তাসকিন-মোস্তাফিজের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ
গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলার পরও মাশরাফিরা জানতেন না নিজেদের সেমিফাইনাল-ভাগ্য। সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পরও অপেক্ষা করতে হয়েছে শেষ চারে কে প্রতিপক্ষ হবে, তা জানার জন্য। সব উৎকণ্ঠা পেছনে ফেলে এসে বার্মিংহামে ফুরফুরে মেজাজে সাকিব-তামিমরা। বৃহস্পতিবার বার্মিংহামের এজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল। সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারের ধারণা, ‘এই ম্যাচে চাপে থাকবে ভারত। আর চাপমুক্ত হয়ে খেলবে বাংলাদেশ। ম্যাচের আগে আলোচনায় বাংলাদেশের দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ। ভারতীয় মিডিয়ায় বেশি আলোচনা হচ্ছে মোস্তাফিজকে নিয়ে। তাসকিন আহমেদের ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে ২০১৪ সালের ১৭ জুন। মোস্তাফিজুরে ঠিক এক বছর পর ১৮ জুন। দুই পেসারের আবির্ভাব বোলিংয়ে ভিন্ন অস্ত্র নিয়ে। তাসকিন শুরু করেছিলেন গতির সঙ্গে শর্ট বলের পারদর্শিতায়, মোস্তাফিজ ‘কাটার’ দিয়ে। তবে একটা জায়গায় তাদের দারুণ মিল। দু’জনের অভিষেকই ভারতের বিপক্ষে পাঁচ উইকেট নিয়ে।
এরপর থেকে যেন দু’জনেরই অলিখিত প্রিয় প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে ভারত।ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়েছেন মোস্তাফিজ। তাসকিন পাঁচ ম্যাচে ১২টি। বাংলাদেশও তাকিয়ে থাকবে আজ তাদের দিকে। মোস্তাফিজুরও জানিয়েছেন, ভারতের বিপক্ষে অফ-কাটার কাজে লাগাতে তিনি মরিয়া। মোস্তাফিজ বলেন, ‘মাঠে নিজের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করি। ভারতের বিপক্ষেও সেই চেষ্টা করব।’ ভারতের বিপক্ষে শুধু মোস্তাফিজ ও তাসকিন নন, পুরো বোলিং বিভাগই বাংলাদেশের মূল শক্তি। কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও বৈচিত্র্যপূর্ণ বোলিংয়ে আস্থা রাখছেন। মাশরাফি যেমন অভিজ্ঞতায় ভালো বোলিং করছেন, তেমনি রুবেল হোসেন গতির সঙ্গে দারুণ ইরর্কার দিতে পারেন। শেষদিকে রুবেলের বোলিং বেশি কার্যকর। হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমি বলছি না যে, অন্য দলের চেয়ে আমাদের বোলিং ভালো। তবে এটা বলতে পারি যে, আমাদের পেস আক্রমণ বৈচিত্র্যময়। আমাদের চার পেসারের দিকেই তাকালে দেখা যাবে সবার সক্ষমতা আলাদা, শক্তির জায়গাও ভিন্ন।’ ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পেসারদের কল্যাণেই কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই পেসারদের ওপর আস্থা রেখেই প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখছেন মাশরাফিরা।
No comments