ব্যক্তিগত চিকিৎসকের অপেক্ষায় খালেদা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক
ব্যক্তিগত
ডাক্তারের কাছেই চিকিৎসা করাতে চান কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা
জিয়া। গতকাল সকালে তার চিকিৎসার জন্য গঠিত চার সদস্যের টিমের প্রতিবেদন
পৌঁছেছে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে। চিকিৎসকদের দেয়া ব্যবস্থাপত্র অনুসারে
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ। কারা সূত্রে
জানা গেছে, খালেদা জিয়া কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত ডাক্তারের
পরামর্শ ছাড়া তিনি কোনো ওষুধ সেবন করবেন না। এ নিয়ে জটিল অবস্থার সৃষ্টি
হলে গতকাল দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি বৈঠকে মিলিত হন আইজি প্রিজন
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। তার আগে সকালে কারা কর্তৃপক্ষের
কাছে মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন পাঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এ কে এম নাছির উদ্দিন। প্রতিবেদনে খালেদা জিয়ার
অসুস্থতার বিষয় উল্লেখ করে তার ঘাড় ও কোমরের এক্সরে এবং রক্ত পরীক্ষার
পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সেসঙ্গে নতুন বেশ কয়েকটি ওষুধ লেখা হয়েছে।
এ বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত আইজি প্রিজন কর্নেল ইকবাল হাসান বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ তবে তার অবস্থা গুরুতর না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আইন অনুসারেই এ বিষয়ে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। বিষয়টি সরাসরি আইজি প্রিজন দেখভাল করছেন।
কারাগারের দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন। চিকিৎসকদের প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে কারা কর্তৃপক্ষ। তবে খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত ডাক্তারদের বাইরে চিকিৎসা করাতে অনীহা প্রকাশ করলে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়। তার পরই এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়। তবে ওই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানা যায়নি।
কারাবন্দি খালেদা জিয়া অসুস্থবোধ করলে গত ২৮শে মার্চ আদালতে তাকে হাজির করতে পারেননি কারা কর্তৃপক্ষ। অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শাও নোটিশ করেন আদালত। তারপরই শনিবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চার অধ্যাপককে নিয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করে। রোববার গঠিত মেডিকেল টিম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। ওই টিমের সদস্যরা হলেন অর্থোপেডিক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামান, নিউরোলজি বিভাগের ডা. মনসুর হাবিব, মেডিসিন বিভাগের ডা. টিটু মিয়া ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের ডা. সোহেলী রহমান। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে গত ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া।
এ বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত আইজি প্রিজন কর্নেল ইকবাল হাসান বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ তবে তার অবস্থা গুরুতর না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আইন অনুসারেই এ বিষয়ে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। বিষয়টি সরাসরি আইজি প্রিজন দেখভাল করছেন।
কারাগারের দায়িত্বে থাকা একজন কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন। চিকিৎসকদের প্রতিবেদন পাওয়ার পরপরই কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেছে কারা কর্তৃপক্ষ। তবে খালেদা জিয়া ব্যক্তিগত ডাক্তারদের বাইরে চিকিৎসা করাতে অনীহা প্রকাশ করলে বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়। তার পরই এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়। তবে ওই বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানা যায়নি।
কারাবন্দি খালেদা জিয়া অসুস্থবোধ করলে গত ২৮শে মার্চ আদালতে তাকে হাজির করতে পারেননি কারা কর্তৃপক্ষ। অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে কারণ দর্শাও নোটিশ করেন আদালত। তারপরই শনিবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য ঢামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চার অধ্যাপককে নিয়ে একটি মেডিকেল টিম গঠন করে। রোববার গঠিত মেডিকেল টিম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। ওই টিমের সদস্যরা হলেন অর্থোপেডিক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শামসুজ্জামান, নিউরোলজি বিভাগের ডা. মনসুর হাবিব, মেডিসিন বিভাগের ডা. টিটু মিয়া ও ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের ডা. সোহেলী রহমান। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে গত ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে বন্দি রয়েছেন খালেদা জিয়া।
No comments