জাহানারার কাছে ভালোবাসা মানে ভয়ঙ্কর অভিশাপ by তামান্না মোমিন খান
নজরুলকে
ভালোবেসে বিয়ে করেছিল জাহানারা। ভালোই চলছিল সংসার। সুখেরও অভাব ছিল না।
কিন্তু বিয়ের এক বছর পর জাহানারা জানতে পারে নজরুল আগে আরেকটি বিয়ে করেছে।
সে বউয়ের কাছে নিয়মিত যাতায়াত করে নজরুল। নজরুলের আগের বিয়ের কথা জেনেও
সংসার করতে চেয়েছিল জাহানারা।
এরই মধ্যে জাহানারার কোলজুড়ে আসে পুত্র সন্তান আবু বকর সিদ্দিক। কিন্তু ছেলেকে নিজের বলে স্বীকার করতে চায় না নজরুল। এটি অন্য কারো সন্তান এই অপবাদ দিয়ে আগের বউয়ের কাছে আশুলিয়ায় চলে যায় নজরুল। সন্তান নিয়ে নজরুলের আগের বউয়ের বাড়িতে গেলে নজরুল তাকে সন্তান নিয়ে চলে যেতে বলে। শর্ত দেয় সে বছরের ৩৫৫ দিন থাকবে প্রথম বউয়ের সঙ্গে। আর ১০ দিন থাকবে জাহানারার সঙ্গে। এ শর্ত মানলে সে জাহানারার কাছে দশদিনের জন্য আসবে। তা না হলে সে প্রথম বউয়ের সঙ্গেই থাকবে। গত ছয় মাসে একদিনের জন্যও জাহানারার কাছে আসেনি নজরুল। তাই জাহানারা প্রতিকার পেতে আসেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে। সেখানেই কথা হয় তার সঙ্গে। জাহানারা জানান বিয়ের আগে মাছ বিক্রি করে ভালোই কাটছিল তার জীবন। দক্ষিণ বাড্ডায় ওসমানের টং-এ ভাড়া থাকতেন তিনি। সেখানে পাশের ঘরে চার বন্ধুর সঙ্গে ভাড়া থাকতো নজরুল। বিভিন্ন সময় নজরুলের বন্ধুরা এসে বলতো নজরুল তাকে ভালোবাসে। প্রথমে এসব কথা শুনতে চাইতো না জাহানারা। প্রতিদিন জাহানারা মাছ বিক্রি করে ফেরার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতো নজরুল। এদিকে কাজে আসছিলাম এ কথা বলে জাহানারার সঙ্গে বাড়ি ফিরতো সে। এক সময় নজরুলের প্রতি ভালো লাগা জন্ম নেয় জাহানারার। নজরুল প্রায় জাহানারাকে চুরি, ব্যান্ড, দুল কিনে দিতো। একদিন নজরুল নতুন ব্যবসা করবে বলে জাহানারার কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার চায়। জাহানারা বিশ্বাস করে টাকা দেয়। কিন্তু নজরুল আর টাকা ফেরত দেয় না। জাহানারা বলেন, যতবারই আমি টাকা চাইছি সে ব্যবসা খারাপ বলে এড়িয়ে গেছে। একদিন নজরুল আমারে বলে চলো দুইজনে বিয়ে করি। আমাদের বিয়ের দেনমোহর হইবো আড়াই লাখ টাকা। তোমার কাছ থেইকা যে ৫০ হাজার টাকা নিছি সেইটা উসুল দেখাবো আর দুই লাখ টাকা বাকি থাকবো। আমি নজরুলের কথায় রাজি হইয়া যাই। সে বিয়াতে একটা সুতাও দেয় নাই আমারে। তারপরও পঞ্চাশ হাজার টাকা উসুল দেখাইছে। বিয়ার পর বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে গায়েব হয়ে যেতো সে। একদিন ওর এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারি নজরুলের আগের বউ-বাচ্চা আছে। তারা থাকে আশুলিয়ায়। টাকা নিয়ে সে ওখানেই যায়। ততদিনে নজরুলের বাচ্চা আমার পেটে। বাচ্চার কথা ভেবে প্রথম বউয়ের কথা জেনেও আমি ওর ঘর করতে চাইছি। কিন্তু বাচ্চা হওয়ার পর ওর বাপে বাচ্চারে স্বীকার করতে চায় না। কয় এই পোলা আমার না। পোলার কোনো দায়িত্ব আমি নিতে পারুম না। পাঁচ মাস আগে এলাকার মেম্বার দিয়া সালিশ বসলে নজরুল কয় বছরে দশদিন থাকুম জাহানারার লগে আর বাকি সময় থাকুম বড় বউয়ের লগে। সালিশে ধার্য করা হয় নজরুল এক মাস থাকবো বড় বউয়ের কাছে আর একমাস থাকবো আমার কাছে। কিন্তু সালিশের রায় মানে নাই নজরুল। সে আমার কাছে আর আসে নাই। তাই বাধ্য হয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে আইছি। যেন আমার ছেলে তার বাপের পরিচয় পায়। আর আমাদের ভরণপোষণ যেন সে দেয়। জাহানারা বলেন, আমার কাছে এখন ভালোবাসা মানে ভয়ঙ্কর অভিশাপ।
