দ্বিমুখী চাপে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী
পর
দুটি চাপে এখন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। দেশে সরকার গঠন করা। দেশের
বাইরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বের করে আনার অতি গুরুত্বপূর্ণ
ব্রেক্সিট শুরু করা। প্রথম ইস্যুতে তিনি উত্তর আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক
ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সমর্থন আদায় করে সরকার গঠনের চেষ্টা করছেন। এর
মাধ্যমে তিনি নিজের মসনদও রক্ষা করার অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাকে ছাড় দেবে বলে মনে হয় না। তেরেসা মে
নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর পর জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল
দ্রুততার সঙ্গে ব্রেক্সিট শুরুর তাগিদ দিয়েছেন। আর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট
এমানুয়েল ম্যাক্রনও অনেকটা একই সুরে কথা বলেছেন। তেরেসা মে ফ্রান্স সফর
করেছেন। সেখানে ম্যাক্রনের সঙ্গে তিনি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন।
তাতে দু’জনকে সরাসরি একে অন্যের চোখের দিকে তাকাতে দেখা গেছে খুবই কম। এতে
ধরে নেয়া যায় যে, কেউ কাউকে ছাড় দেবে না। সংবাদ সম্মেলনে এমানুয়েল
ম্যাক্রন বলেছেন, ব্রেক্সিট ইস্যুতে মন পরিবর্তনে বৃটেনের জন্য দরজা খোলা
থাকবে। ব্রেক্সিট আলোচনা বিলম্বিত হতে পারে বলে এরই মধ্যে গুঞ্জন শোনা
যাচ্ছে। এতে ক্রমশ ক্ষুব্ধ হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অ্যাঙ্গেলা মারকেলের
কণ্ঠে তারই প্রতিধ্বনি। ম্যাক্রনও বলেছেন, ব্রেক্সিট শুরু করতে হবে যত
তাড়াতাড়ি সম্ভব। তার কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বৃটেন কি এখনও ইউরোপীয়
ইউনিয়নে থাকতে পারে? জবাবে ম্যাক্রন বলেন, ব্রেক্সিট সমঝোতা যতক্ষণ শেষ না
হচ্ছে ততক্ষণ, সারাক্ষণ অবশ্যই দরজা খোলা থাকবে। তিনি বলেন, যখন একবার
আলোচনা শুরু হয়ে যাবে তখন আমরা সব পক্ষই সচেতন থাকবো যে, আর পিছনে ফেরা
সম্ভব নয়। ওদিকে নির্বাচনে হোঁচট খাওয়ার পর তেরেসা মে কি নমনীয় ব্রেক্সিট
সামনে ঠেলে দেবেন কিনাÑ এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি
এ প্রশ্ন এড়িয়ে গেছেন। ওদিকে বৃটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জন মেজর
হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি তেরেসা মে ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট
পার্টির সঙ্গে চুক্তি করেন তাহলে উত্তর আয়ারল্যা-ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়বে। এ
বিষয়ে তেরেসা মের কাছে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রনকে আমি নিশ্চিত করেছি, ব্রেক্সিট আলোচনা
যথাযথভাবে সময় অনুযায়ীই চলবে এবং তা শুরু হবে আগামী সপ্তাহেই। অন্যদিকে
ব্রাসেলস থেকে বলা হয়েছে, কবে বৃটেন ব্রেক্সিট আলোচনা শুরু করতে চায় তা
জানাতে পারছেন না বৃটিশ প্রতিনিধিরা। এ কথা বলেছেন ইউরোপীয়ান কমিশনের
প্রধান ব্রেক্সিট বিষয়ক মধ্যস্থতাকারী মাইকেল বারনিয়ার।
No comments