খালেদা-গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২ আগস্ট
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ আগস্ট নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম এস এম মাসুদ জামান এদিন ধার্য করেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা ও বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বক্তব্য দেয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মানহানির এ মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকি। আজ এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের ধার্য দিন ছিল। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করে সময় আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে ২ আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। মামলার সংক্ষিপ্ত অভিযোগে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লাখ শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি।
তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না।’ মামলার অপর আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ওই বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছেন। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন? আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের কবরে ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়। তারা যদি বুদ্ধিমান হন, তাহলে ১৪ তারিখ পর্যন্ত নিজের ঘরে থাকলেন কীভাবে?’ গণমাধ্যমে খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের দেয়া এসব বক্তব্য প্রকাশ হলে ১০০ কোটি টাকার মানহানির অভিযোগে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এরপর কয়েকবার এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালত থেকে সময় নেন তদন্ত কর্মকর্তা।
No comments