এরই মধ্যে জাহানারার কোলজুড়ে আসে পুত্র সন্তান আবু বকর সিদ্দিক। কিন্তু ছেলেকে নিজের বলে স্বীকার করতে চায় না নজরুল। এটি অন্য কারো সন্তান এই অপবাদ দিয়ে আগের বউয়ের কাছে আশুলিয়ায় চলে যায় নজরুল। সন্তান নিয়ে নজরুলের আগের বউয়ের বাড়িতে গেলে নজরুল তাকে সন্তান নিয়ে চলে যেতে বলে। শর্ত দেয় সে বছরের ৩৫৫ দিন থাকবে প্রথম বউয়ের সঙ্গে। আর ১০ দিন থাকবে জাহানারার সঙ্গে। এ শর্ত মানলে সে জাহানারার কাছে দশদিনের জন্য আসবে। তা না হলে সে প্রথম বউয়ের সঙ্গেই থাকবে। গত ছয় মাসে একদিনের জন্যও জাহানারার কাছে আসেনি নজরুল। তাই জাহানারা প্রতিকার পেতে আসেন নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে। সেখানেই কথা হয় তার সঙ্গে। জাহানারা জানান বিয়ের আগে মাছ বিক্রি করে ভালোই কাটছিল তার জীবন। দক্ষিণ বাড্ডায় ওসমানের টং-এ ভাড়া থাকতেন তিনি। সেখানে পাশের ঘরে চার বন্ধুর সঙ্গে ভাড়া থাকতো নজরুল। বিভিন্ন সময় নজরুলের বন্ধুরা এসে বলতো নজরুল তাকে ভালোবাসে। প্রথমে এসব কথা শুনতে চাইতো না জাহানারা। প্রতিদিন জাহানারা মাছ বিক্রি করে ফেরার সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতো নজরুল। এদিকে কাজে আসছিলাম এ কথা বলে জাহানারার সঙ্গে বাড়ি ফিরতো সে। এক সময় নজরুলের প্রতি ভালো লাগা জন্ম নেয় জাহানারার। নজরুল প্রায় জাহানারাকে চুরি, ব্যান্ড, দুল কিনে দিতো। একদিন নজরুল নতুন ব্যবসা করবে বলে জাহানারার কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা ধার চায়। জাহানারা বিশ্বাস করে টাকা দেয়। কিন্তু নজরুল আর টাকা ফেরত দেয় না। জাহানারা বলেন, যতবারই আমি টাকা চাইছি সে ব্যবসা খারাপ বলে এড়িয়ে গেছে। একদিন নজরুল আমারে বলে চলো দুইজনে বিয়ে করি। আমাদের বিয়ের দেনমোহর হইবো আড়াই লাখ টাকা। তোমার কাছ থেইকা যে ৫০ হাজার টাকা নিছি সেইটা উসুল দেখাবো আর দুই লাখ টাকা বাকি থাকবো। আমি নজরুলের কথায় রাজি হইয়া যাই। সে বিয়াতে একটা সুতাও দেয় নাই আমারে। তারপরও পঞ্চাশ হাজার টাকা উসুল দেখাইছে। বিয়ার পর বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে গায়েব হয়ে যেতো সে। একদিন ওর এক বন্ধুর কাছ থেকে জানতে পারি নজরুলের আগের বউ-বাচ্চা আছে। তারা থাকে আশুলিয়ায়। টাকা নিয়ে সে ওখানেই যায়। ততদিনে নজরুলের বাচ্চা আমার পেটে। বাচ্চার কথা ভেবে প্রথম বউয়ের কথা জেনেও আমি ওর ঘর করতে চাইছি। কিন্তু বাচ্চা হওয়ার পর ওর বাপে বাচ্চারে স্বীকার করতে চায় না। কয় এই পোলা আমার না। পোলার কোনো দায়িত্ব আমি নিতে পারুম না। পাঁচ মাস আগে এলাকার মেম্বার দিয়া সালিশ বসলে নজরুল কয় বছরে দশদিন থাকুম জাহানারার লগে আর বাকি সময় থাকুম বড় বউয়ের লগে। সালিশে ধার্য করা হয় নজরুল এক মাস থাকবো বড় বউয়ের কাছে আর একমাস থাকবো আমার কাছে। কিন্তু সালিশের রায় মানে নাই নজরুল। সে আমার কাছে আর আসে নাই। তাই বাধ্য হয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেলে আইছি। যেন আমার ছেলে তার বাপের পরিচয় পায়। আর আমাদের ভরণপোষণ যেন সে দেয়। জাহানারা বলেন, আমার কাছে এখন ভালোবাসা মানে ভয়ঙ্কর অভিশাপ।
No comments