আফগানিস্তানে মাদরাসায় বোমা হামলা, নিহত ৭০
আফগানিস্তানের
একটি মাদরাসায় বোমা হামলার ঘটনায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে
বেশিরভাগই শিশু শিক্ষার্থী। যাদের বয়স ১১/১২ বছর। সোমবার ভোরে দেশটির
উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজ প্রদেশের দাশত-ই আচিন জেলায় এই হামলা চালানো হয়।
কর্তৃপক্ষ নিহতের সংখ্যা ৭০ জন উল্লেখ করলেও স্থানীয়দের দাবি, সেখানে
শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
খবরে বলা হয়, হামলার সময় মাদরাসাটিতে শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান চলছিল। এতে কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করার কথা ছিল। নাম গোপন রাখার শর্তে ওই জেলার একজন কর্মকর্তা বলেন, বোমা হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে তালেবানের প্রথম সারির কয়েকজন কমান্ডার রয়েছে। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রাদমানিশ বলেন, তালেবানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়। এতে ৩০ জনেরও বেশি তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন তালেবানের প্রথম সারির কমান্ডার। হামলায় কোনো বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয় নি বলেও জানান তিনি। তবে তালেবান দাবি করেছে, হামলায় তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। এসময় তাদের কোনো যোদ্ধা সেখানে উপস্থিত ছিল না।
খবরে বলা হয়, হামলার সময় মাদরাসাটিতে শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান চলছিল। এতে কৃতকার্য শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করার কথা ছিল। নাম গোপন রাখার শর্তে ওই জেলার একজন কর্মকর্তা বলেন, বোমা হামলায় কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে তালেবানের প্রথম সারির কয়েকজন কমান্ডার রয়েছে। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রাদমানিশ বলেন, তালেবানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের টার্গেট করে এই হামলা চালানো হয়। এতে ৩০ জনেরও বেশি তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জন তালেবানের প্রথম সারির কমান্ডার। হামলায় কোনো বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয় নি বলেও জানান তিনি। তবে তালেবান দাবি করেছে, হামলায় তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয় নি। এসময় তাদের কোনো যোদ্ধা সেখানে উপস্থিত ছিল না।
এদিকে, স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বোমা হামলায় বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। স্থানীয় অধিবাসী মোহাম্মদ আব্দুল হক বলেন, হামলার সময় মাদরাসাটিতে বিপুল সংখ্যক শিশু শিক্ষার্থী ছিল। সফলভাবে ধর্মীয় শিক্ষার কোর্স সম্পন্ন করার স্বীকৃতি হিসেবে তাদের পুরস্কার বিতরণের অনুষ্ঠান চলছিল।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বিপুল সংখ্যক শিশুর মৃত্যুতে অঞ্চলটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় অধিবাসী হাজী গোলাম বলেন, ‘আমি খামারে কাজ করছিলাম। হঠাৎ হেলিকপ্টার ও জেট বিমান থেকে মাদরাসার ওপর বোমাবর্ষণের শব্দ শুনতে পাই। সেখানে সদ্য ক্বারীদের (পুরো কোরআন মজিদ মুখস্থকারী) পুরস্কার দেয়া হচ্ছিল।’ তিনি বলেন, অঞ্চলটিতে তালেবানরা বেশ সক্রিয়। কিন্তু মাদরাসার অনুষ্ঠান ছিল মূলত শিশু ও তরুণদের। হামলার পর ঘটনাস্থলে তিনি অনেক শিশুকে মৃত পড়ে থাকতে দেখেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তখনো গুরুতর আহত অবস্থায় জীবিত ছিল। তার ভাষায়Ñ ‘এটা ছিল পুরোপুরি ধ্বংসযজ্ঞ। সবখানেই ছিল রক্ত।’
হামলার পরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তালেবানরা বলেছে, হামলায় প্রায় ১৫০ জন আলেম ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। নিহত ও আহতদের বেশির ভাগই শিশু। তবে সেখানে কোনো তালেবান যোদ্ধা নিহত হওয়ার খবর অস্বীকার করেছে তারা।
আফগানিস্তানে নিয়োজিত জাতিসংঘের মিশন ইউএনএমএ বলেছে, একটি মানবাধিকার সংগঠন সোমবারের হামলার ঘটনাটি তদন্ত করবে। টুইটার বার্তায় সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘গতকালের হামলায় বিপুলসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার বিষয়টি ইউএনএমএ তদন্ত করে দেখবে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে নিয়োজিত মানবাধিকার সংগঠন প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।’
সম্প্রতি তালেবানদের ওপর সরকারি বাহিনীর হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীর সহায়তায় তালেবানদের ঘাঁটিতে হামলা চালাচ্ছে তারা। মূলত এর মাধ্যমে তালেবানদের সমঝোতায় বাধ্য করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সরকারি বাহিনীর এসব হামলায় তালেবান যোদ্ধাদের পাশাপাশি অনেক বেসামরিক নাগরিকও নিহত হয়েছে। চলতি মাসের শুরুতে নানগারহার প্রদেশে আফগান নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনীর চালানো হামলায় সাতজন নিরীহ কৃষক ও দুই তরুণ নিহত হয়। এর আগে জানুয়ারিতে কান্দাহারে আফগানিস্তানের বিশেষ বাহিনীর এক অভিযানে কমপক্ষে ২০ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন।
No comments