ইউটিউব সদর দফতরে কে এই হামলাকারী নারী!
ঊনচল্লিশ
বছর বয়সী যুবতী নাসিম আঘদাম। নিজে একজন ইউটিউবার। অর্থাৎ ইউটিউবে ভিডিও
পোস্ট করে সেখান থেকে অর্থ আয় করে। কিন্তু ইউটিউব তার ভিডিও বা আনুষঙ্গিক
পোস্টগুলো সেন্সর করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। এ ছাড়া নতুন ইউটিউব তার মতো
অনেককে সামান্য রাজস্ব দিচ্ছে এমন ক্ষোভ ছিল তার। এর ফলে ইউটিউবের
‘স্বৈরতান্ত্রিক’ আচরণ ও তার ভিডিও সেন্সর করার প্রতিশোধ নিতে ইউটিউবের সদর
দফতরে হামলা চালিয়েছে নাসিম। সেখানে তিনজনের ওপর গুলি চালিয়ে নিজে
আত্মহত্যা করেছেন। তিনি যে ইউটিউবের ওপর ক্ষিপ্ত এ বিষয়ে আগে থেকেই পুলিশকে
সতর্ক করেছিলেন তার পিতা ইসমাইল আঘদাম। তার মেয়ে নাসিম ইউটিউব সদর দফর
থেকে ৪৭০ মাইল দূরের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি পুলিশকে এ বিষয়টি
অবহিত করেন। জানিয়ে দেন, ইউটিউবের ওপর ক্ষোভ রয়েছে নাসিমের। খবরে বলা
হচ্ছে, ইউটিউব সম্প্রতি তাদের নতুন নিয়ম কানুন করেছে। তারা নাসিমের ভিডিও
সেন্সর করছিল এবং তা প্রদর্শন করছিল না বলে অভিযোগ ছিল ৩৯ বছর বয়সী ওই
যুবতীর। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইউটিউব সদর দফতরে প্রবেশ করার সময় নাসিম
আঘদামের চোখে ছিল চশমা। আর ছিল মাথায় ছিল স্কার্ফ। তিনি নিরাপত্তা
প্রহরীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হন। এরপরই কর্মচারীদের
দিকে গুলি করা শুরু করেন। উল্লেখ্য, নাসিম আঘদাম এর আগে তার বয়ফ্রেন্ডকে
গুলি করে হত্যা করেছে। ফলে তার মধ্যে সহিংসতা আছে এমন ধারণা নিয়ে তদন্ত
শুরুর কথা বলেছিলেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তারা। নাসিম আঘদাম
স্বঘোষিত একজন পশু অধিকারকর্মী। তাকে ইউটিউবে অনেক চ্যানেলে এবং সামাজিক
মিডিয়াতে দেখা যেতো। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেন।
তাতে দেখা যায়, তার পোস্ট করা বিষয়গুলোকে বৈষম্যমুলকভাবে দেখা হচ্ছে এবং তা
ফিল্টার করা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। এমন অভিযোগ আনছেন। তিনি বলেন, তার
ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ৫ হাজারেরও বেশি। বিপুল সংখ্যক
মানুষ এই চ্যানেল ভিজিত করে। কিন্তু বিনিময়ে তাকে যথোপযুক্ত অর্থ ইউটিউব
দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। ইউটিউব সদর দফতরে হামলা চালানোর কয়েক
ঘন্টার মধ্যেই তার চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগের সব পেজ মুছে ফেলা হয়েছে।
No comments