতার মতিন চৌধুরী। এছাড়া সরকারের
বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ব্যাংক, ওষুধ শিল্প, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর,
বেক্সিমকো ফার্মা এবং নুভিস্তা ফার্মার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নুভিস্তা ফার্মা আগে আর্গনন বাংলাদেশ নামে পরিচিত ছিল। প্রতিষ্ঠানটি হরমোন এবং স্টেরয়েড ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর আগে অধিগ্রহণের জন্য ২০১৭ সালের ৫ই অক্টোবর উভয় কোম্পানির মধ্যে একটি শর্তহীন সমঝোতা চুক্তি সই হয়। আর ২০১৮ সালের ১৮ই জানুয়ারি ওই চুক্তি সম্পন্ন করতে একমত হয়। বর্তমানে নুভিস্তা ফার্মাতে সরকারের ১২.৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, এই অধিগ্রহণের মাধ্যমে দেশে গুণগত মানের ওষুধ তৈরি হবে। পাশাপাশি বেক্সিমকোর ওষুধের বাজার আরো সমপ্রসারিত হলো। তিনি বলেন, নুভিস্তার এখন অর্ধশতাধিক ওষুধ বাজারে রয়েছে; যার অংশীদারিত্ব পেল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। তিনি বলেন, আমাদের এপিআই শিল্প পার্কের কাজ সমাপ্তির পথে। এটি চালু হলে ওষুধ শিল্পে আমাদের রপ্তানি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। আর প্রথমবারের মতো এই অধিগ্রহণ দেশের ওষুধ শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধিতে মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে। শিল্পমন্ত্রী দেশের অর্থনীতিতে ওষুধ শিল্পের অবদানের জন্য এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া এই শিল্পের রপ্তানি বিকাশে সরকারের নানাবিধ সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের বেক্সিমকো ফার্মা ভালো করার পিছনে বড় কারণ এই শিল্পের উন্নয়ন। কারণ দেশের ৯৯ শতাংশ ওষুধের চাহিদা এখন লোকাল কোম্পানিগুলো মিটিয়ে থাকে। নুভিস্তাকে অধিগ্রহণের মাধ্যমে বেক্সিমকো আরো একধাপ এগিয়ে গেল। নতুনভাবে আমাদের পথচলা শুরু হলো। আর এটা সম্ভব হয়েছে বেক্সিমকোর অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায়। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, আগামীতে অন্য কোম্পানির মধ্যেও এরকম অধিগ্রহণ আরো হবে। তখন এই খাত আরো শক্তিশালী হবে।
বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধির কৌশল হিসেবে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের ইতিহাসে প্রথম অধিগ্রহণ সম্পন্ন করতে পেরে আমরা গর্বিত। নুভিস্তা অধিগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং হরমোন এবং স্টেরয়েড মার্কেটে আমাদের অবস্থান দৃঢ় হবে। নুভিস্তার মৌলিক ওষুধগুলো আমাদের পণ্যের সমাহার বৃদ্ধি করবে এবং নিকট ভবিষ্যতে আমাদের রাজস্ব বাড়বে। একীভূতকরণ কিংবা অধিগ্রহণ বর্তমান করপোরেট জগতে জনপ্রিয় এবং ফলপ্রসূ কৌশল। এর মাধ্যমে প্রতিযোগীদের চেয়ে এগিয়ে থাকা যায়, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, খরচ কমে, বাজারের আকার বড় হয়, দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয় এবং বিকল্প ব্যবসার দ্বার উন্মোচন হয়। সারা বিশ্বে ২০১৭ সালে তিন ট্রিলিয়ন ডলারের একীভূতকরণ কিংবা অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে, এর মধ্যে ওষুধ শিল্পের পরিমাণ প্রায় শতকরা দশ ভাগ। বেক্সিমকো ফার্মা দেশের নেতৃস্থানীয় ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে বর্তমানে বেক্সিমকো ফার্মা ওষুধ রপ্তানি করছে। বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র কোম্পানি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ রপ্তানি করছে বেক্সিমকো ফার্মা। ইউএস এফডিএ ছাড়াও এজিইএস (ইউরোপীয় ইউনিয়ন), টিজিএ (অস্ট্রোলিয়া), হেলথ কানাডা, জিসিসি (গালফ) এবং টিএফডিএ (তাইওয়ান) এর স্বীকৃতি রয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নুভিস্তা ফার্মা আগে আর্গনন বাংলাদেশ নামে পরিচিত ছিল। প্রতিষ্ঠানটি হরমোন এবং স্টেরয়েড ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর আগে অধিগ্রহণের জন্য ২০১৭ সালের ৫ই অক্টোবর উভয় কোম্পানির মধ্যে একটি শর্তহীন সমঝোতা চুক্তি সই হয়। আর ২০১৮ সালের ১৮ই জানুয়ারি ওই চুক্তি সম্পন্ন করতে একমত হয়। বর্তমানে নুভিস্তা ফার্মাতে সরকারের ১২.৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, এই অধিগ্রহণের মাধ্যমে দেশে গুণগত মানের ওষুধ তৈরি হবে। পাশাপাশি বেক্সিমকোর ওষুধের বাজার আরো সমপ্রসারিত হলো। তিনি বলেন, নুভিস্তার এখন অর্ধশতাধিক ওষুধ বাজারে রয়েছে; যার অংশীদারিত্ব পেল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। তিনি বলেন, আমাদের এপিআই শিল্প পার্কের কাজ সমাপ্তির পথে। এটি চালু হলে ওষুধ শিল্পে আমাদের রপ্তানি কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। আর প্রথমবারের মতো এই অধিগ্রহণ দেশের ওষুধ শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধিতে মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে। শিল্পমন্ত্রী দেশের অর্থনীতিতে ওষুধ শিল্পের অবদানের জন্য এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত সবার ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া এই শিল্পের রপ্তানি বিকাশে সরকারের নানাবিধ সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বলেন, আমাদের বেক্সিমকো ফার্মা ভালো করার পিছনে বড় কারণ এই শিল্পের উন্নয়ন। কারণ দেশের ৯৯ শতাংশ ওষুধের চাহিদা এখন লোকাল কোম্পানিগুলো মিটিয়ে থাকে। নুভিস্তাকে অধিগ্রহণের মাধ্যমে বেক্সিমকো আরো একধাপ এগিয়ে গেল। নতুনভাবে আমাদের পথচলা শুরু হলো। আর এটা সম্ভব হয়েছে বেক্সিমকোর অভিজ্ঞ কর্মকর্তা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায়। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, আগামীতে অন্য কোম্পানির মধ্যেও এরকম অধিগ্রহণ আরো হবে। তখন এই খাত আরো শক্তিশালী হবে।
বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধির কৌশল হিসেবে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের ইতিহাসে প্রথম অধিগ্রহণ সম্পন্ন করতে পেরে আমরা গর্বিত। নুভিস্তা অধিগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত হবে এবং হরমোন এবং স্টেরয়েড মার্কেটে আমাদের অবস্থান দৃঢ় হবে। নুভিস্তার মৌলিক ওষুধগুলো আমাদের পণ্যের সমাহার বৃদ্ধি করবে এবং নিকট ভবিষ্যতে আমাদের রাজস্ব বাড়বে। একীভূতকরণ কিংবা অধিগ্রহণ বর্তমান করপোরেট জগতে জনপ্রিয় এবং ফলপ্রসূ কৌশল। এর মাধ্যমে প্রতিযোগীদের চেয়ে এগিয়ে থাকা যায়, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়, খরচ কমে, বাজারের আকার বড় হয়, দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয় এবং বিকল্প ব্যবসার দ্বার উন্মোচন হয়। সারা বিশ্বে ২০১৭ সালে তিন ট্রিলিয়ন ডলারের একীভূতকরণ কিংবা অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে, এর মধ্যে ওষুধ শিল্পের পরিমাণ প্রায় শতকরা দশ ভাগ। বেক্সিমকো ফার্মা দেশের নেতৃস্থানীয় ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে বর্তমানে বেক্সিমকো ফার্মা ওষুধ রপ্তানি করছে। বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র কোম্পানি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ওষুধ রপ্তানি করছে বেক্সিমকো ফার্মা। ইউএস এফডিএ ছাড়াও এজিইএস (ইউরোপীয় ইউনিয়ন), টিজিএ (অস্ট্রোলিয়া), হেলথ কানাডা, জিসিসি (গালফ) এবং টিএফডিএ (তাইওয়ান) এর স্বীকৃতি রয়েছে।
No comments